রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সমবায় আন্দোলনকে টেকসই রূপ দিতে কৃষি ও অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগসহ উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণ ও পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। ৫১তম ‘জাতীয় সমবায় দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তার পাশাপাশি সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনমুখী হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই জাতির পিতার সমবায় ভাবনার আলোকে সকল ধরনের বৈষম্য দূর করে দেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে। শনিবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষ্যে আবদুল হামিদ সমবায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, আমি মনে করি ৫১তম জাতীয় সমবায় দিবস পালনের জন্য নির্ধারিত প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রাম সমবায়ের মাধ্যমে একটি স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কারণ, সমবায়কে তিনি (বঙ্গবন্ধু) উন্নয়নের অন্যতম প্রায়োগিক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। সেই লক্ষ্যেই তিনি গ্রামে-গ্রামে বহুমুখী কো-অপারেটিভ গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধু সমবায়ের আদর্শে দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা তৈরি করে সাধারণ মানুষের স্বনির্ভরতা অর্জনের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই সঙ্গে জাতির পিতার অর্থনৈতিক দর্শন ‘সমবায়’ শক্তিকে একটি গণমুখী সমবায় আন্দোলনে পরিণত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নানামুখী উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকার সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি জমি ও অন্যান্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে ব্যাপক কার্যক্রম নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র ঋণ, আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ ও উপকরণসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া রাষ্ট্রপতি ৫১তম জাতীয় সমবায় দিবসের সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।