ঢাকা ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কোরআন-গীতা দুই-ই পড়তে হয় যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

সচারচর মাদ্রাসাগুলোতে যেমন দেখা যায়, অর্থাৎ পাঞ্জাবি-পায়জামা পরা শিক্ষার্থী, মাথায় টুপি এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও শিক্ষার্থীদের একইভাবে দেখা যায়। তবে একেবারে নতুন বিষয় হলো এখানকার ছাত্ররা যেমন কোরআন পড়েন, তেমনি পড়েন ভাগবদ্গীতাও। তবে সেখানে কোনো হিন্দু ছাত্র নেই।  

ভারতের কেরালায় এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অবস্থান। নাম অ্যাকাডেমি অব শরিয়া অ্যাডভান্সড স্টাডিজ। কলেজের প্রিন্সিপাল ওনামপিলি মোহম্মদ ফাইজি বলছেন ছাত্রদের শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো একটি ধর্মের শাস্ত্রে বেঁধে রাখতে চাননি তিনি। তার মনে হয়েছে, কোনো শিক্ষা যথাযথ হতে হলে সব বিষয়েই জ্ঞান থাকা দরকার। সেই ভাবনা থেকেই ইংরেজি, আরবি, উর্দু ভাষার পাশাপাশি ছাত্রদের সংস্কৃত শেখানোর কথাও ভেবেছেন তিনি।

ফাইজি অবশ্য জানেন যে দৈনন্দিন লেখাপড়ার পাশাপাশি, ছাত্রদের সংস্কৃত ভাষার সমস্ত শাস্ত্র পড়ানো সম্ভব নয়। তা পড়তে বহু বছর লেগে যাবে। ছাত্রদের তাই গীতা, উপনিষদ, বেদের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

আসলে ফাইজির এই ভাবনার নেপথ্যে রয়েছে তার নিজের শিক্ষা। অল্প বয়সে হিন্দু দার্শনিক শঙ্করাচার্যের দর্শন পড়ার সুযোগ হয়েছিল তার। সেখান থেকেই তাঁর ভাবনায় এক অন্য রকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির ধারণা দানা বাঁধে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

কোরআন-গীতা দুই-ই পড়তে হয় যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

আপডেট সময় ১০:০১:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

সচারচর মাদ্রাসাগুলোতে যেমন দেখা যায়, অর্থাৎ পাঞ্জাবি-পায়জামা পরা শিক্ষার্থী, মাথায় টুপি এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও শিক্ষার্থীদের একইভাবে দেখা যায়। তবে একেবারে নতুন বিষয় হলো এখানকার ছাত্ররা যেমন কোরআন পড়েন, তেমনি পড়েন ভাগবদ্গীতাও। তবে সেখানে কোনো হিন্দু ছাত্র নেই।  

ভারতের কেরালায় এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অবস্থান। নাম অ্যাকাডেমি অব শরিয়া অ্যাডভান্সড স্টাডিজ। কলেজের প্রিন্সিপাল ওনামপিলি মোহম্মদ ফাইজি বলছেন ছাত্রদের শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো একটি ধর্মের শাস্ত্রে বেঁধে রাখতে চাননি তিনি। তার মনে হয়েছে, কোনো শিক্ষা যথাযথ হতে হলে সব বিষয়েই জ্ঞান থাকা দরকার। সেই ভাবনা থেকেই ইংরেজি, আরবি, উর্দু ভাষার পাশাপাশি ছাত্রদের সংস্কৃত শেখানোর কথাও ভেবেছেন তিনি।

ফাইজি অবশ্য জানেন যে দৈনন্দিন লেখাপড়ার পাশাপাশি, ছাত্রদের সংস্কৃত ভাষার সমস্ত শাস্ত্র পড়ানো সম্ভব নয়। তা পড়তে বহু বছর লেগে যাবে। ছাত্রদের তাই গীতা, উপনিষদ, বেদের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

আসলে ফাইজির এই ভাবনার নেপথ্যে রয়েছে তার নিজের শিক্ষা। অল্প বয়সে হিন্দু দার্শনিক শঙ্করাচার্যের দর্শন পড়ার সুযোগ হয়েছিল তার। সেখান থেকেই তাঁর ভাবনায় এক অন্য রকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির ধারণা দানা বাঁধে।