ঢাকা ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুর কাহারোল থানাধীন এলাকা থেকে মার্ডার মামলার আসামীকে গ্রেফতার করলো ভাটারা থানা পুলিশ।

জনৈক মোঃ নবী হোসেন (৫৪), পিতা-মৃত আবুল হাসেম, মাতা-আতোর বানু, স্থায়ী সাং-দাগ নং-১৬৯৪, ছোলমাইদ মাদবর বাড়ী, থানা-ভাটারা, ঢাকা থানায় হাজির হয়ে এই মর্মে জানান যে, তার ছোট ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (১৯) ডুমনি আমিরজান স্কুল এন্ড কলেজে নবম শ্রেনীতে অধ্যায়ন করে। তারিখ ২৩/১১/২০২৩ ইং রাত্র অনুমান ০৯.০০ ঘটিকায় তার ছেলে তৌহিদুল বাসা হতে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে দীর্ঘক্ষণ বাসায় ফিরে না আসায় তার ছেলের মোবাইলে কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তারা চিন্তিত হয়ে তার ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। ইং ২৩-১১-২৩ তারিখ রাত্র অনুমান ১১.৩০ ঘটিকায় তার ছেলের মোবাইল হতে বাদির স্ত্রীকে ফোন কল দিলে রিসিভ করার পর অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি তাকে জানায় তৌহিদুল তাদের নিকট আছে। তৌহিদকে পেতে হলে ০২ ঘন্টার মধ্যে ৩০,০০,০০০/-(ত্রিশ লক্ষ) টাকা দিতে হবে এবং তাদেরকে দাবিকৃত টাকা না দিলে তৌহিদুলকে মেরে ফেলার হুমকিসহ বিভিন্ন প্রকারের হুমকি প্রদান করে। তৌহিদকে তার মা- বাবা, আত্মীয়-স্বজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ভাটারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন যাহা ভাটারা থানার মামলা-৫৫ তাং- ২৪/১১/২০২৩ ইং ; ধারা- ৩৬৫/৩৬৮/৩৮৫/৩৮৭ পেনাল কোড এফ আই আর হিসেবে রুজু হয় এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে এস আই/ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামকে দায়িত্বভার দেয়া হয়।
ভিকটিমের পরিবার-পরিজন-বন্ধু-বান্ধবদের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্য সংগ্রহপূর্বক তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে অজ্ঞাত নামা অপহরণকারী ও ভিকটিমের অবস্থান নির্ণয়পূর্বক এস আই / মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম সংগীয় এস আই/ মোহাম্মদ আল ইমাম রাজন, এ এস আই/ গোলাম মাওলা, কং/ ৫৩৩৯, মোঃ মোস্তাকিন সহ আসামী গ্রেফতার ও ভিকটিম উদ্ধারের জন্য ইং ২৬/১১/২০২৩ তারিখ দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানাধীন গাসারিয়া (ছাপড়া পাড়া), সান্দ্রাই উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর দিক সাকিনস্থ মুজাম্মেলের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে অত্র মামলার সন্দিগ্ধ আসামী জুয়েল রানা (২৭), পিতা- মুজাম্মেল হক, মাতা- জুলুফা বেগম স্থায়ী সাং- গাসারিয়া (ছাপড়া পাড়া), সান্দ্রাই উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর দিকে মুজাম্মেলের বাড়ী, থানা- কাহারোল, জেলাঃ দিনাজপুর কে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ভিকটিমকে তখন উদ্ধার করা সম্ভব হয় নাই।ধৃত আসামীকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার এবং বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।প্রাপ্ত সকল তথ্যাদি ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্থানে ও দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানা এলাকায় যাচাই-বাছাই শেষে এক পর্যায়ে ধৃত আসামীর নিকট ভিকটিমের ব্যবহৃত সিম আছে মর্মে প্রকাশ করে যা জব্দ হয়েছে।
পরবর্তীতে তাকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ধৃত আসামী গত ইং ২৩/১১/২০২৩ তারিখ রাত অনুমান সময় ২০.৩০ থেকে ২১.০০ ঘটিকার মধ্যে মামলার ভিকটিম তৌহিদকে টাকা আদাযয়ের জন্য কৌশলে ডেকে এনে ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাস্থ ব্লক- পি, প্লট- ৪৮৩৮ আপ্যায়ন ০৫ নম্বর রোডের পূর্ব পাশে খালি প্লটের মাঝখানে কাশবনে ফেলে রেখেছে বলে প্রকাশ করে। এস আই/ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও এস আই/ মোহাম্মদ আল ইমাম রাজনের নের্তৃত্বে গঠিত বিশেষ আভিযানিক টিম বিস্তারিত বিষয় ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন এবং ধৃত আসামীর নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে বর্ণিত স্থানে অভিযান চালিয়ে ভিকটিম এর মৃতদেহ উদ্ধারের ব্যবস্থাকরণের জন্য অনুরোধ করেন। সে মতে বাড্ডা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজন কুমার সাহা সহ ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ সাহেব বর্ণিত স্থান থেকে ভিকটিম এর বিভৎস ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দিনাজপুর কাহারোল থানাধীন এলাকা থেকে মার্ডার মামলার আসামীকে গ্রেফতার করলো ভাটারা থানা পুলিশ।

আপডেট সময় ১০:০৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

জনৈক মোঃ নবী হোসেন (৫৪), পিতা-মৃত আবুল হাসেম, মাতা-আতোর বানু, স্থায়ী সাং-দাগ নং-১৬৯৪, ছোলমাইদ মাদবর বাড়ী, থানা-ভাটারা, ঢাকা থানায় হাজির হয়ে এই মর্মে জানান যে, তার ছোট ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (১৯) ডুমনি আমিরজান স্কুল এন্ড কলেজে নবম শ্রেনীতে অধ্যায়ন করে। তারিখ ২৩/১১/২০২৩ ইং রাত্র অনুমান ০৯.০০ ঘটিকায় তার ছেলে তৌহিদুল বাসা হতে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে দীর্ঘক্ষণ বাসায় ফিরে না আসায় তার ছেলের মোবাইলে কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তারা চিন্তিত হয়ে তার ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। ইং ২৩-১১-২৩ তারিখ রাত্র অনুমান ১১.৩০ ঘটিকায় তার ছেলের মোবাইল হতে বাদির স্ত্রীকে ফোন কল দিলে রিসিভ করার পর অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি তাকে জানায় তৌহিদুল তাদের নিকট আছে। তৌহিদকে পেতে হলে ০২ ঘন্টার মধ্যে ৩০,০০,০০০/-(ত্রিশ লক্ষ) টাকা দিতে হবে এবং তাদেরকে দাবিকৃত টাকা না দিলে তৌহিদুলকে মেরে ফেলার হুমকিসহ বিভিন্ন প্রকারের হুমকি প্রদান করে। তৌহিদকে তার মা- বাবা, আত্মীয়-স্বজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ভাটারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন যাহা ভাটারা থানার মামলা-৫৫ তাং- ২৪/১১/২০২৩ ইং ; ধারা- ৩৬৫/৩৬৮/৩৮৫/৩৮৭ পেনাল কোড এফ আই আর হিসেবে রুজু হয় এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে এস আই/ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামকে দায়িত্বভার দেয়া হয়।
ভিকটিমের পরিবার-পরিজন-বন্ধু-বান্ধবদের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্য সংগ্রহপূর্বক তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে অজ্ঞাত নামা অপহরণকারী ও ভিকটিমের অবস্থান নির্ণয়পূর্বক এস আই / মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম সংগীয় এস আই/ মোহাম্মদ আল ইমাম রাজন, এ এস আই/ গোলাম মাওলা, কং/ ৫৩৩৯, মোঃ মোস্তাকিন সহ আসামী গ্রেফতার ও ভিকটিম উদ্ধারের জন্য ইং ২৬/১১/২০২৩ তারিখ দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানাধীন গাসারিয়া (ছাপড়া পাড়া), সান্দ্রাই উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর দিক সাকিনস্থ মুজাম্মেলের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে অত্র মামলার সন্দিগ্ধ আসামী জুয়েল রানা (২৭), পিতা- মুজাম্মেল হক, মাতা- জুলুফা বেগম স্থায়ী সাং- গাসারিয়া (ছাপড়া পাড়া), সান্দ্রাই উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর দিকে মুজাম্মেলের বাড়ী, থানা- কাহারোল, জেলাঃ দিনাজপুর কে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ভিকটিমকে তখন উদ্ধার করা সম্ভব হয় নাই।ধৃত আসামীকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার এবং বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।প্রাপ্ত সকল তথ্যাদি ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্থানে ও দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানা এলাকায় যাচাই-বাছাই শেষে এক পর্যায়ে ধৃত আসামীর নিকট ভিকটিমের ব্যবহৃত সিম আছে মর্মে প্রকাশ করে যা জব্দ হয়েছে।
পরবর্তীতে তাকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ধৃত আসামী গত ইং ২৩/১১/২০২৩ তারিখ রাত অনুমান সময় ২০.৩০ থেকে ২১.০০ ঘটিকার মধ্যে মামলার ভিকটিম তৌহিদকে টাকা আদাযয়ের জন্য কৌশলে ডেকে এনে ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাস্থ ব্লক- পি, প্লট- ৪৮৩৮ আপ্যায়ন ০৫ নম্বর রোডের পূর্ব পাশে খালি প্লটের মাঝখানে কাশবনে ফেলে রেখেছে বলে প্রকাশ করে। এস আই/ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও এস আই/ মোহাম্মদ আল ইমাম রাজনের নের্তৃত্বে গঠিত বিশেষ আভিযানিক টিম বিস্তারিত বিষয় ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন এবং ধৃত আসামীর নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে বর্ণিত স্থানে অভিযান চালিয়ে ভিকটিম এর মৃতদেহ উদ্ধারের ব্যবস্থাকরণের জন্য অনুরোধ করেন। সে মতে বাড্ডা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজন কুমার সাহা সহ ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ সাহেব বর্ণিত স্থান থেকে ভিকটিম এর বিভৎস ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করেন।