ঢাকা ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাবেক এমপি প্রিন্সের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পঞ্চদশ সংশোধনী বৈধতার বিষয়ে হাইকোর্টে চূড়ান্ত শুনানি ৩০ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের ষড়যন্ত্র জনগণ রুখে দাঁড়াবে শাহজাহান চৌধুরী দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিরোধে সিন্ডিকেট ভাঙার বিকল্প নেই আনোয়ার আলম চৌধুরী বিস্ফোরক ও হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেফতার ব্যারিস্টার সুমন নিরাপদ সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থা রাষ্ট্রের অন্যতম নিয়ামক: রাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে আমিরাতে ভিসা সমস্যা দ্রুত সুরাহার আশ্বাস রাষ্ট্রদূতের ভোলা জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা লন্ডনের রাস্তায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান!

৪৮৪ আসন পেতে পারে লেবার পার্টি

আজ যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচন। ভবিষ্যৎ ব্রিটেন পরিচালনার চাবি কার হাতে যাবে-এরই মধ্যে তা ভেবে নিয়েছেন দেশটির সাধারণ জনগণ। নির্বাচনের ঠিক আগেই করা হয়েছে জরিপ। সেই জরিপে দেখা যাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে দীর্ঘ ১৪ বছর পর ক্ষমতায় ফিরতে যাচ্ছে লেবার পার্টি। অন্যদিকে মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ক্ষমতাসীন সুনাকের করজারভেটিভ পার্টির। দ্য গার্ডিয়ানের জরিপ অনুসারে, ২ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার কিয়ের স্টারমারের নেতৃত্বে লেবার পার্টিকে বেছে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। বিপরীতে ঋষি সুনাকের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিকে বেছে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন মাত্র ২০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটার, যা লেবার পার্টির প্রায় অর্ধেক। আলজাজিরা, রয়টার্স, বিবিসি।

লেবার ও কনজারভেটিভ পার্টির বাইরে বড় একটি অংশের ব্রিটিশ ভোটার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিকে বেছে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। এই দলের পক্ষে মত দিয়েছেন ১১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার। বিপরীতে রিফর্ম ইউকে পার্টি ও গ্রিন পার্টির পক্ষে মত দিয়েছেন যথাক্রমে ১৬ এবং ৫ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার। প্রায় দেড় মাস নির্বাচনি প্রচারণা শেষে সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি, লেবার পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেট, গ্রিন পার্টি, রিফর্ম পার্টি, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টিসহ ছোট-বড় আরও ৯৮টি দল অংশগ্রহণ করছে। এছাড়াও নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ছিল ৩৯২টি। হাউজ অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের বিপরীতে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ রেকর্ড সংখ্যক ৪ বছর ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য একটি দলকে জিততে হবে ৩২৬টি আসন। জরিপ মতে, সেই ৬৫০ আসনের মধ্যে ৪৮৪ আসনই লেবার পার্টির হতে পারে বলে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।

প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছেন অভিবাসীরা : যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন অভিবাসীরা। বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে অভিবাসীদের মধ্যে কমনওয়েলথ দেশগুলোর শরণার্থী এবং অভিবাসীরা ভোট দিতে পারবেন। কমনওয়েলথ দেশগুলো হলো সাবেক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অঞ্চল। এর মধ্যে নাইজেরিয়া, ভারত এবং মালয়েশিয়া থেকে আগত অভিবাসীরা ব্রিটিশ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য বলে জানানো হয়েছে।

স্টুডেন্ট ভিসায় গত বছর যুক্তরাজ্যে যান ভারতীয় শিক্ষার্থী প্রথেশ পালরাজ (২৭)। তিনি এক সাক্ষাৎকারে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ভারতে যখন নির্বাচন হচ্ছিল তখন আমি যুক্তরাজ্যে থাকায় সেখানে অংশ নিতে পারিনি। কিন্তু এখন যুক্তরাজ্যে থেকে অভিবাসী হিসাবেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারছি বলে আনন্দিত।’ পাঞ্জাক নামের আরেক অভিবাসী বলেছেন, ‘আমার দেশে বিদেশিদের ভোট দেওয়ার অনুমতি নেই। কিন্তু যুক্তরাজ্যে আমি স্টুডেন্ট ভিসায় এসেও ব্রিটিশ নাগরিকদের মতো ভোট দিতে পারছি।’

উল্লেখ্য, কয়েক বছর ধরে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে অভিবাসী ইস্যু। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কনজারভেটিভ দলের বর্তমান শীর্ষ নেতা ঋষি সুনাক অবশ্য সম্প্রতি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। যেমন-অভিবাসী আগমন সংক্রান্ত বিধি কঠোর করা, অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠানো ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবে এসব পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে খোদ কনজারভেটিভ পার্টির।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক এমপি প্রিন্সের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

৪৮৪ আসন পেতে পারে লেবার পার্টি

আপডেট সময় ১১:৩৮:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

আজ যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচন। ভবিষ্যৎ ব্রিটেন পরিচালনার চাবি কার হাতে যাবে-এরই মধ্যে তা ভেবে নিয়েছেন দেশটির সাধারণ জনগণ। নির্বাচনের ঠিক আগেই করা হয়েছে জরিপ। সেই জরিপে দেখা যাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে দীর্ঘ ১৪ বছর পর ক্ষমতায় ফিরতে যাচ্ছে লেবার পার্টি। অন্যদিকে মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ক্ষমতাসীন সুনাকের করজারভেটিভ পার্টির। দ্য গার্ডিয়ানের জরিপ অনুসারে, ২ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার কিয়ের স্টারমারের নেতৃত্বে লেবার পার্টিকে বেছে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। বিপরীতে ঋষি সুনাকের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিকে বেছে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন মাত্র ২০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটার, যা লেবার পার্টির প্রায় অর্ধেক। আলজাজিরা, রয়টার্স, বিবিসি।

লেবার ও কনজারভেটিভ পার্টির বাইরে বড় একটি অংশের ব্রিটিশ ভোটার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিকে বেছে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। এই দলের পক্ষে মত দিয়েছেন ১১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার। বিপরীতে রিফর্ম ইউকে পার্টি ও গ্রিন পার্টির পক্ষে মত দিয়েছেন যথাক্রমে ১৬ এবং ৫ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার। প্রায় দেড় মাস নির্বাচনি প্রচারণা শেষে সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি, লেবার পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেট, গ্রিন পার্টি, রিফর্ম পার্টি, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টিসহ ছোট-বড় আরও ৯৮টি দল অংশগ্রহণ করছে। এছাড়াও নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ছিল ৩৯২টি। হাউজ অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের বিপরীতে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ রেকর্ড সংখ্যক ৪ বছর ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য একটি দলকে জিততে হবে ৩২৬টি আসন। জরিপ মতে, সেই ৬৫০ আসনের মধ্যে ৪৮৪ আসনই লেবার পার্টির হতে পারে বলে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।

প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছেন অভিবাসীরা : যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন অভিবাসীরা। বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে অভিবাসীদের মধ্যে কমনওয়েলথ দেশগুলোর শরণার্থী এবং অভিবাসীরা ভোট দিতে পারবেন। কমনওয়েলথ দেশগুলো হলো সাবেক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অঞ্চল। এর মধ্যে নাইজেরিয়া, ভারত এবং মালয়েশিয়া থেকে আগত অভিবাসীরা ব্রিটিশ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য বলে জানানো হয়েছে।

স্টুডেন্ট ভিসায় গত বছর যুক্তরাজ্যে যান ভারতীয় শিক্ষার্থী প্রথেশ পালরাজ (২৭)। তিনি এক সাক্ষাৎকারে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ভারতে যখন নির্বাচন হচ্ছিল তখন আমি যুক্তরাজ্যে থাকায় সেখানে অংশ নিতে পারিনি। কিন্তু এখন যুক্তরাজ্যে থেকে অভিবাসী হিসাবেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারছি বলে আনন্দিত।’ পাঞ্জাক নামের আরেক অভিবাসী বলেছেন, ‘আমার দেশে বিদেশিদের ভোট দেওয়ার অনুমতি নেই। কিন্তু যুক্তরাজ্যে আমি স্টুডেন্ট ভিসায় এসেও ব্রিটিশ নাগরিকদের মতো ভোট দিতে পারছি।’

উল্লেখ্য, কয়েক বছর ধরে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে অভিবাসী ইস্যু। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কনজারভেটিভ দলের বর্তমান শীর্ষ নেতা ঋষি সুনাক অবশ্য সম্প্রতি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। যেমন-অভিবাসী আগমন সংক্রান্ত বিধি কঠোর করা, অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠানো ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবে এসব পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে খোদ কনজারভেটিভ পার্টির।