মাদারীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের দুইপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সদর মডেল থানার ওসিসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে দিকে শহরে ডিসি ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে চারজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সদর মডেল থানার ওসি এএইচএম সালাউদ্দিন (৪৫), শহরের শকুনি এলাকার পান্নু মুনশির ছেলে মুন্না মুনশি (২৩), আলী সরদারের ছেলে জহিরুল সরদার (২২), আসিন মোল্লার ছেলে ধনু মোল্লা (২৩)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, মাগরিবের নামাজের সময় ডিসি ব্রিজ এলাকায় এক ইজিবাইক চালক ফোনে জোরে কথা বলতে বলতে ইজিবাইক চালাচ্ছিলেন। এ সময় কলেজ রোড এলাকার ইয়াসিন হোসেন, বাবু, তানভীর হোসেন ও মো. সজীব দুটি মোটরসাইকেলযোগে এসে ওই ইজিবাইক চালককে তার ইজিবাইকটি নিয়ে মূল সড়ক থেকে সরে যেতে বলেন। এ নিয়ে ওই ইজিবাইকে থাকা চালক ও যাত্রী মো. জাহিদের সঙ্গে মোটরসাইকেলআরোহী কিশোরদের কথা কাটাকাটি হয়।
এর জেরেই কলেজ রোড ও শকুনি এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ঘটনাস্থলে থাকা সদর থানা পুলিশের ওসিসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতরা মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালসহ শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে ফের সংঘর্ষ এড়াতে ডিসি ব্রিজ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আরাফাত হাসান বলেন, দুই পক্ষের লোকজনই বেপরোয়া। তারা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় বৃষ্টির মত ইটপাটকেল ছোড়া হচ্ছিল। পরে রামদা, ঢাল, টেঁটা, রড, লাঠি নিয়ে তারা মারামারি করে। এখানে দুই পক্ষই কিশোর। প্রায় এক ঘণ্টা চলে কিশোরদের মারামারি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, শহরের কলেজ রোড ও শকুনি এলাকার কিশোররা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে দুপক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে পরিস্থিতি আপতত শান্ত। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।