ঢাকা ০৫:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

মানবাধিকার ইস্যুতে জাতিসংঘে প্রশ্নের মুখে ভারত

মানবাধিকার রক্ষায় ভারতের পদক্ষেপ জানতে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের কাছে প্রশ্ন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা বা নিজের ধর্মাবলম্বনের প্রশ্নে ভারতের সংখ্যালঘুদের ওপর এখনও নির্দেশ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে কি না, ঘৃণার ভাষ্য কমে এসেছে কি না, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পুনর্বিবেচনা করা নিয়ে মোদি সরকারের কোনো ভাবনাচিন্তা আছে কি না, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া, মতামত প্রকাশে অসহিষ্ণুতা নিয়ে যে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে, সেগুলো কতটুকু বাস্তব— এমন সব প্রশ্ন রাখা হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে জেনেভায় চলছে ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর)। চলতি সপ্তাহে ভারতের দেওয়া প্রতিবেদন  খতিয়ে দেখছে পরিষদ। সূত্রের খবর, যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসন, ব্রিটেন, কানাডা, জার্মানি ও বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে ভারতের মানবাধিকার বিষয়ে আগাম প্রশ্ন জমা হয়েছে।

বর্তমানে ভারত ভারসাম্যের কূটনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিম এবং রাশিয়া উভয়পক্ষের সঙ্গে সমান ভাবে সম্পর্ক রক্ষার চেষ্টা করছে। যুদ্ধ বন্ধ করতে ভারতের ভূমিকাকে একদিকে স্বাগত জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, অন্যদিকে রাশিয়া উচ্চকণ্ঠে প্রশংসা করছে নরেন্দ্র মোদির। কূটনৈতিকভাবে যখন এই সুবিধাজনক জায়গায় নরেন্দ্র মোদি সরকার, ঠিক তখন মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় যথেষ্ট বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়েছে তাদের।

জানা গেছে, মানবাধিকার বিষয়ক প্রশ্নোত্তর সামাল দেওয়া এবং এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান ঠিক রাখতে জেনেভায় পাঠানো হয়েছে দেশটির সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে। সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।

এবারে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারত সংক্রান্ত নির্দিষ্ট প্রশ্নাবলী আগাম জমা পড়েছে মানবাধিকার কমিশনের কাছে। তাতে জানতে চাওয়া হয়েছে সাম্প্রদায়িক হিংসা বন্ধ করতে অথবা ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর কোনও সরকারি কর্মকর্তা, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হুমকি বা আক্রমণ থামাতে, শাস্তি দিতে, ঘটনার অনুসন্ধান করতে মোদি সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে। বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে মানবাধিকার পরিষদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, সংখ্যালঘুদের নিশানা করা নাগরিকত্ব আইন, ধর্মান্তরণ বিরোধী আইনগুলো নিয়ে কি ভারত পুনর্বিবেচনা করছে বা ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে?

প্রসঙ্গত, ভারত ৫ আগস্ট জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। সেই প্রতিবেদনে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে মানবাধিকার রক্ষা এবং তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলো বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

মানবাধিকার ইস্যুতে জাতিসংঘে প্রশ্নের মুখে ভারত

আপডেট সময় ১০:৩৩:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

মানবাধিকার রক্ষায় ভারতের পদক্ষেপ জানতে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের কাছে প্রশ্ন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা বা নিজের ধর্মাবলম্বনের প্রশ্নে ভারতের সংখ্যালঘুদের ওপর এখনও নির্দেশ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে কি না, ঘৃণার ভাষ্য কমে এসেছে কি না, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পুনর্বিবেচনা করা নিয়ে মোদি সরকারের কোনো ভাবনাচিন্তা আছে কি না, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া, মতামত প্রকাশে অসহিষ্ণুতা নিয়ে যে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে, সেগুলো কতটুকু বাস্তব— এমন সব প্রশ্ন রাখা হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে জেনেভায় চলছে ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর)। চলতি সপ্তাহে ভারতের দেওয়া প্রতিবেদন  খতিয়ে দেখছে পরিষদ। সূত্রের খবর, যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসন, ব্রিটেন, কানাডা, জার্মানি ও বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে ভারতের মানবাধিকার বিষয়ে আগাম প্রশ্ন জমা হয়েছে।

বর্তমানে ভারত ভারসাম্যের কূটনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিম এবং রাশিয়া উভয়পক্ষের সঙ্গে সমান ভাবে সম্পর্ক রক্ষার চেষ্টা করছে। যুদ্ধ বন্ধ করতে ভারতের ভূমিকাকে একদিকে স্বাগত জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, অন্যদিকে রাশিয়া উচ্চকণ্ঠে প্রশংসা করছে নরেন্দ্র মোদির। কূটনৈতিকভাবে যখন এই সুবিধাজনক জায়গায় নরেন্দ্র মোদি সরকার, ঠিক তখন মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় যথেষ্ট বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়েছে তাদের।

জানা গেছে, মানবাধিকার বিষয়ক প্রশ্নোত্তর সামাল দেওয়া এবং এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান ঠিক রাখতে জেনেভায় পাঠানো হয়েছে দেশটির সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে। সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।

এবারে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারত সংক্রান্ত নির্দিষ্ট প্রশ্নাবলী আগাম জমা পড়েছে মানবাধিকার কমিশনের কাছে। তাতে জানতে চাওয়া হয়েছে সাম্প্রদায়িক হিংসা বন্ধ করতে অথবা ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর কোনও সরকারি কর্মকর্তা, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হুমকি বা আক্রমণ থামাতে, শাস্তি দিতে, ঘটনার অনুসন্ধান করতে মোদি সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে। বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে মানবাধিকার পরিষদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, সংখ্যালঘুদের নিশানা করা নাগরিকত্ব আইন, ধর্মান্তরণ বিরোধী আইনগুলো নিয়ে কি ভারত পুনর্বিবেচনা করছে বা ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে?

প্রসঙ্গত, ভারত ৫ আগস্ট জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। সেই প্রতিবেদনে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে মানবাধিকার রক্ষা এবং তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলো বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।