ঢাকা ০৯:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্নীতিকে কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না – বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সমাজকল্যাণমন্ত্রীর আশীর্বাদে মিজানের সম্পদের পাহাড় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির উদ্দেগে ২৮ শে ডিসেম্বর মহা সন্মেলনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্টিত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে বিস্ফোরণ, আহত ১২ বেলাবতে তারেক রহমানের ১৭তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে শীর্ষক আলোচনা দীর্ঘ সাত বছর পর আজ ৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন ডুবাই প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরনবী ভুইয়া ক্রেস্ট কেলেঙ্কারির বাবুলের ১ সপ্তাহে তিন পদোন্নতি গোয়াইনঘাটে ৯০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ: ধরা যায়নি কাউকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব মহাসড়কে ঘুস আদায়, ১১ ট্রাফিক গ্রেফতার

রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যা জানালেন দুই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

শিক্ষার্থীদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে চার মন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার দুপুরের দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন করার পরপরই এ বৈঠকে বসেন তিনি।

ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এ বৈঠকে ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার।

আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন ও শিক্ষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

এরপর বেলা সাড়ে ১২টায় পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের৷ ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

সংবাদ সম্মেলনের পর দুপুর সোয়া ১টায় দপ্তর কক্ষে যান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তারা দুইজন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না।

দপ্তর কক্ষে তাদের দুজনকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে কার্যালয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সময়ে আসেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার। তারা দুজনও যোগ দেন বৈঠকে। দলীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে দুপুর ২টা ১২ মিনিটে দপ্তর কক্ষ ত্যাগ করেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। প্রথমে বের হয়ে আসেন ওবায়দুল কাদের। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

ওবায়দুল কাদেরের পর বেরিয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনিও গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

এরপর আসেন শিক্ষামন্ত্রী ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তারা কথা বলেন কিন্তু বৈঠকের বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানাতে রাজি হননি।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। রাজনৈতিক-সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এটা রুটিন একটা বিষয়।

কোটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটা বা দুইটা বিষয় নিয়ে নয়। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের আজকের বসার বিষয়টা আপনারা জেনেছেন। কিন্তু এই বসাটা নিয়মিত হয়, এটা আমরা নিয়মিত বসি। বিভিন্ন জায়গায় বসা হয়।

এরপর শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এই মুহূর্তে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা করার মতো বিষয় নয় সেগুলো।

কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, আমরা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। সেটি আদালতের বিষয়। আদালত থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত আসবে…। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, যেহেতু আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, সে বিষয়ে আমরা মন্তব্য করব না। অপেক্ষা করতে হবে। সরকার তো আপিল করেছে। সুতরাং আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করব না।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতিকে কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না – বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যা জানালেন দুই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

শিক্ষার্থীদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে চার মন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার দুপুরের দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন করার পরপরই এ বৈঠকে বসেন তিনি।

ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এ বৈঠকে ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার।

আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন ও শিক্ষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

এরপর বেলা সাড়ে ১২টায় পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের৷ ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

সংবাদ সম্মেলনের পর দুপুর সোয়া ১টায় দপ্তর কক্ষে যান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তারা দুইজন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না।

দপ্তর কক্ষে তাদের দুজনকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে কার্যালয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সময়ে আসেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার। তারা দুজনও যোগ দেন বৈঠকে। দলীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে দুপুর ২টা ১২ মিনিটে দপ্তর কক্ষ ত্যাগ করেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। প্রথমে বের হয়ে আসেন ওবায়দুল কাদের। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

ওবায়দুল কাদেরের পর বেরিয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনিও গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

এরপর আসেন শিক্ষামন্ত্রী ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তারা কথা বলেন কিন্তু বৈঠকের বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানাতে রাজি হননি।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। রাজনৈতিক-সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এটা রুটিন একটা বিষয়।

কোটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটা বা দুইটা বিষয় নিয়ে নয়। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের আজকের বসার বিষয়টা আপনারা জেনেছেন। কিন্তু এই বসাটা নিয়মিত হয়, এটা আমরা নিয়মিত বসি। বিভিন্ন জায়গায় বসা হয়।

এরপর শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এই মুহূর্তে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা করার মতো বিষয় নয় সেগুলো।

কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, আমরা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। সেটি আদালতের বিষয়। আদালত থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত আসবে…। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, যেহেতু আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, সে বিষয়ে আমরা মন্তব্য করব না। অপেক্ষা করতে হবে। সরকার তো আপিল করেছে। সুতরাং আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করব না।