ঢাকা ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তথ্য না দিয়ে জীবন নাসের হুমকি দিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা গাংনী উপজেলায় যোগদান করার পর থেকে এখন পর্যন্ত সরকারের আইন ও বিধি বিধান অমান্য করে বেশ কিছু ক্ষেত্রে তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে কার্যক্রম চালাচ্ছেন। সরকারের আইন অমান্য করায় মেহেরপুর জেলার স্থানীয় রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এস এম ফয়েজ গত ১৩ জুন তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ০৮ ধারা অনুযায়ী ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ইজিপিপি, কাবিখা, কাবিটা, টিআর সাধারণ ও টিআর বিশেষ বরাদ্দের তালিকার ফটোকপি তথ্য চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তথ্য না পেয়ে বিধি অনুযায়ী গত ১৫ মে আপিল করেন। পরবর্তীতে আপিল কর্তৃপক্ষ কোনো আদেশ প্রাপ্ত না হওয়ায় বিধি অনুযায়ী ২৮ জুন প্রধান তথ্য কমিশনার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানতে পেরে তথ্য না দেওয়ার জন্য পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা মামলায় আবেদনকারীকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন।

 

এরই অংশ হিসেবে গত ০৩ জুলাই রাত ১১ টার সময় গাংনী থানার এসআই দ্বারা আবেদনকারীর গ্রামের বাড়ি বাঁশবাড়ীয়া দঃপাড়াতে মাদ্ররাসার খোঁজখবর নেওয়ার নাম করে আবেদনকারীকে ধরতে পাঠান । কিন্তু ওইদিন আবেদনকারী গ্রামের বাড়িতে না থাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অপকৌশল কাজে আসেনি। পরবর্তীতে প্রীতম সাহা গুজব রটান, আবেদনকারী তথ্য বুঝিয়া পেয়েছেন ও তথ্য চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর যে আবেদন করেছিলো ওই আবেদনটি প্রত্যাহার করছে। এই কাজের সত্যতা দেওয়ার জন্য প্রত্যাহার আবেদন নিজে লিখে তার সাক্ষরের জন্য ৩ জন জনপ্রতিনিধিকে আবেদনকারীর মেহেরপুরে ভাড়া করা বাসায় গত ০৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে পাঠান। ওই ৩ জন জনপ্রতিনিধি আবেদনকারীর সাক্ষর নেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ জোর জুলুম করে; কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পাঠানো ২টি আবেদনে আবেদনকারী সাক্ষর করিনি। এই বিষয়ে আবেদনকারী গত ১১ জুলাই গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পাঠানো প্রাপ্তি শিকার ও প্রত্যাহার আবেদনে আবেদনকারীর সাক্ষর কেউ যদি নকল করে সাক্ষর করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দিয়ে থাকে তাহলে সেই প্রাপ্তি শিকার ও আবেদনটি গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ করেন।

 

এরপর সাবেক জাসদ অপারেশন উংয়ের সদস্য ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল-জনযুদ্ধ) প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ক্রস ফায়ারে নিতহ আব্দুল রশিদ মালিথা অরফে দাদা তপনের কিলিং মিশনের সদস্য শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. ফিরোজ এর ব্যক্তিগত ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার থেকে গত ১৪ জুলাই সন্ধ্যা ৬.৪১ মিনিটে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তথ্য চেয়ে আবেদন প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন তার নির্দেশ অমান্য করায় তথ্য চেয়ে আবেদনকারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হামলা ও জীবন নাসের হুমকি দেওয়া হয়। এরপরেও তথ্য চেয়ে আবেদনকারীর আবেদন প্রত্যাহার না করায় গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজেই গাংনী থানায় একটি জিডি করেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এক শুভাকাঙ্ক্ষীকে দিয়ে আরেকটি জিডি করান। তথ্য চেয়ে আবেদনকারী আতঙ্কিত হয়ে গাংনী থানার ওসি, মেহেরপুর পুলিশ সুপার, ডিআইজি খুলনা ও বিভাগীয় কমিশনার খুলনা বিভাগ, খুলনা কে বিষয়টি লিখিত ভাবে অবগত করেছেন। আবেদনকারী এস এম ফয়েজ প্রতিবেদককে বলেছেন আমার মৃত্যু হলেও তথ্য নিবো ইনশাল্লাহ এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার জন্য গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তথ্য না দিয়ে জীবন নাসের হুমকি দিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা

আপডেট সময় ০৩:৪৩:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা গাংনী উপজেলায় যোগদান করার পর থেকে এখন পর্যন্ত সরকারের আইন ও বিধি বিধান অমান্য করে বেশ কিছু ক্ষেত্রে তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে কার্যক্রম চালাচ্ছেন। সরকারের আইন অমান্য করায় মেহেরপুর জেলার স্থানীয় রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এস এম ফয়েজ গত ১৩ জুন তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ০৮ ধারা অনুযায়ী ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ইজিপিপি, কাবিখা, কাবিটা, টিআর সাধারণ ও টিআর বিশেষ বরাদ্দের তালিকার ফটোকপি তথ্য চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তথ্য না পেয়ে বিধি অনুযায়ী গত ১৫ মে আপিল করেন। পরবর্তীতে আপিল কর্তৃপক্ষ কোনো আদেশ প্রাপ্ত না হওয়ায় বিধি অনুযায়ী ২৮ জুন প্রধান তথ্য কমিশনার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানতে পেরে তথ্য না দেওয়ার জন্য পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা মামলায় আবেদনকারীকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন।

 

এরই অংশ হিসেবে গত ০৩ জুলাই রাত ১১ টার সময় গাংনী থানার এসআই দ্বারা আবেদনকারীর গ্রামের বাড়ি বাঁশবাড়ীয়া দঃপাড়াতে মাদ্ররাসার খোঁজখবর নেওয়ার নাম করে আবেদনকারীকে ধরতে পাঠান । কিন্তু ওইদিন আবেদনকারী গ্রামের বাড়িতে না থাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অপকৌশল কাজে আসেনি। পরবর্তীতে প্রীতম সাহা গুজব রটান, আবেদনকারী তথ্য বুঝিয়া পেয়েছেন ও তথ্য চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর যে আবেদন করেছিলো ওই আবেদনটি প্রত্যাহার করছে। এই কাজের সত্যতা দেওয়ার জন্য প্রত্যাহার আবেদন নিজে লিখে তার সাক্ষরের জন্য ৩ জন জনপ্রতিনিধিকে আবেদনকারীর মেহেরপুরে ভাড়া করা বাসায় গত ০৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে পাঠান। ওই ৩ জন জনপ্রতিনিধি আবেদনকারীর সাক্ষর নেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ জোর জুলুম করে; কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পাঠানো ২টি আবেদনে আবেদনকারী সাক্ষর করিনি। এই বিষয়ে আবেদনকারী গত ১১ জুলাই গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পাঠানো প্রাপ্তি শিকার ও প্রত্যাহার আবেদনে আবেদনকারীর সাক্ষর কেউ যদি নকল করে সাক্ষর করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দিয়ে থাকে তাহলে সেই প্রাপ্তি শিকার ও আবেদনটি গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ করেন।

 

এরপর সাবেক জাসদ অপারেশন উংয়ের সদস্য ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল-জনযুদ্ধ) প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ক্রস ফায়ারে নিতহ আব্দুল রশিদ মালিথা অরফে দাদা তপনের কিলিং মিশনের সদস্য শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. ফিরোজ এর ব্যক্তিগত ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার থেকে গত ১৪ জুলাই সন্ধ্যা ৬.৪১ মিনিটে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তথ্য চেয়ে আবেদন প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন তার নির্দেশ অমান্য করায় তথ্য চেয়ে আবেদনকারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হামলা ও জীবন নাসের হুমকি দেওয়া হয়। এরপরেও তথ্য চেয়ে আবেদনকারীর আবেদন প্রত্যাহার না করায় গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজেই গাংনী থানায় একটি জিডি করেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এক শুভাকাঙ্ক্ষীকে দিয়ে আরেকটি জিডি করান। তথ্য চেয়ে আবেদনকারী আতঙ্কিত হয়ে গাংনী থানার ওসি, মেহেরপুর পুলিশ সুপার, ডিআইজি খুলনা ও বিভাগীয় কমিশনার খুলনা বিভাগ, খুলনা কে বিষয়টি লিখিত ভাবে অবগত করেছেন। আবেদনকারী এস এম ফয়েজ প্রতিবেদককে বলেছেন আমার মৃত্যু হলেও তথ্য নিবো ইনশাল্লাহ এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার জন্য গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।