ঢাকা ০১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণকারীকে গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করলো পিবিআই যশোর

গোপালগঞ্জ থেকে সুমন বসু (৩৬) নামে এক ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই যশোর।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।  সুমন বসু গোপালগঞ্জ জেলার মানিকহারের সঞ্জীব বসুর ছেলে।

জানা যায়, যশোর জেলার অভয়নগর থানার তমা সরকার (ছদ্ম নাম) সাথে সুমন বসুর ফেবুকে পরিচয় হয়।আসামি নিজেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই বলে পরিচয় দেয়। পরিচয়ের পর হতে আসামির সাথে বাদীর মোবাইলে কথা হতো। কথা বলার একপর্যায়ে বাদীর সাথে আসামির সখ্যতা ও দুজনের মধ্যে ভালবাসা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আসামির সাথে বাদীর প্রেমের সম্পর্কের কারণে আসামি মাঝে মধ্যে বাদীর পিতার বাড়িতে আসা যাওয়া করতো এবং বাদীকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখাতো। আসামি বাদীকে বিভিন্ন সময় যশোরের বিভিন্ন হোটেলে ও নড়াইল জেলার অরুনিমা রিসোর্টে রুম ভাড়া নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তারপর হতে আসামির সাথে বাদীর নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। আসামি বিভিন্ন সময় তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বাদীর নিকট হতে বিকাশ ও নগদ একাউন্ট এর মাধ্যমে ধার হিসাবে ১৪,৮৯,৮৮০/- গ্রহণ করে। পরবর্তীতে আসামির আচরণে সন্দেহ হলে বাদী আসামির গ্রামের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সে বিবাহিত তার স্ত্রী সন্তান আছে। তখন বাদী তার দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে সে ফেরত দিতে অস্বীকার করে এবং বাদীকে বিয়ে করবে না মর্মে জানিয়ে দেয়। আসামি বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ এবং তার নিকট হতে ১৪,৮৯,৮৮০/- টাকা ধার হিসেবে নিয়ে বিশ্বাসভঙ্গ করত: আত্মসাৎ করার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পিবিআই পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করে।

এসআই(নিঃ) মো: হাবিবুর রহমান কর্তৃক অনুসন্ধানকালে জানা যায়, আসামী সুমন বসু(৩৬) সে নিজেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মেয়ের সাথে সখ্যতা গড়ে তলে। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়ে নেয়। পূর্বেও সে একাধীক মেয়ের সাথে প্রতারণা করে। সে বাদীর সহিত একইভাবে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে ১৪,৮৯,৮৮০/- টাকা গ্রহণ করে। সে একজন বড় মাপের প্রতারক বলে জানা যায়। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন মানিকহার গ্রাম হতে আসামিকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে বাদী আসামীর বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড রুজু হয়।

উক্ত মামলাটি পিবিআই, যশোর জেলা স্ব-উদ্দ্যোগে গ্রহণ করে মামলার তদন্তভার এসআই (নিঃ) মো: হাবিবুর রহমানএর উপর অর্পণ করা হয়। মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) মো: হাবিবুর রহমান ঘটনা সংক্রান্তে জড়িত আসামিকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করলে বুধবার (৩ জুলাই) বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমালী আদালত, যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্ষণকারীকে গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করলো পিবিআই যশোর

আপডেট সময় ০৩:১৪:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

গোপালগঞ্জ থেকে সুমন বসু (৩৬) নামে এক ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই যশোর।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।  সুমন বসু গোপালগঞ্জ জেলার মানিকহারের সঞ্জীব বসুর ছেলে।

জানা যায়, যশোর জেলার অভয়নগর থানার তমা সরকার (ছদ্ম নাম) সাথে সুমন বসুর ফেবুকে পরিচয় হয়।আসামি নিজেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই বলে পরিচয় দেয়। পরিচয়ের পর হতে আসামির সাথে বাদীর মোবাইলে কথা হতো। কথা বলার একপর্যায়ে বাদীর সাথে আসামির সখ্যতা ও দুজনের মধ্যে ভালবাসা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আসামির সাথে বাদীর প্রেমের সম্পর্কের কারণে আসামি মাঝে মধ্যে বাদীর পিতার বাড়িতে আসা যাওয়া করতো এবং বাদীকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখাতো। আসামি বাদীকে বিভিন্ন সময় যশোরের বিভিন্ন হোটেলে ও নড়াইল জেলার অরুনিমা রিসোর্টে রুম ভাড়া নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তারপর হতে আসামির সাথে বাদীর নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। আসামি বিভিন্ন সময় তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বাদীর নিকট হতে বিকাশ ও নগদ একাউন্ট এর মাধ্যমে ধার হিসাবে ১৪,৮৯,৮৮০/- গ্রহণ করে। পরবর্তীতে আসামির আচরণে সন্দেহ হলে বাদী আসামির গ্রামের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সে বিবাহিত তার স্ত্রী সন্তান আছে। তখন বাদী তার দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে সে ফেরত দিতে অস্বীকার করে এবং বাদীকে বিয়ে করবে না মর্মে জানিয়ে দেয়। আসামি বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ এবং তার নিকট হতে ১৪,৮৯,৮৮০/- টাকা ধার হিসেবে নিয়ে বিশ্বাসভঙ্গ করত: আত্মসাৎ করার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পিবিআই পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করে।

এসআই(নিঃ) মো: হাবিবুর রহমান কর্তৃক অনুসন্ধানকালে জানা যায়, আসামী সুমন বসু(৩৬) সে নিজেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মেয়ের সাথে সখ্যতা গড়ে তলে। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়ে নেয়। পূর্বেও সে একাধীক মেয়ের সাথে প্রতারণা করে। সে বাদীর সহিত একইভাবে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে ১৪,৮৯,৮৮০/- টাকা গ্রহণ করে। সে একজন বড় মাপের প্রতারক বলে জানা যায়। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন মানিকহার গ্রাম হতে আসামিকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে বাদী আসামীর বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড রুজু হয়।

উক্ত মামলাটি পিবিআই, যশোর জেলা স্ব-উদ্দ্যোগে গ্রহণ করে মামলার তদন্তভার এসআই (নিঃ) মো: হাবিবুর রহমানএর উপর অর্পণ করা হয়। মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) মো: হাবিবুর রহমান ঘটনা সংক্রান্তে জড়িত আসামিকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করলে বুধবার (৩ জুলাই) বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমালী আদালত, যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়।