ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭৪৭ ভোটারের ৭০৪ জনই চান মহারাজকে

অগ্রিম সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে মহিউদ্দিন মহারাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোটারদের (জনপ্রতিনিধি) কাছ থেকে এমন ভালোবাসা ও স্বীকৃতি পাওয়া নিশ্চয়ই তার জন্য সৌভাগ্যের ৭টি উপজেলা নিয়ে গঠিত পিরোজপুর জেলার জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ৭৪৭ জন। এর মধ্যে ৭০৪ জন ভোটারই জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও সদ্য সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে স্বাক্ষর দিয়ে লিখিতভাবে সমর্থন জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে এ সংক্রান্ত সমর্থনের চিঠি ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।

নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে থাকেন। তাদের প্রত্যক্ষ ভোটেই নির্বাচিত হয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। পিরোজপুর-১ সদর আসনের নাজিরপুর উপজেলা পরিষদে ৯টি ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধি আছে ১২০ জন। এই উপজেলার সব ভোটার তার পক্ষে স্বাক্ষর দিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন। নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদে ইউনিয়ন ১০টি ও ১টি পৌরসভা। যেখানে মোট ভোটার সংখ্যা-১৪৬। যার মধ্যে মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন ১৪০ জন।

পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদে ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১০৭ জন ভোটারের মধ্যে স্বাক্ষর দিয়ে সমর্থন করেছেন ৭৯ জন। পিরোজপুর-২ আসন ভাণ্ডারিয়া সদর উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৯২ জন ভোটারের সবাই সমর্থন করেছেন তাকে। কাউখালী এবং ইন্দুরকানী উপজেলায় ৫টি করে ইউনিয়নের ৬৮ জন করে ভোটারের সবাই স্বাক্ষর দিয়ে তরুণ মহিউদ্দিন মহারাজকে সমর্থন জানিয়েছেন। এছাড়া পিরোজপুর-৩ আসন, মঠবাড়িয়া উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নের ১৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ১৩৭ জনই স্বাক্ষর দিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন মহারাজকে। মঠবাড়িয়া পৌরসভা থাকলেও সর্বশেষ সংশোধনীয় আইন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক পৌর পরিষদ বিলুপ্ত হওয়ায় এখানকার ভোটার সংখ্যা অবশ্য বিবেচনায় আনা হয়নি।

লিখিত সমর্থনের চিঠি অনুযায়ী, পিরোজপুর সদর উপজেলার ২৮ জন, নাজিরপুরের ৬ জন ও মঠবাড়িয়া উপজেলার ৯ জন ছাড়া বাকি ৯৪.২৫% ভোটারই মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে অগ্রিম সমর্থন জানিয়েছেন। কেন লিখিতভাবে আগেই সমর্থন জানালেন এমন প্রশ্ন করা হলে নাজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা অমূল রঞ্জন হালদার দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে বলেন, শুধু জনপ্রতিনিধি না, যে কেউ কোনো সমস্যা নিয়ে গেলে মহারাজ তা সমাধান করে দেন। তাই তাকে সমর্থন দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি।

কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে বলেন, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে যে কোনো বরাদ্দ বা উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব এ বিষয়টিই তারা মহিউদ্দিন মহারাজ চেয়ারম্যান হওয়ার আগে জানতেন না। পিরোজপুর সদরের তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এসএম বায়েজীদ হোসেন বলেন, জনবান্ধব নেতা হিসেবেই অগ্রিম তাকে লিখিতভাবে সমর্থন দিয়েছি।

মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান রাহাত দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে বলেন, তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর সব জনপ্রতিনিধিদের বিভক্তি দূর করে একটি ছাতার নিচে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তাই মহিউদ্দিন মহারাজকে দলীয় সমর্থন দেয়ার জন্য তারা প্রধানমন্ত্রী দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছেন। অগ্রিম সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে মহিউদ্দিন মহারাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে বলেন, ভোটারদের (জনপ্রতিনিধি) কাছ থেকে এমন ভালোবাসা ও স্বীকৃতি পাওয়া নিশ্চয়ই তার জন্য সৌভাগ্যের। দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি সবসময়ই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করেছেন বলে জানান।

এছাড়া তিনি আরোও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী জেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পিরোজপুরের সব ইউনিয়নের গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করেছেন। যেহেতু তার সময়ে বৈশ্বিক মহামারি করোনা হানা দিয়েছিল তাই তিনি ব্যক্তি পর্যায়ে ও সরকারিভাবে চেষ্টা করেছেন যেন পিরোজপুরের কোনো নাগরিক খাওয়ার কষ্ট না পায়। আগামী নির্বাচনে জেলা চেয়ারম্যান হতে পারলে তিনি পিরোজপুরকে দেশের মধ্যে মডেল জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ছয় বছর আগে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রথম জেলা পরিষদের ভোট হয়। সেখানে মাত্র ৪০ বছর বয়সে সবচেয়ে তরুণ প্রার্থী হিসেবে স্বতন্ত্রভাবে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মো. মহিউদ্দিন মহারাজ। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জেলা পরিষদ ফোরামেরও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

৭৪৭ ভোটারের ৭০৪ জনই চান মহারাজকে

আপডেট সময় ০৯:১৩:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

অগ্রিম সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে মহিউদ্দিন মহারাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোটারদের (জনপ্রতিনিধি) কাছ থেকে এমন ভালোবাসা ও স্বীকৃতি পাওয়া নিশ্চয়ই তার জন্য সৌভাগ্যের ৭টি উপজেলা নিয়ে গঠিত পিরোজপুর জেলার জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ৭৪৭ জন। এর মধ্যে ৭০৪ জন ভোটারই জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও সদ্য সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে স্বাক্ষর দিয়ে লিখিতভাবে সমর্থন জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে এ সংক্রান্ত সমর্থনের চিঠি ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।

নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে থাকেন। তাদের প্রত্যক্ষ ভোটেই নির্বাচিত হয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। পিরোজপুর-১ সদর আসনের নাজিরপুর উপজেলা পরিষদে ৯টি ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধি আছে ১২০ জন। এই উপজেলার সব ভোটার তার পক্ষে স্বাক্ষর দিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন। নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদে ইউনিয়ন ১০টি ও ১টি পৌরসভা। যেখানে মোট ভোটার সংখ্যা-১৪৬। যার মধ্যে মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন ১৪০ জন।

পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদে ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১০৭ জন ভোটারের মধ্যে স্বাক্ষর দিয়ে সমর্থন করেছেন ৭৯ জন। পিরোজপুর-২ আসন ভাণ্ডারিয়া সদর উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৯২ জন ভোটারের সবাই সমর্থন করেছেন তাকে। কাউখালী এবং ইন্দুরকানী উপজেলায় ৫টি করে ইউনিয়নের ৬৮ জন করে ভোটারের সবাই স্বাক্ষর দিয়ে তরুণ মহিউদ্দিন মহারাজকে সমর্থন জানিয়েছেন। এছাড়া পিরোজপুর-৩ আসন, মঠবাড়িয়া উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নের ১৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ১৩৭ জনই স্বাক্ষর দিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন মহারাজকে। মঠবাড়িয়া পৌরসভা থাকলেও সর্বশেষ সংশোধনীয় আইন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক পৌর পরিষদ বিলুপ্ত হওয়ায় এখানকার ভোটার সংখ্যা অবশ্য বিবেচনায় আনা হয়নি।

লিখিত সমর্থনের চিঠি অনুযায়ী, পিরোজপুর সদর উপজেলার ২৮ জন, নাজিরপুরের ৬ জন ও মঠবাড়িয়া উপজেলার ৯ জন ছাড়া বাকি ৯৪.২৫% ভোটারই মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে অগ্রিম সমর্থন জানিয়েছেন। কেন লিখিতভাবে আগেই সমর্থন জানালেন এমন প্রশ্ন করা হলে নাজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা অমূল রঞ্জন হালদার দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে বলেন, শুধু জনপ্রতিনিধি না, যে কেউ কোনো সমস্যা নিয়ে গেলে মহারাজ তা সমাধান করে দেন। তাই তাকে সমর্থন দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি।

কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে বলেন, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে যে কোনো বরাদ্দ বা উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব এ বিষয়টিই তারা মহিউদ্দিন মহারাজ চেয়ারম্যান হওয়ার আগে জানতেন না। পিরোজপুর সদরের তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এসএম বায়েজীদ হোসেন বলেন, জনবান্ধব নেতা হিসেবেই অগ্রিম তাকে লিখিতভাবে সমর্থন দিয়েছি।

মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান রাহাত দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে বলেন, তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর সব জনপ্রতিনিধিদের বিভক্তি দূর করে একটি ছাতার নিচে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তাই মহিউদ্দিন মহারাজকে দলীয় সমর্থন দেয়ার জন্য তারা প্রধানমন্ত্রী দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছেন। অগ্রিম সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে মহিউদ্দিন মহারাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে বলেন, ভোটারদের (জনপ্রতিনিধি) কাছ থেকে এমন ভালোবাসা ও স্বীকৃতি পাওয়া নিশ্চয়ই তার জন্য সৌভাগ্যের। দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি সবসময়ই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করেছেন বলে জানান।

এছাড়া তিনি আরোও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী জেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পিরোজপুরের সব ইউনিয়নের গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করেছেন। যেহেতু তার সময়ে বৈশ্বিক মহামারি করোনা হানা দিয়েছিল তাই তিনি ব্যক্তি পর্যায়ে ও সরকারিভাবে চেষ্টা করেছেন যেন পিরোজপুরের কোনো নাগরিক খাওয়ার কষ্ট না পায়। আগামী নির্বাচনে জেলা চেয়ারম্যান হতে পারলে তিনি পিরোজপুরকে দেশের মধ্যে মডেল জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ছয় বছর আগে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রথম জেলা পরিষদের ভোট হয়। সেখানে মাত্র ৪০ বছর বয়সে সবচেয়ে তরুণ প্রার্থী হিসেবে স্বতন্ত্রভাবে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মো. মহিউদ্দিন মহারাজ। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জেলা পরিষদ ফোরামেরও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।