কুমিল্লায় চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে মীম আক্তার নামের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্কুলের শিক্ষার্থীরা রেল সড়ক অবরোধ করে মহানগর প্রভাতী নামের একটি ট্রেন আধা ঘণ্টা আটকে রাখে। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় ৩৫ মিনিট পর ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের রসুলপুর মাজার গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মীম আক্তার (১৪) ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। সে রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পুলিশ এবং স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় রসুলপুর মাজার গেট দিয়ে রেললাইন পার হচ্ছিল মীম। এ সময় ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামগামী পর্যটন এক্সপ্রেস একসঙ্গে ক্রস করে। ওই শিক্ষার্থী একপাশের ট্রেন দেখলেও অপর পাশের ট্রেন না দেখায় চট্টলা এক্সপ্রেসে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। খবর পেয়ে সহপাঠীরা এসে রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান নেয়।
এ সময় চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী ট্রেন আটকে রাখে তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের শান্ত করলে অবরুদ্ধ ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন বলেন, চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মীমের মৃত্যু হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরে চট্টগ্রামের দিকে যাওয়া মহানগর প্রভাতী ট্রেনকে আটকে রেখে বিচার দাবি করে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত স্কুল শিক্ষার্থীদের শান্ত মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়া হয়। নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।