ঢাকা ১২:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চা বাগানে বন্যপ্রাণীদের খাবার যোগানদাতা বনজ-ফলজ বৃক্ষ রোপন প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবী

এসব কারনে হবিগঞ্জের ২৩টি চা বাগানে বন্যপ্রাণীদের খাবার যোগানদাতা বনজ-ফলজ বৃক্ষ রোপন প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবী তুলা হয়েছে।হবিগঞ্জে জীববৈচিত্র‍্য ও বন্যপ্রাণী তথা পাখিদের জীবনধারণ ও অবাধ বিচরণ এখন হুমকির সন্মুখীন।

একদিকে ৬ জেলার বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রনের কাজ চলছে হবিগঞ্জ জেলার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মাত্র ২ জন লোকবল দিয়ে খাদ্যসংকট,বনধ্বংশ, পাহাড় কাটা ও বন্যপ্রানীদের আবাসস্থল ধ্বংস ইত্যাদি কারণে বন্যপ্রাণী ও পাখিরা লোকালয়ে চলে আসার অহরহ ঘটনা ঘটছে, অভ্যাস কারণে লোকজন এদেরকে ধরে অনেক সময় মেরেও ফেলেছে।

বন্যপ্রাণী ও পাখিদের প্রধান সমস্যা খাদ্য সংকট। তাদের খাদ্য যোগানদাতা গাছের ব্যাপক অভাব দেখা দিয়েছে।ক্রমাগত বনের গাছ উজাড়ীকরণ এর জন্য দায়ী পরিকল্পিতভাবে খাদ্যের যোগানদাতা গাছ রোপণ করা হচ্ছে না। এ বিষয়টিতে সুক্ষ্ম নজরদারির অভাবে ব্যাপক হুমকিতে পড়েছে বৃহত্তর সিলেটের বন্যপ্রাণী।

বন্যপ্রাণী অধ্যুষিত হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে১৪৯ প্রজাতির পাখি যা খাতা-কলমে থাকলেও এর একটি বড় অংশই ধ্বংসের সম্মুখীন। কাও ধনেশ, লালমাথা ট্রগন, কাঠ ঠোকরা, ময়না, ভিমরাজ, শ্যামা, ঝুটিপাঙ্গা, শালিক, হলদে পাখি ইত্যাদি বিলপ্তিপ্রায়।

এক সময়ের বনভূমি ব্রিটিশদের মাধ্যমে হয়েছে চা বাগান। বর্তমানে চা বাগানের বন্যপাখিদের আবাসস্থল বাগানের ঝোপঝাড় কেটে ফেলা হচ্ছে। এর মধ্যে ক্ষতিকর ইউক্রিলিপ্টার ও আকাশে বৃক্ষে ছেয়ে যাচ্ছে বাগান।ঘটছে অহরহ গাছ পাচার ইত্যাদির মত অপরাধ।

বন্যপ্রাণী তথা পাখিদের সংরক্ষণ ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টিতে চা বাগান গুলোর মধ্যে প্রকৃতিবান্ধব বন্যপাখিদের খাদ্য যোগানদানকারী বৃক্ষরোপণ এখন সময়ের দাবি।

এদিকে পাখি প্রেমিক সোসাইটি দীর্ঘদিন থেকে সরকার থেকে লীজগ্রহনকৃত ২৩ টি চা বাগানে কাঠ গাছের পরিবর্তে বন্যপ্রাণীবান্ধব বনজ ফলজ বৃক্ষরোপনের আন্দোলন করে আসছে।
বিগত ১ নভেম্বর ওই সংগঠনের আহবায়ক জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চা বাগানে বন্যপ্রাণীদের খাবার যোগানদাতা বনজ-ফলজ বৃক্ষ রোপন প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবী

আপডেট সময় ১১:১৬:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

এসব কারনে হবিগঞ্জের ২৩টি চা বাগানে বন্যপ্রাণীদের খাবার যোগানদাতা বনজ-ফলজ বৃক্ষ রোপন প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবী তুলা হয়েছে।হবিগঞ্জে জীববৈচিত্র‍্য ও বন্যপ্রাণী তথা পাখিদের জীবনধারণ ও অবাধ বিচরণ এখন হুমকির সন্মুখীন।

একদিকে ৬ জেলার বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রনের কাজ চলছে হবিগঞ্জ জেলার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মাত্র ২ জন লোকবল দিয়ে খাদ্যসংকট,বনধ্বংশ, পাহাড় কাটা ও বন্যপ্রানীদের আবাসস্থল ধ্বংস ইত্যাদি কারণে বন্যপ্রাণী ও পাখিরা লোকালয়ে চলে আসার অহরহ ঘটনা ঘটছে, অভ্যাস কারণে লোকজন এদেরকে ধরে অনেক সময় মেরেও ফেলেছে।

বন্যপ্রাণী ও পাখিদের প্রধান সমস্যা খাদ্য সংকট। তাদের খাদ্য যোগানদাতা গাছের ব্যাপক অভাব দেখা দিয়েছে।ক্রমাগত বনের গাছ উজাড়ীকরণ এর জন্য দায়ী পরিকল্পিতভাবে খাদ্যের যোগানদাতা গাছ রোপণ করা হচ্ছে না। এ বিষয়টিতে সুক্ষ্ম নজরদারির অভাবে ব্যাপক হুমকিতে পড়েছে বৃহত্তর সিলেটের বন্যপ্রাণী।

বন্যপ্রাণী অধ্যুষিত হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে১৪৯ প্রজাতির পাখি যা খাতা-কলমে থাকলেও এর একটি বড় অংশই ধ্বংসের সম্মুখীন। কাও ধনেশ, লালমাথা ট্রগন, কাঠ ঠোকরা, ময়না, ভিমরাজ, শ্যামা, ঝুটিপাঙ্গা, শালিক, হলদে পাখি ইত্যাদি বিলপ্তিপ্রায়।

এক সময়ের বনভূমি ব্রিটিশদের মাধ্যমে হয়েছে চা বাগান। বর্তমানে চা বাগানের বন্যপাখিদের আবাসস্থল বাগানের ঝোপঝাড় কেটে ফেলা হচ্ছে। এর মধ্যে ক্ষতিকর ইউক্রিলিপ্টার ও আকাশে বৃক্ষে ছেয়ে যাচ্ছে বাগান।ঘটছে অহরহ গাছ পাচার ইত্যাদির মত অপরাধ।

বন্যপ্রাণী তথা পাখিদের সংরক্ষণ ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টিতে চা বাগান গুলোর মধ্যে প্রকৃতিবান্ধব বন্যপাখিদের খাদ্য যোগানদানকারী বৃক্ষরোপণ এখন সময়ের দাবি।

এদিকে পাখি প্রেমিক সোসাইটি দীর্ঘদিন থেকে সরকার থেকে লীজগ্রহনকৃত ২৩ টি চা বাগানে কাঠ গাছের পরিবর্তে বন্যপ্রাণীবান্ধব বনজ ফলজ বৃক্ষরোপনের আন্দোলন করে আসছে।
বিগত ১ নভেম্বর ওই সংগঠনের আহবায়ক জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেন।