ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্নীতিকে কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না – বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সমাজকল্যাণমন্ত্রীর আশীর্বাদে মিজানের সম্পদের পাহাড় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির উদ্দেগে ২৮ শে ডিসেম্বর মহা সন্মেলনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্টিত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে বিস্ফোরণ, আহত ১২ বেলাবতে তারেক রহমানের ১৭তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে শীর্ষক আলোচনা দীর্ঘ সাত বছর পর আজ ৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন ডুবাই প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরনবী ভুইয়া ক্রেস্ট কেলেঙ্কারির বাবুলের ১ সপ্তাহে তিন পদোন্নতি গোয়াইনঘাটে ৯০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ: ধরা যায়নি কাউকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব মহাসড়কে ঘুস আদায়, ১১ ট্রাফিক গ্রেফতার

তথ্য অধিকার আইন অমান্য করার অভিযোগ গাংনী উপজেলার নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বিরুদ্ধে

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা গাংনী উপজেলায় যোগদান করার পর থেকে অধ্যবদি পর্যন্ত সরকারের আইন ও বিধি বিধান অমান্য করে বেশ কিছু ক্ষেত্রে তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত কাজ করে আসছে। সরকারের আইন অমান্য করে অনেক গুলো বেআইনি কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটা বিষয় মেহেরপুর জেলার স্থানীয় সরকারের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার গুলোর মধ্যে শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এস এম ফয়েজ গত ১৩ মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ০৮ ধারা অনুযায়ী ২০১৮-১৯, ২০১৯- ২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে আবেদন করেছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তথ্য না পেয়ে বিধি অনুযায়ী গত ১৫ মে ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করেন। আপিল সুনানি করে আপিল কর্তৃপক্ষ কোনো আদেশ প্রাপ্ত না হওয়ায় বিধি অনুযায়ী ২৮ জুন ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে প্রধান তথ্য কমিশনার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানতে পেরে তথ্য না দেওয়ার জন্য পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা মামলায় আবেদনকারীকে ফাঁসানোর জন্য গত ০৩ জুলাই ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে রাত ১১ টার সময় গাংনী থানার একজন এসআই কে আবেদনকারীর গ্রামের বাড়ি বাঁশবাড়ীয়া দঃপাড়া তে মাদ্ররাসার খোঁজ খবর নেওয়ার নাম করে আবেদনকারীকে ধরতে পাঠিয়েছিলেন। ওইদিন আবেদনকারী গ্রামের বাড়িতে না থাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অপকৌশল কাজে লাগাতে না পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নতুন একটি অপকৌশল করেন কৌশলটি হলো আবেদনকারীকে তথ্য না দিয়ে তথ্য দিয়েছেন আর আবেদনকারী তথ্য বুঝিয়া পেয়েছেন এমন একটা মিথ্যা প্রাপ্তি শিকার ও আবেদনকারী তথ্য চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর যে আবেদন করেছিলো ওই আবেদনটি প্রত্যাহার করছে এমন একটি প্রত্যাহার আবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিখে আবেদনকারীর সাক্ষর নেওয়ার জন্য ৩ জন জনপ্রতিনিধিকে আবেদনকারীর মেহেরপুরে ভাড়া করা বাসায় গত ০৫  ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে পাঠিয়েছিলেন। ওই ৩ জন জনপ্রতিনিধি আবেদনকারীর সাক্ষর নেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ জোর জুলুম করেছিলো কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পাঠানো ২টি আবেদনে আবেদনকারী সাক্ষর করিনি। এই বিষয়ে আবেদনকারী গত ১১/০৭/২০২৪ খ্রিঃ তারিখে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পাঠানো প্রাপ্তি শিকার ও প্রত্যাহার আবেদনে আবেদনকারীর সাক্ষর কেউ যদি নকল করে সাক্ষর করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দিয়ে থাকে তাহলে সেই প্রাপ্তি শিকার ও আবেদনটি গ্রহণ না করে তথ্য কমিশনে আবেদনকারীর অভিযোগটি সুনানি হওয়ার পূর্বেই আবেদনকারীকে তথ্য গুলো দিয়ে দিলে তথ্য কমিশনের নোটিশ দিলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তথ্য কমিশনের শুনানিতে যাওয়া লাগবে না বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আবেদনকারী একটি চিঠি দিয়েছেন। একই সাথে আবেদনকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলেন যে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্য চেয়ে আবেদনকারীকে তথ্য না দেওয়ার জন্য মিথ্যা মামলা হামলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজে বা কাউকে দিয়ে ভয় ভীতি প্রদর্শন, জোর করে আবেদনকারীকে দিয়ে আবেদন প্রত্যাহার করিয়ে নেওয়া, তথ্য না দিয়ে তথ্য বুঝিয়া পেয়েছি এমন প্রাপ্তি শিকার জোর করে লিখিত স্বাক্ষর করে নেওয়া বড় অপরাধ। আর এর বিচার তথ্য কমিশন শক্তভাবে করে থাকে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবজ্ঞা করেন। এরপর অবুজ শিশুর মতো এই ধরনের অপরাধ করেই চলেছেন। এরপরও আবেদনকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সকল অপকৌশল বাদ দিয়ে তথ্য অধিকার আইনের প্রতি সম্মান রেখে আবেদনকারীর চাহিত সকল তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য বার বার অনুরোধ করছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতিকে কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না – বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

তথ্য অধিকার আইন অমান্য করার অভিযোগ গাংনী উপজেলার নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ১২:৩২:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা গাংনী উপজেলায় যোগদান করার পর থেকে অধ্যবদি পর্যন্ত সরকারের আইন ও বিধি বিধান অমান্য করে বেশ কিছু ক্ষেত্রে তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত কাজ করে আসছে। সরকারের আইন অমান্য করে অনেক গুলো বেআইনি কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটা বিষয় মেহেরপুর জেলার স্থানীয় সরকারের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার গুলোর মধ্যে শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এস এম ফয়েজ গত ১৩ মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ০৮ ধারা অনুযায়ী ২০১৮-১৯, ২০১৯- ২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে আবেদন করেছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তথ্য না পেয়ে বিধি অনুযায়ী গত ১৫ মে ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করেন। আপিল সুনানি করে আপিল কর্তৃপক্ষ কোনো আদেশ প্রাপ্ত না হওয়ায় বিধি অনুযায়ী ২৮ জুন ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে প্রধান তথ্য কমিশনার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানতে পেরে তথ্য না দেওয়ার জন্য পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা মামলায় আবেদনকারীকে ফাঁসানোর জন্য গত ০৩ জুলাই ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে রাত ১১ টার সময় গাংনী থানার একজন এসআই কে আবেদনকারীর গ্রামের বাড়ি বাঁশবাড়ীয়া দঃপাড়া তে মাদ্ররাসার খোঁজ খবর নেওয়ার নাম করে আবেদনকারীকে ধরতে পাঠিয়েছিলেন। ওইদিন আবেদনকারী গ্রামের বাড়িতে না থাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অপকৌশল কাজে লাগাতে না পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নতুন একটি অপকৌশল করেন কৌশলটি হলো আবেদনকারীকে তথ্য না দিয়ে তথ্য দিয়েছেন আর আবেদনকারী তথ্য বুঝিয়া পেয়েছেন এমন একটা মিথ্যা প্রাপ্তি শিকার ও আবেদনকারী তথ্য চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর যে আবেদন করেছিলো ওই আবেদনটি প্রত্যাহার করছে এমন একটি প্রত্যাহার আবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিখে আবেদনকারীর সাক্ষর নেওয়ার জন্য ৩ জন জনপ্রতিনিধিকে আবেদনকারীর মেহেরপুরে ভাড়া করা বাসায় গত ০৫  ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে পাঠিয়েছিলেন। ওই ৩ জন জনপ্রতিনিধি আবেদনকারীর সাক্ষর নেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ জোর জুলুম করেছিলো কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পাঠানো ২টি আবেদনে আবেদনকারী সাক্ষর করিনি। এই বিষয়ে আবেদনকারী গত ১১/০৭/২০২৪ খ্রিঃ তারিখে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পাঠানো প্রাপ্তি শিকার ও প্রত্যাহার আবেদনে আবেদনকারীর সাক্ষর কেউ যদি নকল করে সাক্ষর করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দিয়ে থাকে তাহলে সেই প্রাপ্তি শিকার ও আবেদনটি গ্রহণ না করে তথ্য কমিশনে আবেদনকারীর অভিযোগটি সুনানি হওয়ার পূর্বেই আবেদনকারীকে তথ্য গুলো দিয়ে দিলে তথ্য কমিশনের নোটিশ দিলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তথ্য কমিশনের শুনানিতে যাওয়া লাগবে না বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আবেদনকারী একটি চিঠি দিয়েছেন। একই সাথে আবেদনকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলেন যে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্য চেয়ে আবেদনকারীকে তথ্য না দেওয়ার জন্য মিথ্যা মামলা হামলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজে বা কাউকে দিয়ে ভয় ভীতি প্রদর্শন, জোর করে আবেদনকারীকে দিয়ে আবেদন প্রত্যাহার করিয়ে নেওয়া, তথ্য না দিয়ে তথ্য বুঝিয়া পেয়েছি এমন প্রাপ্তি শিকার জোর করে লিখিত স্বাক্ষর করে নেওয়া বড় অপরাধ। আর এর বিচার তথ্য কমিশন শক্তভাবে করে থাকে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবজ্ঞা করেন। এরপর অবুজ শিশুর মতো এই ধরনের অপরাধ করেই চলেছেন। এরপরও আবেদনকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সকল অপকৌশল বাদ দিয়ে তথ্য অধিকার আইনের প্রতি সম্মান রেখে আবেদনকারীর চাহিত সকল তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য বার বার অনুরোধ করছেন।