ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-১ আসনে সালমা ইসলাম এমপির মনোনয়ন বৈধ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইয়ে ঢাকা-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলটির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপির প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।সোমবার সকালে ঢাকা জেলা প্রশাসক এবং জেলার পাঁচটি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আনিসুর রহমান এ মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন।

এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম মনোনয়নপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে দাখিল করায় তার মনোনয়নটি বৈধ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইয়ের শেষ দিনে প্রত্যেক প্রার্থীর প্রতিনিধি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ব্যাংক ও বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা।

ঢাকা-১ আসনে এবারের ভোটে লড়তে ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সালমা ইসলামসহ ৭ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর নথিপত্র ইস্যুতে ২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র স্থগিত রেখেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ৩০ নভেম্বর ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রির্টানিং কর্মকর্তার অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তিনি ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়ী হন। দশম জাতীয় সংসদে সালমা ইসলাম মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন বেশ কিছুদিন।

গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা-১ (দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সালমা ইসলাম বলেন, দোহার নবাবগঞ্জবাসী আমাকে চায়। আমি ঘরে ঘরে গিয়েছি, আমি তাদের কথা শুনেছি। আমি এলাকার ৮৬ টা রাস্তায় কার্পেটিংয়ের কাজ করেছি, ৬৪টা স্কুল কলেজ স্থাপন করেছি। স্কুল-কলেজ সরকারিকরণ করেছি। নদী ভাঙ্গন রোধে আমি ২১৭ কোটি টাকা সরকারের কাছ থেকে এনে নদী ভাঙ্গন রোধ করেছি। এই এলাকায় বিদ্যুতের অভাব ছিল এগুলো আমি খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের ঘরে আলো জ্বালিয়ে দিয়েছি। বন্যা হলে আমাদের আশ্রয়কেন্দ্র ছিল না আমি আআশ্রয়কেন্দ্র করে দিয়েছি। আপনারা গেলেই এগুলো দেখতে পারবেন।

সবসময় জনগণের পাশে ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি সবসময় জনগণের পাশে ছিলাম, তাদেরকে নিয়ে ভাবতাম, তাদের নিয়ে বসতাম, তাদের কথা শুনতাম, তাদের সুখ দুঃখের কথা শুনতাম। আজকে জনগণ আমার অপেক্ষায় আছে। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার আরো বেশি উন্নয়নমূলক কাজ করব। যে কাজগুলো করে যেতে পারেনি সে কাজগুলো করার আশাবাদ ব্যক্ত করি।

মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, লাল সবুজের পতাকা যারা এনে দিয়েছে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অনেক পরিবার অসহায়। তাদের জন্য সরকারের কাছ থেকে এবং নিজের তহবিল থেকে কিছু করার চেষ্টা করব। এলাকায় কমিটি করে তাদের সাথে নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করব।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা-১ আসনে সালমা ইসলাম এমপির মনোনয়ন বৈধ

আপডেট সময় ০১:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইয়ে ঢাকা-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলটির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপির প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।সোমবার সকালে ঢাকা জেলা প্রশাসক এবং জেলার পাঁচটি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আনিসুর রহমান এ মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন।

এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম মনোনয়নপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে দাখিল করায় তার মনোনয়নটি বৈধ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইয়ের শেষ দিনে প্রত্যেক প্রার্থীর প্রতিনিধি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ব্যাংক ও বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা।

ঢাকা-১ আসনে এবারের ভোটে লড়তে ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সালমা ইসলামসহ ৭ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর নথিপত্র ইস্যুতে ২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র স্থগিত রেখেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ৩০ নভেম্বর ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রির্টানিং কর্মকর্তার অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তিনি ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়ী হন। দশম জাতীয় সংসদে সালমা ইসলাম মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন বেশ কিছুদিন।

গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা-১ (দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সালমা ইসলাম বলেন, দোহার নবাবগঞ্জবাসী আমাকে চায়। আমি ঘরে ঘরে গিয়েছি, আমি তাদের কথা শুনেছি। আমি এলাকার ৮৬ টা রাস্তায় কার্পেটিংয়ের কাজ করেছি, ৬৪টা স্কুল কলেজ স্থাপন করেছি। স্কুল-কলেজ সরকারিকরণ করেছি। নদী ভাঙ্গন রোধে আমি ২১৭ কোটি টাকা সরকারের কাছ থেকে এনে নদী ভাঙ্গন রোধ করেছি। এই এলাকায় বিদ্যুতের অভাব ছিল এগুলো আমি খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের ঘরে আলো জ্বালিয়ে দিয়েছি। বন্যা হলে আমাদের আশ্রয়কেন্দ্র ছিল না আমি আআশ্রয়কেন্দ্র করে দিয়েছি। আপনারা গেলেই এগুলো দেখতে পারবেন।

সবসময় জনগণের পাশে ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি সবসময় জনগণের পাশে ছিলাম, তাদেরকে নিয়ে ভাবতাম, তাদের নিয়ে বসতাম, তাদের কথা শুনতাম, তাদের সুখ দুঃখের কথা শুনতাম। আজকে জনগণ আমার অপেক্ষায় আছে। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার আরো বেশি উন্নয়নমূলক কাজ করব। যে কাজগুলো করে যেতে পারেনি সে কাজগুলো করার আশাবাদ ব্যক্ত করি।

মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, লাল সবুজের পতাকা যারা এনে দিয়েছে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অনেক পরিবার অসহায়। তাদের জন্য সরকারের কাছ থেকে এবং নিজের তহবিল থেকে কিছু করার চেষ্টা করব। এলাকায় কমিটি করে তাদের সাথে নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করব।