ঢাকা ০৮:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার মুরাদনগরে তারেক রহমান ও কায়কোবাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশাল মানববন্ধন রাজউক কর্মচারী কামরুলের দু’দপ্তরে হাজিরা সহ অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ ।

বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় দিয়ে কিডনি কেটে বিক্রি করেন মিল্টন সমাদ্দার

মানুষের দানের টাকায় ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রম মানবতার সেবক হিসেবে পরিচিত মিল্টন সমাদ্দার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সেবামূলক কর্মকাণ্ডের রয়েছে ব্যাপক প্রচারণা। যেখানে দেখা যায় অসহায়-দুস্থ মানুষের সেবায় তিনি গড়ে তুলেছেন ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের একটি বৃদ্ধাশ্রম। রাস্তা থেকে অসুস্থ ও ভবঘুরেদের কুড়িয়ে ওই বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় দিয়েছেন। আর জনসেবামূলক এসব কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন সরকারি-বেসরকারি নানা পুরস্কারও।
তবে তার মন মানবিকতার আড়ালে প্রকৃতপক্ষে মিল্টন সমাদ্দার একজন ভয়ংকর প্রতারক। তিনি যতটুকু প্রচার করছেন তার চেয়েও কয়েক গুণ অপকর্মে জড়িয়েছেন। যে ঘটনা শুনলে যে কারোই গা শিউরে উঠবে বীভৎস একটি তথ্যে। অসহায় মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার নামে তাদের কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে বিক্রি করেন তিনি!
অনুসন্ধান করতে গিয়ে এমন বেশ কয়েকটি পৈশাচিক ঘটনার প্রমাণ দৈনিক আমাদের মাতৃভূমির হাতে চলে এসেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকার দক্ষিণ পাইকপাড়ায় মিল্টন সমাদ্দারের বৃদ্ধাশ্রমের কাছেই বায়তুল সালাম জামে মসজিদ। বৃদ্ধাশ্রমে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের এক সময় এই মসজিদেই বিনামূল্যে গোসল করানো হতো। তার মানবিক কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ তাকে এই সুবিধা দিয়েছিল। তবে গোসল করানোর সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা প্রায় প্রতিটি মরদেহের বিভিন্ন স্থানে কাটাছেঁড়ার দাগ শনাক্ত করেন। এ বিষয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে প্রশ্ন করে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। এরপর তিনি ওই মসজিদে মরদেহ পাঠানো বন্ধ করে দেন।
মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার
মিল্টন সমাদ্দারকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন স্থানীয় একটি মাদ্রাসার পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন। তিনি দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি প্রতিনিধি কে বলেন, ‘মিল্টন এক সময় বাসা ভাড়া শোধ করতে পারতেন না। এখন তিনি এগুলো করে কোটি কোটি টাকার মালিক। দামি গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়ায় এবং আড়ালে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরি করে বিক্রি করে আমাদের বায়তুল সালাম মসজিদে ওর মরদেহ ফ্রি গোসল করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিছু মরদেহ গোসল করানোর পর দেখা যায়, সবগুলোর শরীরে কাটা দাগ। এ বিষয়ে মিল্টনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি মরদেহ পাঠানো বন্ধ করে দেন।
তিনি বলেন, ‘রাস্তা থেকে মানুষ তুলে আনার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। যাদের কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ভালো থাকে, তাদের যথাযথ চিকিৎসা করানো হয়। তাদের জন্য ভালো ভালো খাবার দেয়া হয় শুধু তাই নয় তার ফেসবুক পেজে দেখা যায় রাস্তার থেকে এসব অসহায় মানুষকে তুলে নিয়ে তাদের কে মা বাবা বোন বলে ডেকে খুবই আনন্দেতে মাতিয়ে রাখেন কিন্তু এই অসহায় লোক গুলো জানে না যে তাদের সাথে কি ঘটে যাবে।
মিল্টন সমাদ্দার দীর্ঘদিন যাবত এই গরিব অসহায় মানুষদের কে নিয়ে আদর সোহাগ ভালো বাসা দেখিয়ে নিয়ে তাদের অঙ্গপতঙ্গ কেটে নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে। যাচ্ছে। তার সাথে যোগাযোগ করলে সে বলে নেগেটিভ প্রতিবেদন করতে চাইলে করতে পারেন তাতে আমার কোন আপত্তি নেই।

বিস্তারিত পরবর্তী সংখ্যায় চোখ রাখুন দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি। ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব

বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় দিয়ে কিডনি কেটে বিক্রি করেন মিল্টন সমাদ্দার

আপডেট সময় ০২:২৯:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪

মানুষের দানের টাকায় ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রম মানবতার সেবক হিসেবে পরিচিত মিল্টন সমাদ্দার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সেবামূলক কর্মকাণ্ডের রয়েছে ব্যাপক প্রচারণা। যেখানে দেখা যায় অসহায়-দুস্থ মানুষের সেবায় তিনি গড়ে তুলেছেন ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের একটি বৃদ্ধাশ্রম। রাস্তা থেকে অসুস্থ ও ভবঘুরেদের কুড়িয়ে ওই বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় দিয়েছেন। আর জনসেবামূলক এসব কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন সরকারি-বেসরকারি নানা পুরস্কারও।
তবে তার মন মানবিকতার আড়ালে প্রকৃতপক্ষে মিল্টন সমাদ্দার একজন ভয়ংকর প্রতারক। তিনি যতটুকু প্রচার করছেন তার চেয়েও কয়েক গুণ অপকর্মে জড়িয়েছেন। যে ঘটনা শুনলে যে কারোই গা শিউরে উঠবে বীভৎস একটি তথ্যে। অসহায় মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার নামে তাদের কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে বিক্রি করেন তিনি!
অনুসন্ধান করতে গিয়ে এমন বেশ কয়েকটি পৈশাচিক ঘটনার প্রমাণ দৈনিক আমাদের মাতৃভূমির হাতে চলে এসেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকার দক্ষিণ পাইকপাড়ায় মিল্টন সমাদ্দারের বৃদ্ধাশ্রমের কাছেই বায়তুল সালাম জামে মসজিদ। বৃদ্ধাশ্রমে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের এক সময় এই মসজিদেই বিনামূল্যে গোসল করানো হতো। তার মানবিক কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ তাকে এই সুবিধা দিয়েছিল। তবে গোসল করানোর সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা প্রায় প্রতিটি মরদেহের বিভিন্ন স্থানে কাটাছেঁড়ার দাগ শনাক্ত করেন। এ বিষয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে প্রশ্ন করে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। এরপর তিনি ওই মসজিদে মরদেহ পাঠানো বন্ধ করে দেন।
মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার
মিল্টন সমাদ্দারকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন স্থানীয় একটি মাদ্রাসার পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন। তিনি দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি প্রতিনিধি কে বলেন, ‘মিল্টন এক সময় বাসা ভাড়া শোধ করতে পারতেন না। এখন তিনি এগুলো করে কোটি কোটি টাকার মালিক। দামি গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়ায় এবং আড়ালে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরি করে বিক্রি করে আমাদের বায়তুল সালাম মসজিদে ওর মরদেহ ফ্রি গোসল করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিছু মরদেহ গোসল করানোর পর দেখা যায়, সবগুলোর শরীরে কাটা দাগ। এ বিষয়ে মিল্টনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি মরদেহ পাঠানো বন্ধ করে দেন।
তিনি বলেন, ‘রাস্তা থেকে মানুষ তুলে আনার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। যাদের কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ভালো থাকে, তাদের যথাযথ চিকিৎসা করানো হয়। তাদের জন্য ভালো ভালো খাবার দেয়া হয় শুধু তাই নয় তার ফেসবুক পেজে দেখা যায় রাস্তার থেকে এসব অসহায় মানুষকে তুলে নিয়ে তাদের কে মা বাবা বোন বলে ডেকে খুবই আনন্দেতে মাতিয়ে রাখেন কিন্তু এই অসহায় লোক গুলো জানে না যে তাদের সাথে কি ঘটে যাবে।
মিল্টন সমাদ্দার দীর্ঘদিন যাবত এই গরিব অসহায় মানুষদের কে নিয়ে আদর সোহাগ ভালো বাসা দেখিয়ে নিয়ে তাদের অঙ্গপতঙ্গ কেটে নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে। যাচ্ছে। তার সাথে যোগাযোগ করলে সে বলে নেগেটিভ প্রতিবেদন করতে চাইলে করতে পারেন তাতে আমার কোন আপত্তি নেই।

বিস্তারিত পরবর্তী সংখ্যায় চোখ রাখুন দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি। ।