ঢাকা ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রম অধিকারের অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রকে জানাবে বাংলাদেশ

শ্রম আইনের সংশোধন ও বেজা আইনের মাধ্যমে শ্রম অধিকারের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রকে এই অগ্রগতি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তাছাড়া শ্রম ইস্যুতে বাংলদেশে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এ ধরনের সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেবে বলেও তিনি মনে করেন না।

আজ সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তার অফিস কক্ষে শ্রম অধিকর সংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নেরর অগ্রগতি পর্যলোচনা সংক্রান্ত বিশেষ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিন এ কথা বলেন।

সভায় শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহী, এফ বিসিসিআই সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, বিজিএমএর সভাপতি মো. ফারুক হাসান, বিকে আমি এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ

পররাষ্ট্র এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রম অধিকারের অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রকে জানাবে বাংলাদেশ
বাণিজ্য নিয়ে ইইউর প্রতিবেদন বাংলাদেশের জন্য ‘সতর্কবার্তা’
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, কারও দয়ায় নয়, পণ্যের গুণগত মান, আন্তর্জাতিক চাহিদা ও শ্রমিক অধিকার রক্ষা করেই তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক মূল্যায়ন রিপোর্টে অনুযায়ী বাংলাদেশের শ্রম আইনে ও শ্রম অধিকারের বিষয়গুলো বেশকিছু পালন হয়েছে। তবে তারা চায় আরও অগ্রগতি হউক।

ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা হয়েছে জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তা ছাড়া আরও কী করে শ্রমিক কল্যাণ বাড়ানো যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। শ্রমিক অধিকার চলমান প্রক্রিয়া প্রতিনিয়ত কি করে আরও উন্নতি করা যায় সেই চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশকিছু দেশের কিছু শর্ত ছিল। শ্রম আইন, বেজা আইনে মার্কিন যে চাওয়া ছিল তা অনেকটাই পূরণ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে ৩ বার শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে।

জানা গেছে, সভায় কর্মক্ষেত্রে শ্রমমান পরিস্থিতি, শ্রম আইন বাস্তবায়ন অগ্রগতি, শ্রম অধিকার ও নায্য মজুরি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শ্রম অধিকার নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, কোন দেশে শ্রম অধিকার লঙ্ঘিত হলে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এমন নির্দেশনার পরই ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন নির্দেশনার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বাংলাদেশ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রম অধিকারের অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রকে জানাবে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০২:০৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

শ্রম আইনের সংশোধন ও বেজা আইনের মাধ্যমে শ্রম অধিকারের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রকে এই অগ্রগতি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তাছাড়া শ্রম ইস্যুতে বাংলদেশে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এ ধরনের সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেবে বলেও তিনি মনে করেন না।

আজ সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তার অফিস কক্ষে শ্রম অধিকর সংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নেরর অগ্রগতি পর্যলোচনা সংক্রান্ত বিশেষ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিন এ কথা বলেন।

সভায় শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহী, এফ বিসিসিআই সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, বিজিএমএর সভাপতি মো. ফারুক হাসান, বিকে আমি এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ

পররাষ্ট্র এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রম অধিকারের অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রকে জানাবে বাংলাদেশ
বাণিজ্য নিয়ে ইইউর প্রতিবেদন বাংলাদেশের জন্য ‘সতর্কবার্তা’
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, কারও দয়ায় নয়, পণ্যের গুণগত মান, আন্তর্জাতিক চাহিদা ও শ্রমিক অধিকার রক্ষা করেই তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক মূল্যায়ন রিপোর্টে অনুযায়ী বাংলাদেশের শ্রম আইনে ও শ্রম অধিকারের বিষয়গুলো বেশকিছু পালন হয়েছে। তবে তারা চায় আরও অগ্রগতি হউক।

ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা হয়েছে জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তা ছাড়া আরও কী করে শ্রমিক কল্যাণ বাড়ানো যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। শ্রমিক অধিকার চলমান প্রক্রিয়া প্রতিনিয়ত কি করে আরও উন্নতি করা যায় সেই চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশকিছু দেশের কিছু শর্ত ছিল। শ্রম আইন, বেজা আইনে মার্কিন যে চাওয়া ছিল তা অনেকটাই পূরণ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে ৩ বার শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে।

জানা গেছে, সভায় কর্মক্ষেত্রে শ্রমমান পরিস্থিতি, শ্রম আইন বাস্তবায়ন অগ্রগতি, শ্রম অধিকার ও নায্য মজুরি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শ্রম অধিকার নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, কোন দেশে শ্রম অধিকার লঙ্ঘিত হলে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এমন নির্দেশনার পরই ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন নির্দেশনার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বাংলাদেশ।