ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪ দফা দাবি জানিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা খেলাফত আন্দোলনের

  • আবু নাছের রিয়াদ
  • আপডেট সময় ১১:০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩
  • ৫৪১ বার পড়া হয়েছে

৪ দফা দাবি জানিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।

শনিবার ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে জামিয়া নূরিয়ায় দলটির প্রধান আতাউল্লাহ হাফেজ্জী এই ঘোষণা দেন।অতীতের মতো ‘বটগাছ’ প্রতীক নিয়ে দলটি নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশন ও সরকারের কাছে তাদের ৪ দাবি হচ্ছে- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পেছানো, নির্বাচনের আগে নিরপরাধ উলামায়ে কেরামের নি:শর্ত মুক্তি, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণা করা।

এর আগে জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ায় খেলাফত আন্দোলনের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম মজলিসে শূরার অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

মজলিসে শূরার অধিকাংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে অধিবেশনের সভাপতি আতাউল্লাহ হাফেজ্জী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হজরত হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) ১৯৮১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দল-মত,ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি তওবার আহবান জানিয়ে রাজনীতির ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যেমন গুনাহ তেমন তওবা। অতীতে যারা ভোট দিয়ে জালেমদেরকে নির্বাচিত করেছে, অযোগ্য লোককে সমর্থন করে গুনাহগার হয়েছে তাদেরকে সৎ,যোগ্য ও আল্লাহভীরু লোককে ভোট দিয়ে আল্লাহর জমিনে কুরআন সুন্নাহর শাসন তথা ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে ভোটের তওবা ভোটের মাধ্যমে করতে হবে। হজরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার দাওয়াত নিয়ে নির্বাচনের মাঠে অবতীর্ণ হওয়াকে জেহাদের অংশ মনে করতেন। তাই খেলাফত আন্দোলন আল্লাহর উপর ভরসা করে অতীতের ন্যায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বটগাছ প্রতীক নিয়ে খেলাফত প্রতিষ্ঠার জিহাদে অংশ গ্রহন করবে, ইনশাআল্লাহ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নয়টি ইসলামী দলের ১৪ জন নেতা। সেখানে খেলাফত আন্দোলনের আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ও মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীও ছিলেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৪ দফা দাবি জানিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা খেলাফত আন্দোলনের

আপডেট সময় ১১:০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

৪ দফা দাবি জানিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।

শনিবার ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে জামিয়া নূরিয়ায় দলটির প্রধান আতাউল্লাহ হাফেজ্জী এই ঘোষণা দেন।অতীতের মতো ‘বটগাছ’ প্রতীক নিয়ে দলটি নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশন ও সরকারের কাছে তাদের ৪ দাবি হচ্ছে- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পেছানো, নির্বাচনের আগে নিরপরাধ উলামায়ে কেরামের নি:শর্ত মুক্তি, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণা করা।

এর আগে জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ায় খেলাফত আন্দোলনের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম মজলিসে শূরার অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

মজলিসে শূরার অধিকাংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে অধিবেশনের সভাপতি আতাউল্লাহ হাফেজ্জী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হজরত হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) ১৯৮১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দল-মত,ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি তওবার আহবান জানিয়ে রাজনীতির ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যেমন গুনাহ তেমন তওবা। অতীতে যারা ভোট দিয়ে জালেমদেরকে নির্বাচিত করেছে, অযোগ্য লোককে সমর্থন করে গুনাহগার হয়েছে তাদেরকে সৎ,যোগ্য ও আল্লাহভীরু লোককে ভোট দিয়ে আল্লাহর জমিনে কুরআন সুন্নাহর শাসন তথা ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে ভোটের তওবা ভোটের মাধ্যমে করতে হবে। হজরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার দাওয়াত নিয়ে নির্বাচনের মাঠে অবতীর্ণ হওয়াকে জেহাদের অংশ মনে করতেন। তাই খেলাফত আন্দোলন আল্লাহর উপর ভরসা করে অতীতের ন্যায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বটগাছ প্রতীক নিয়ে খেলাফত প্রতিষ্ঠার জিহাদে অংশ গ্রহন করবে, ইনশাআল্লাহ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নয়টি ইসলামী দলের ১৪ জন নেতা। সেখানে খেলাফত আন্দোলনের আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ও মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীও ছিলেন।