নির্বাচনি প্রচারণা সভায় গুলিতে আহত হওয়া সত্ত্বেও দলের জাতীয় সম্মেলনে অংশ নেবেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির। রোববার চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প সমর্থকদের দাবি, হামলা, মামলা দিয়ে ট্রাম্পকে দূরে রাখা যাবে না। শনিবার পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনি সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন ট্রাম্প। এ সময় তাকে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের মিলওয়াকিতে আগামী ১৫ থেকে ১৮ জুলাই রিপাবলিকান জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, এ সময় ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের জন্য দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হবে। এক যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির ও রিপাবলিকান পার্টি জানিয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ভালো আছেন। তিনি আগামী সপ্তাহের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন।
এই সম্মেলনে ট্রাম্পকে দলের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেওয়ার প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ শেয়ার করা এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমার ডান কানের ওপরের অংশে গুলি লেগেছে। অনেক রক্তপাত হয়েছে। আমি বুঝতে পেরেছিলাম কী ঘটছে।’ এ সময় তিনি সমাবেশে নিহত ও আহতদের কথা উল্লেখ করে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, সমাবেশ চলাকালে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে পাশের ছাদ থেকে গুলি চালিয়েছে হামলাকারী। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্পকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা করা হয়। তবে এ ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস। গুলিবর্ষণ করার আগে হামলাকারী বা তার অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানত না যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর আগ পর্যন্ত এফবিআই অদূরে একটি ভবনের ছাদে থাকা ব্যক্তি সম্পর্কে কিছুই জানত না। এ নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। এদিকে ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ছাড়াও বিশ্বনেতারা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।