শরীয়তপুরের নড়িয়ায় রাসেলস ভাইপার সাপকে লাথি মারতে গিয়ে দংশনের শিকার হয়েছেন ইব্রাহিম মিয়া (৪০) নামের এক যুবক। বর্তমানে তিনি শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কনক জোতি মণ্ডল।
ইব্রাহিম চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট থানার মো. মুকলেসের ছেলে। তিনি পেশায় মাহিন্দ্রাচালক।
ভুক্তভোগী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ইব্রাহিম মিয়া নামের এক যুবক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় কাজের উদ্দেশ্যে এসেছিলেন। সোমবার রাতে বাসায় খাবার খাওয়ার পর বিদ্যুৎ চলে গেলে নড়িয়া সদর ব্রিজ এলাকায় নদীর পাড়ে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। এ সময় তিনি একটি সাপ দেখলে চিৎকার করে লোকজন জড়ো করেন।
পরে সাপটিকে তিনি পা দিয়ে মারতে গেলে তার পায়ে সাপটি উল্টো কামড় বসিয়ে দেয়। এ সময় তিনি পাশে থাকা একটি ইট দিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন এবং পা বেঁধে দ্রুত মোটরসাইকেলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চলে যান। হাসপাতালের চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার শরীরে বিষ প্রবেশ করেনি বলে জানান। তবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
যুবক ইব্রাহিম মিয়া বলেন, সাপটি রাসেলস ভাইপারের বাচ্চা ছিল। তাই পা দিয়ে সাপটি মারতে চেয়েছিলাম কিন্তু সেটি হঠাৎ করেই আমার পায়ে কামড় বসিয়ে দেয়। পরে আমি গেঞ্জি খুলে ক্ষত জায়গাটি বেঁধে হাসপাতালে ছুটে আসি। চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা করে বলেন, আমার শরীরে বিষ প্রবেশ করতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী নাসির নামের এক যুবক বলেন, উনি সাপটি দেখে চিৎকার দেন। পরে নিজেই পা দিয়ে মারতে গেলে উল্টে এসে তার পায়ে কামড় বসিয়ে দেয়। পরে আমরা তাকে দ্রুত শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কনক জোতি মণ্ডল বলেন, সাপে কাটার আধঘণ্টার মধ্যে ওই যুবককে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে মোবাইলে একটি ছবি দেখালে বুঝতে পারি সাপটি রাসেলস ভাইপার ছিল। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার রক্তে কোনো বিষ পাইনি। তাকে আপাতত অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।