ঢাকা ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তি পাচ্ছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল : মির্জা ফখরুল আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান

বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সদয় দৃষ্টি কামনায় অসুস্থতায় এইচএসসি পরীক্ষার ফরমে বিলম্ব হওয়ায় হতাশ শিক্ষার্থী

বরগুনা সদরের সরকারি মহিলা কলেজের এক শিক্ষার্থী অসুস্থ থাকায় এবং গুরুতর অপারেশ চলাকালীন সময়ে এইচ.এস.সি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় পার হয়ে যাওয়ায় ফরম পূরণ করতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছে ভূক্তয়োগী। জানা যায়, শিক্ষার্থী তমা রানী (১৭) বরগুনা সদরের সরকারি মহিলা কলেজের এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী বরগুনা সদর থানার ৯নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের আমলকীতলা পরীরখাল গ্রামের বলহরি হাওলাদারের মেয়ে।

বলহরি হাওলাদার পেশায় একজন কৃষক। এ বিষয়ে বলহরি হাওলাদার জানান, কয়েকমাস আগে থেকে তার মেয়ে তমা রানী অসুস্থতা বোধ করলে টাকার অভাবে সময় মত মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না বলহরি হাওলাদার। পরে তমা রানী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ধার দেনা করে টাকা পয়সা জোগাড় করে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। ঐ হাসপাতালের ডাক্তার তাকে জরুরী ভিত্তিতে এ্যাপানডিস অপারেশনের জন্য বলেন। সেখানে অপারেশন করাতে গিয়ে বেশ কিছুদিন সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। বাড়ি এসে জানতে পারেন তার মেয়ের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় পার হয়ে গেছে। এমনকি লেইট ফি দিয়ে ভর্তির সময়ও চলে গেছে।

এতে ফরম পূরণ করতে না পেরে তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তিনি আরও জানান, মেয়েটার মুখের দিকে তাকানো যায় না। একদিকে অসুস্থ অন্য দিকে ফরম পূরণ করা হয় নি। মেয়েটা হতাশায় কখন যে কী করে বসে বুঝতে পারছি না। আমি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। যাতে আমার মেয়েটি বরগুনা সদর মহিলা কলেজ থেকে ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী তমা রানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের মানবিক বিভাগের একজন নিয়মিত ছাত্রী। আমার কলেজ রোল ১৪২৪।

কলেজের ফরম পূরণের ২ দিন আগে আমি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাকে ঢাকায় নিয়ে অপারেশন করানো হয়। কিন্তু বাড়ি এসে জানতে পারি আমার ফরম পূরণ করার সময় পার হয়ে গেছে। আমার স্বপ্ন আমি একজন বিসিএস ক্যাডার হব। কিন্তু ফরম পূরণ করতে না পারায় আমার সেই স্বপ্ন ধূলায় মিশে যাবে। তাই আমি সবার কাছে ফরম পূরণ করার জন্য আবেদন করছি। এ বিষয়ে বরগুনা পরীরখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট নাসির বলেন, বলহরি হাওলাদারের মেয়ে তমা রানী একজন মেধাবী ছাত্রী। মেয়েটি বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজে পড়ালেখা করে।

অসুস্থতার কারণে মেয়েটা ফরম পূরণ করতে পারে নাই। বোর্ড কর্তৃপক্ষ যদি মেয়েটার ফরম পূরণের ব্যবস্থা করেন তাহলে মেয়েটা পরীক্ষা দিতে পারবে। এ বিষয়ে বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, তমা রানী আমাদের কলেজের একজন মেধাবী ও নিয়মিত ছাত্রী। অসুস্থতার কারণে সে ফরম পূরণ করতে পারে নাই। যদি বরিশাল বোর্ডে কাগজপত্র নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে সকল প্রমানপত্র দাখিল করে এবং বোর্ড কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হয়ে তার ফরম পূরণের ব্যবস্থা করে তাহলে সে এ বছর পরীক্ষা দিতে পারবে। তাই আমাদের কলেজ থেকে তাকে প্রত্যয়নপত্র দেয়া হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সদয় দৃষ্টি কামনায় অসুস্থতায় এইচএসসি পরীক্ষার ফরমে বিলম্ব হওয়ায় হতাশ শিক্ষার্থী

আপডেট সময় ১০:০১:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

বরগুনা সদরের সরকারি মহিলা কলেজের এক শিক্ষার্থী অসুস্থ থাকায় এবং গুরুতর অপারেশ চলাকালীন সময়ে এইচ.এস.সি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় পার হয়ে যাওয়ায় ফরম পূরণ করতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছে ভূক্তয়োগী। জানা যায়, শিক্ষার্থী তমা রানী (১৭) বরগুনা সদরের সরকারি মহিলা কলেজের এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী বরগুনা সদর থানার ৯নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের আমলকীতলা পরীরখাল গ্রামের বলহরি হাওলাদারের মেয়ে।

বলহরি হাওলাদার পেশায় একজন কৃষক। এ বিষয়ে বলহরি হাওলাদার জানান, কয়েকমাস আগে থেকে তার মেয়ে তমা রানী অসুস্থতা বোধ করলে টাকার অভাবে সময় মত মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না বলহরি হাওলাদার। পরে তমা রানী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ধার দেনা করে টাকা পয়সা জোগাড় করে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। ঐ হাসপাতালের ডাক্তার তাকে জরুরী ভিত্তিতে এ্যাপানডিস অপারেশনের জন্য বলেন। সেখানে অপারেশন করাতে গিয়ে বেশ কিছুদিন সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। বাড়ি এসে জানতে পারেন তার মেয়ের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় পার হয়ে গেছে। এমনকি লেইট ফি দিয়ে ভর্তির সময়ও চলে গেছে।

এতে ফরম পূরণ করতে না পেরে তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তিনি আরও জানান, মেয়েটার মুখের দিকে তাকানো যায় না। একদিকে অসুস্থ অন্য দিকে ফরম পূরণ করা হয় নি। মেয়েটা হতাশায় কখন যে কী করে বসে বুঝতে পারছি না। আমি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। যাতে আমার মেয়েটি বরগুনা সদর মহিলা কলেজ থেকে ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী তমা রানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের মানবিক বিভাগের একজন নিয়মিত ছাত্রী। আমার কলেজ রোল ১৪২৪।

কলেজের ফরম পূরণের ২ দিন আগে আমি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাকে ঢাকায় নিয়ে অপারেশন করানো হয়। কিন্তু বাড়ি এসে জানতে পারি আমার ফরম পূরণ করার সময় পার হয়ে গেছে। আমার স্বপ্ন আমি একজন বিসিএস ক্যাডার হব। কিন্তু ফরম পূরণ করতে না পারায় আমার সেই স্বপ্ন ধূলায় মিশে যাবে। তাই আমি সবার কাছে ফরম পূরণ করার জন্য আবেদন করছি। এ বিষয়ে বরগুনা পরীরখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট নাসির বলেন, বলহরি হাওলাদারের মেয়ে তমা রানী একজন মেধাবী ছাত্রী। মেয়েটি বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজে পড়ালেখা করে।

অসুস্থতার কারণে মেয়েটা ফরম পূরণ করতে পারে নাই। বোর্ড কর্তৃপক্ষ যদি মেয়েটার ফরম পূরণের ব্যবস্থা করেন তাহলে মেয়েটা পরীক্ষা দিতে পারবে। এ বিষয়ে বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, তমা রানী আমাদের কলেজের একজন মেধাবী ও নিয়মিত ছাত্রী। অসুস্থতার কারণে সে ফরম পূরণ করতে পারে নাই। যদি বরিশাল বোর্ডে কাগজপত্র নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে সকল প্রমানপত্র দাখিল করে এবং বোর্ড কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হয়ে তার ফরম পূরণের ব্যবস্থা করে তাহলে সে এ বছর পরীক্ষা দিতে পারবে। তাই আমাদের কলেজ থেকে তাকে প্রত্যয়নপত্র দেয়া হয়েছে।