ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

পদত্যাগ করলেন ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রী, চাপে নেতানিয়াহু

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার যুদ্ধ নিয়ে ইসরাইলি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় মতবিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। এর জেরে পদত্যাগ করেছেন মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও যুদ্ধকালীন মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ। রোববার তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। গাজা যুদ্ধের মধ্যে তার এ পদত্যাগকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর আলজাজিরা ও সিএনএনের।

বেনি গ্যান্টজ বলেন, নেতানিয়াহু আমাদের প্রকৃত বিজয়ের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিচ্ছেন। এ কারণেই আমরা আজ জরুরি সরকার ছেড়ে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, এমন একটি নির্বাচন হওয়া উচিত যা এমন একটি সরকার গঠন করবে- যে সরকার জনগণের আস্থা অর্জন এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। আমি নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানাই, সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করুন।

নেতানিয়াহু গাজা যুদ্ধের তদারকি করার জন্য গত বছর জরুরি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন। তিন সদস্যের এ মন্ত্রিসভায় বেনি গ্যান্টজ অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ইসরাইলি রাজনীতিতে তাকে নেতানিয়াহুর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হয়।

টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে জরুরি সরকার ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বেনি গ্যান্টজ। তখন তিনি বলেন, নেতানিয়াহু গাজা যুদ্ধ পরবর্তী পরিকল্পনা প্রকাশ করতে ব্যর্থ হলে তিনি তার সরকার ছেড়ে যাবেন। গত শনিবারই গ্যান্টজ পদত্যাগ করবেন বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে ওইদিন ইসরাইলি বাহিনী এক অভিযানে গাজায় হামাসের হাতে বন্দি চার জিম্মিকে উদ্ধার করলে পদত্যাগের ঘোষণা স্থগিত করেন তিনি। ওইদিন বন্দি উদ্ধারের নামে ইসরাইর যে হামলা চালিয়েছে তাতে ২৭০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

পদত্যাগ করলেন ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রী, চাপে নেতানিয়াহু

আপডেট সময় ১০:২৬:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার যুদ্ধ নিয়ে ইসরাইলি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় মতবিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। এর জেরে পদত্যাগ করেছেন মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও যুদ্ধকালীন মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ। রোববার তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। গাজা যুদ্ধের মধ্যে তার এ পদত্যাগকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর আলজাজিরা ও সিএনএনের।

বেনি গ্যান্টজ বলেন, নেতানিয়াহু আমাদের প্রকৃত বিজয়ের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিচ্ছেন। এ কারণেই আমরা আজ জরুরি সরকার ছেড়ে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, এমন একটি নির্বাচন হওয়া উচিত যা এমন একটি সরকার গঠন করবে- যে সরকার জনগণের আস্থা অর্জন এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। আমি নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানাই, সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করুন।

নেতানিয়াহু গাজা যুদ্ধের তদারকি করার জন্য গত বছর জরুরি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন। তিন সদস্যের এ মন্ত্রিসভায় বেনি গ্যান্টজ অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ইসরাইলি রাজনীতিতে তাকে নেতানিয়াহুর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হয়।

টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে জরুরি সরকার ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বেনি গ্যান্টজ। তখন তিনি বলেন, নেতানিয়াহু গাজা যুদ্ধ পরবর্তী পরিকল্পনা প্রকাশ করতে ব্যর্থ হলে তিনি তার সরকার ছেড়ে যাবেন। গত শনিবারই গ্যান্টজ পদত্যাগ করবেন বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে ওইদিন ইসরাইলি বাহিনী এক অভিযানে গাজায় হামাসের হাতে বন্দি চার জিম্মিকে উদ্ধার করলে পদত্যাগের ঘোষণা স্থগিত করেন তিনি। ওইদিন বন্দি উদ্ধারের নামে ইসরাইর যে হামলা চালিয়েছে তাতে ২৭০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।