অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ডের রায় স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে করা আপিল আদালত শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি অর্থদণ্ড স্থগিত করেছেন।
গতকাল অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করেন। পাশাপাশি জামিন আবেদন ও অর্থদণ্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। এর আগে গত ১২ মে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদসহ ৪৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন। রফিকুলকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড ২০০ কোটি টাকা। ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থদণ্ড ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বাকি আসামিদের ৫ থেকে ৯ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ-পাচার অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়। রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। দুই বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে উভয় মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আর ট্রি প্ল্যান্টেশনের মামলায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। রফিকুলসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে। আসামিদের মধ্যে আগে থেকেই কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন ও রফিকুল।