ঢাকা ১০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দর্শনা কেরুজ চিনিকলের মাড়াই মৌসুমের স্লো-ফায়ারিংয়ের উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরুজ চিনিকলের ২০২৩-২৪ মৌসুমে আখ মাড়াই উপলক্ষে চিনিকলের বয়লিং হাউজে স্লো-ফায়ারিং শুভ উদ্ধোধন অনুষ্টিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ২ টায় কেরুজ বয়লিং হাউজের সামনে স্লো-ফাযারিং উপলক্ষে দুপুরে মিল হাউজের বয়লার বিভাগে এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন।

এ সময় তিনি বলেন, ১৯৩৮ সাল থেকে মিলটি একই ভাবে চলছে। তবে মিলটি ইতিমধ্যে বিএমআর আইয়ের কাজ চলছে। তাই বয়লিং হাউজ মিলের একটি গুরুত্বপুর্ন জায়গা। সেজন্য আমরা পরিক্ষা মৃলকভাবে ১৫/২০ দিন আগে দেখে নিই কোন সমস্যা আছে কিনা।যদি সমস্য থাকে তাহলে আমরা দ্রত সারিয়ে তুলতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, গত বছর মিলটি আখের অভাবে ৪২ কার্য দিবসে মিলটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। তাই এবার ২ মাসের অধিক মিলটি চলে সবার প্রতি অনুরোধ করেন।

তিনি প্রত্যেক শ্রমিক কর্মচারীদের অনুরোধ করে বলেন, আপনারা মিলটি টিকিয়ে রাখতে হলে সবাই আখ লাগান মিলটি প্রান ফিরে পাক। ২০২৩-২৪ মাড়াই মৌসুমে বড় ধরনের কোন যান্ত্রিক সমস্যার সম্মূখীন হতে না হয় সেজন্য সকল যন্ত্রাংশ ট্রাইল দেওয়া হচ্ছে পাশাপাশি কোন সমস্য আছে কিনা সেটিও দেখা হচ্ছে। মিলটি মাড়াই মরসুম সুন্দর ও সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে সকল ধরনের প্রস্তুত নেওয়া হয়েছে। আশা রাখি সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে মাড়াই মরসুম সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। সেই সাথে সকলের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব হবে। তবে চিনি উৎপাদনের একমাত্র কাচামাল হচ্ছে আখ।

তিনি এ অঞ্চলের চাষিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরও বলেছেন, দেশের ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান, জেলার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান কেরুজ চিনিকলকে রক্ষা করতে বেশি বেশি করে আখ চাষের কোনো বিকল্প নেই ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,কেরু চিনিকলের মহাব্যাবস্থাপক অর্থ আব্দুস সাত্তার,জি এম কৃষি আশরাফুল আলম ভৃইয়া,চিনিকলের কারখানা মহাব্যাবস্থাপক সুমন কুমার সাহা,এ ডি এম ইউসুফ আলী,ষ্টোর কিপার ইনচার্জ লিংকন ঢালী,কেরু শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ,সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ,সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী,সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক খবির উদ্দিন,এ অনুষ্টানের দোয়া পরিচালনা করেন কেরু জামে মসজিদের পেশ ইমাম সামসুজোহা,ও মুয়াজ্জিন নেছার উদ্দিন,অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহ সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান।

এ বছর মাড়াই মৌসুমে ১ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। চিনিকলের নিজস্ব ১ হাজার ৫৫০ একর জমিতে ২৪ হাজার মেট্রিক টন আখ উৎপাদন করেছিল। এবং কৃষকের ৬ হাজার ৯৮২ একর জমির ৯৪ হাজার মেট্রিক টন আখ লাগিয়েছিলো। কিন্তু এবার মাত্র ৪৫ দিবসে আখ মাড়াই কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে বলে ধারনা করছে কেরুজ কতৃপক্ষ।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দর্শনা কেরুজ চিনিকলের মাড়াই মৌসুমের স্লো-ফায়ারিংয়ের উদ্বোধন

আপডেট সময় ০৩:৫৬:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরুজ চিনিকলের ২০২৩-২৪ মৌসুমে আখ মাড়াই উপলক্ষে চিনিকলের বয়লিং হাউজে স্লো-ফায়ারিং শুভ উদ্ধোধন অনুষ্টিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ২ টায় কেরুজ বয়লিং হাউজের সামনে স্লো-ফাযারিং উপলক্ষে দুপুরে মিল হাউজের বয়লার বিভাগে এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন।

এ সময় তিনি বলেন, ১৯৩৮ সাল থেকে মিলটি একই ভাবে চলছে। তবে মিলটি ইতিমধ্যে বিএমআর আইয়ের কাজ চলছে। তাই বয়লিং হাউজ মিলের একটি গুরুত্বপুর্ন জায়গা। সেজন্য আমরা পরিক্ষা মৃলকভাবে ১৫/২০ দিন আগে দেখে নিই কোন সমস্যা আছে কিনা।যদি সমস্য থাকে তাহলে আমরা দ্রত সারিয়ে তুলতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, গত বছর মিলটি আখের অভাবে ৪২ কার্য দিবসে মিলটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। তাই এবার ২ মাসের অধিক মিলটি চলে সবার প্রতি অনুরোধ করেন।

তিনি প্রত্যেক শ্রমিক কর্মচারীদের অনুরোধ করে বলেন, আপনারা মিলটি টিকিয়ে রাখতে হলে সবাই আখ লাগান মিলটি প্রান ফিরে পাক। ২০২৩-২৪ মাড়াই মৌসুমে বড় ধরনের কোন যান্ত্রিক সমস্যার সম্মূখীন হতে না হয় সেজন্য সকল যন্ত্রাংশ ট্রাইল দেওয়া হচ্ছে পাশাপাশি কোন সমস্য আছে কিনা সেটিও দেখা হচ্ছে। মিলটি মাড়াই মরসুম সুন্দর ও সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে সকল ধরনের প্রস্তুত নেওয়া হয়েছে। আশা রাখি সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে মাড়াই মরসুম সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। সেই সাথে সকলের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব হবে। তবে চিনি উৎপাদনের একমাত্র কাচামাল হচ্ছে আখ।

তিনি এ অঞ্চলের চাষিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরও বলেছেন, দেশের ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান, জেলার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান কেরুজ চিনিকলকে রক্ষা করতে বেশি বেশি করে আখ চাষের কোনো বিকল্প নেই ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,কেরু চিনিকলের মহাব্যাবস্থাপক অর্থ আব্দুস সাত্তার,জি এম কৃষি আশরাফুল আলম ভৃইয়া,চিনিকলের কারখানা মহাব্যাবস্থাপক সুমন কুমার সাহা,এ ডি এম ইউসুফ আলী,ষ্টোর কিপার ইনচার্জ লিংকন ঢালী,কেরু শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ,সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ,সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী,সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক খবির উদ্দিন,এ অনুষ্টানের দোয়া পরিচালনা করেন কেরু জামে মসজিদের পেশ ইমাম সামসুজোহা,ও মুয়াজ্জিন নেছার উদ্দিন,অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহ সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান।

এ বছর মাড়াই মৌসুমে ১ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। চিনিকলের নিজস্ব ১ হাজার ৫৫০ একর জমিতে ২৪ হাজার মেট্রিক টন আখ উৎপাদন করেছিল। এবং কৃষকের ৬ হাজার ৯৮২ একর জমির ৯৪ হাজার মেট্রিক টন আখ লাগিয়েছিলো। কিন্তু এবার মাত্র ৪৫ দিবসে আখ মাড়াই কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে বলে ধারনা করছে কেরুজ কতৃপক্ষ।