ঢাকা ০২:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে বেপরোয়া মৎস্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, বিপুল পরিমান ঝাটকা জব্দ।

 

পটুয়াখালী শহরস্থ ব্রীজ টোল প্লাজা এলাকায় শনিবার ২৫” নভেম্বর মধ্যে রাতে বিপুল পরিমান ঝাটকা জব্দ করেছে প্রশাসন।

গোপন সংবাদের ভিতিতে পটুয়াখালী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো, ওমর ফারুকের নেতৃত্বে কুয়াকাটা থেকে ছেড়ে আসা বিভিন্ন পরিবহনে ঝাটকা ইলিশের অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে কুয়াকাটা থেকে ছেড়ে আসা অন্তরা পরিবহন, ইসলাম পরিবহন,সেভেন স্টার পরিবহন, মিমজাল পরিবহন,রয়েল পরিবহন, সুগন্ধা পরিবহন, নিউ মর্ডান পরিবহনসহ একাধিক মিনি ট্রাকে অভিযান পরিচালনা করে ৪১০ কেজি ঝাটকা ইলিশ জব্দ এবং একজনকে আটক ও ২ জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে।

এসময় জেলা মৎস অফিসের খামার ব্যবস্থাপক শাহানাজ পারভীন এবং পটুয়াখালী র‍্যাব-৮ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সোহেল রানা উপস্থিত ছিলেন।

জব্দকৃত ঝাটকা পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এতিমখানা মাদ্রাসা সহ হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরন করা হয়।

উল্লেখ্যঃ দেশের ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে ঝাটকা আহরন, সংরক্ষন,এবং বিপনন,ও পরিবহনের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও এক শ্রেনীর অসাধু মৎস ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারনে সরকারের লক্ষ্য মাত্রা ভেস্তে যাচ্ছে।

মৎস অফিস সূত্রে জানা যায়, ১” নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ঝাটকা আহরন, সংরক্ষন এবং বিপন্ন নিষিদ্ধ। এবং উপকূলীয় নদ নদীতে সাড়ে নয় ইঞ্চির কম ব্যসের জাল ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও পটুয়াখালী উপকূলীয় এলাকার জেলেরা মৎস ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটের খপ্পরে পরে ঝাটকা ইলিশ আহরন করে থাকে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে উপকূলীয় একাধিক জেলেরা জানান, আমরা পেটের দায়ে মৎস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দাদন নেই। সেই দানের টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও আমাদেরকে ঝাটকা ইলিশ ধরতে বাধ্য করে।

মহিপুর আলীপুর মৎস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাসুম বেপারী বলেন,নদ-নদী এবং সমুদ্রে মাছ ধরার সময় কিছু ঝাটকা ধরা পরে যা বিভিন্ন বাজারে যারযার মতো করে সরবরাহ
করে। আমি ঝাটকা ব্যবসার সাথে জড়িত নই।।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক আলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, পটুয়াখালীর বাজারে মায়ের দোয়া মৎস্য আড়দের নামে বেশি পরিমান ঝাটকা সরবরাহ হয়। উক্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে তার আড়ৎ এর জনৈক কর্মচারী জানান, অবরোধের মধ্যে আমাদের আড়ৎদেই বেশি ঝাটকা বিক্রি করে থাকি।

এ বিষয় পটুয়াখালী নিউ মার্কেট মায়ের দোয়া মৎস আড়ৎ এর মালিক জব্বার ফকির বলেন,
আমি কোন ঝাটকার ব্যাবসা করি না উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিককে বলে আপনি কে আপনাকেতো চিনলাম না বলে দেখিয়ে দেয়ার হুমকি দেন।

দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় মৎস ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট রুখতে সংশিষ্ট কতৃপক্ষের নজরদারীর বাড়ানোর জন্য বিশিষ্ট জনেরা অভিমত প্রকাশ করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালীতে বেপরোয়া মৎস্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, বিপুল পরিমান ঝাটকা জব্দ।

আপডেট সময় ১০:২৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

 

পটুয়াখালী শহরস্থ ব্রীজ টোল প্লাজা এলাকায় শনিবার ২৫” নভেম্বর মধ্যে রাতে বিপুল পরিমান ঝাটকা জব্দ করেছে প্রশাসন।

গোপন সংবাদের ভিতিতে পটুয়াখালী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো, ওমর ফারুকের নেতৃত্বে কুয়াকাটা থেকে ছেড়ে আসা বিভিন্ন পরিবহনে ঝাটকা ইলিশের অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে কুয়াকাটা থেকে ছেড়ে আসা অন্তরা পরিবহন, ইসলাম পরিবহন,সেভেন স্টার পরিবহন, মিমজাল পরিবহন,রয়েল পরিবহন, সুগন্ধা পরিবহন, নিউ মর্ডান পরিবহনসহ একাধিক মিনি ট্রাকে অভিযান পরিচালনা করে ৪১০ কেজি ঝাটকা ইলিশ জব্দ এবং একজনকে আটক ও ২ জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে।

এসময় জেলা মৎস অফিসের খামার ব্যবস্থাপক শাহানাজ পারভীন এবং পটুয়াখালী র‍্যাব-৮ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সোহেল রানা উপস্থিত ছিলেন।

জব্দকৃত ঝাটকা পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এতিমখানা মাদ্রাসা সহ হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরন করা হয়।

উল্লেখ্যঃ দেশের ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে ঝাটকা আহরন, সংরক্ষন,এবং বিপনন,ও পরিবহনের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও এক শ্রেনীর অসাধু মৎস ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারনে সরকারের লক্ষ্য মাত্রা ভেস্তে যাচ্ছে।

মৎস অফিস সূত্রে জানা যায়, ১” নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ঝাটকা আহরন, সংরক্ষন এবং বিপন্ন নিষিদ্ধ। এবং উপকূলীয় নদ নদীতে সাড়ে নয় ইঞ্চির কম ব্যসের জাল ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও পটুয়াখালী উপকূলীয় এলাকার জেলেরা মৎস ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটের খপ্পরে পরে ঝাটকা ইলিশ আহরন করে থাকে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে উপকূলীয় একাধিক জেলেরা জানান, আমরা পেটের দায়ে মৎস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দাদন নেই। সেই দানের টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও আমাদেরকে ঝাটকা ইলিশ ধরতে বাধ্য করে।

মহিপুর আলীপুর মৎস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাসুম বেপারী বলেন,নদ-নদী এবং সমুদ্রে মাছ ধরার সময় কিছু ঝাটকা ধরা পরে যা বিভিন্ন বাজারে যারযার মতো করে সরবরাহ
করে। আমি ঝাটকা ব্যবসার সাথে জড়িত নই।।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক আলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, পটুয়াখালীর বাজারে মায়ের দোয়া মৎস্য আড়দের নামে বেশি পরিমান ঝাটকা সরবরাহ হয়। উক্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে তার আড়ৎ এর জনৈক কর্মচারী জানান, অবরোধের মধ্যে আমাদের আড়ৎদেই বেশি ঝাটকা বিক্রি করে থাকি।

এ বিষয় পটুয়াখালী নিউ মার্কেট মায়ের দোয়া মৎস আড়ৎ এর মালিক জব্বার ফকির বলেন,
আমি কোন ঝাটকার ব্যাবসা করি না উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিককে বলে আপনি কে আপনাকেতো চিনলাম না বলে দেখিয়ে দেয়ার হুমকি দেন।

দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় মৎস ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট রুখতে সংশিষ্ট কতৃপক্ষের নজরদারীর বাড়ানোর জন্য বিশিষ্ট জনেরা অভিমত প্রকাশ করেন।