ঢাকা ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

গাজায় ‘সংঘর্ষ-বিরতির’ সময় ঘোষণা, নিহত ৩৭ হাজার ছাড়াল

দক্ষিণ গাজায় নির্দিষ্ট একটি সময়ে হামলা চালাবে না বলে জানিয়েছে ইসরাইলি প্রশাসন। তবে ইসরাইল অবশ্য এটিকে সংঘর্ষ-বিরতি বলছে না। তাদের ভাষায় এটি হলো ‘ট্যাকটিক্যাল পস’ বা কৌশলগত বিরতি। এদিকে ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ইসরাইল জানিয়েছে দক্ষিণ গাজায় যাতে ঠিকমতো ত্রাণ পৌঁছাতে পারে, সেজন্যই এই অবস্থান নেওয়া হয়েছে। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় এই ছাড় দেওয়া হবে। সে সময় ইসরাইলের সেনারা দক্ষিণ গাজার কোথাও হামলা চালাবে না। ত্রাণকর্মীরা নিরাপদে প্রয়োজনীয় জিনিস বিলি করতে পারবেন। তবে উত্তর বা মধ্য গাজায় এই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

এদিকে ঈদের দিন সংঘর্ষ-বিরতির আর্জি জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে বাইডেন লিখেছেন, ‘বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বহু শিশু নিহত হয়েছে। পরিবার ধ্বংস হয়েছে। মানুষ প্রতিবেশীকে হারিয়েছেন। এ এক চূড়ান্ত যন্ত্রণা।’

বাইডেন আরও জানিয়েছেন, তিন ধাপের যে সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা দ্রুত কার্যকর হোক। তাহলেই একমাত্র এই লড়াই বন্ধ হবে। ইসরাইল প্রাথমিকভাবে এই চুক্তি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। কারণ চুক্তির অনেক পয়েন্টই ইসরাইল প্রস্তাব করেছিল। যদিও ইসরাইলের অতি দক্ষিণপন্থি রাজনীতিকেরা এই চুক্তির বিরোধিতা করছেন। নেতানিয়াহুর সমালোচনাও করছেন তারা।

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন হামাসের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছে। হামাস এই প্রস্তাব মেনে নিলে দীর্ঘকালীন সংঘর্ষ-বিরতির রাস্তায় যাওয়া সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।

অপরদিকে হামাস অধিকৃত গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, গত আট মাসের যুদ্ধে সেখানে অন্তত ৩৭ হাজার ৩৪৭ জন নিহত হয়েছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ৩৭ হাজার ৩৪৭ জন নিহতের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১০ জন মারা গেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে আক্রমণ করার পর যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে আট মাসে গাজা উপত্যকায় ৩৭ হাজারের বেশি নিহতের পাশাপাশি মোট ৮৫ হাজার ৩৭২ জন আহত হয়েছে। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গাজায় ‘সংঘর্ষ-বিরতির’ সময় ঘোষণা, নিহত ৩৭ হাজার ছাড়াল

আপডেট সময় ১২:০৭:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪

দক্ষিণ গাজায় নির্দিষ্ট একটি সময়ে হামলা চালাবে না বলে জানিয়েছে ইসরাইলি প্রশাসন। তবে ইসরাইল অবশ্য এটিকে সংঘর্ষ-বিরতি বলছে না। তাদের ভাষায় এটি হলো ‘ট্যাকটিক্যাল পস’ বা কৌশলগত বিরতি। এদিকে ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ইসরাইল জানিয়েছে দক্ষিণ গাজায় যাতে ঠিকমতো ত্রাণ পৌঁছাতে পারে, সেজন্যই এই অবস্থান নেওয়া হয়েছে। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় এই ছাড় দেওয়া হবে। সে সময় ইসরাইলের সেনারা দক্ষিণ গাজার কোথাও হামলা চালাবে না। ত্রাণকর্মীরা নিরাপদে প্রয়োজনীয় জিনিস বিলি করতে পারবেন। তবে উত্তর বা মধ্য গাজায় এই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

এদিকে ঈদের দিন সংঘর্ষ-বিরতির আর্জি জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে বাইডেন লিখেছেন, ‘বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বহু শিশু নিহত হয়েছে। পরিবার ধ্বংস হয়েছে। মানুষ প্রতিবেশীকে হারিয়েছেন। এ এক চূড়ান্ত যন্ত্রণা।’

বাইডেন আরও জানিয়েছেন, তিন ধাপের যে সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা দ্রুত কার্যকর হোক। তাহলেই একমাত্র এই লড়াই বন্ধ হবে। ইসরাইল প্রাথমিকভাবে এই চুক্তি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। কারণ চুক্তির অনেক পয়েন্টই ইসরাইল প্রস্তাব করেছিল। যদিও ইসরাইলের অতি দক্ষিণপন্থি রাজনীতিকেরা এই চুক্তির বিরোধিতা করছেন। নেতানিয়াহুর সমালোচনাও করছেন তারা।

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন হামাসের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছে। হামাস এই প্রস্তাব মেনে নিলে দীর্ঘকালীন সংঘর্ষ-বিরতির রাস্তায় যাওয়া সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।

অপরদিকে হামাস অধিকৃত গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, গত আট মাসের যুদ্ধে সেখানে অন্তত ৩৭ হাজার ৩৪৭ জন নিহত হয়েছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ৩৭ হাজার ৩৪৭ জন নিহতের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১০ জন মারা গেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে আক্রমণ করার পর যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে আট মাসে গাজা উপত্যকায় ৩৭ হাজারের বেশি নিহতের পাশাপাশি মোট ৮৫ হাজার ৩৭২ জন আহত হয়েছে। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।