ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালী এলজিইডি‘র ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ লুট।

ভুয়া প্রকল্পে অর্থ,লুট সংশ্লিষ্ট নথি গায়েব, প্রতিবেদককে মনগড়া বক্তব্য প্রদানের অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালী এলজিইডির কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে।

অভিযুক্তরা একটি সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের সয়েল টেষ্ট দেখিয়ে ১১ লাখ,৯৮ হাজার ৯শ টাকা লুট করে এদিকে অ্যাপ্রোচ সড়কের ঠিকাদার গিয়াস উদ্দিনের দাবি-ওই প্রকল্পে কোন সয়েল টেষ্ট হয়নি। জানাগেছে,-একই কার্যালয়ের ল্যাব সহকারী আমিনুল ইসলামের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান “জাহানারা সয়েল টেষ্ট এন্ড ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং” এর নামে বিল প্রদান করে এলজিইডি।

অভিযোগ অনুসন্ধানে- পৃথক দুটি দরপত্রে বিবিএম ও ইফতি এফটিসিএল এন্টার প্রাইজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কলাপাড়া উপজেলার রামনাবাদ নদীতে নির্মিত “সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর” অ্যাপ্রোচ সড়কটি ২২ কোটি,৯৫ লাখ, উনষাঠ হাজার,৮২০ টাকা ব্যায়ে প্রকল্পটি ২০২১ সালের ৩০ মার্চ শেষ করে পটুয়াখালী এলজিইডি। এবং গত জুনের মাঝদিকে চুড়ান্ত অর্থ পরিশোধ করা হয়। ওই বছরের ১৪ জুন অ্যাপ্রোচ সড়কে সয়েল টেষ্টের নামে পৃথক তিনটি কোটেশন করে “জাহানারা সয়েল টেষ্ট এন্ড ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং” এর নামে ১১ লাখ, ৯৮ হাজার ৯’শ টাকার বিল প্রস্তুত করা হয় এলজিইডি থেকে। ওই বিলের অনুমোদন করেন তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম শাহাবুদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টরা।পরবর্তীতে এসব অভিযোগ লোপাটে উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট নথি গায়েব করা হয়। তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়া হলেও এলজিইডি‘র সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মির আলী শাকির (অভিযুক্ত) তথ্য গোপন করে প্রতিবেদককে মনগড়া তথ্য দেন। এসব প্রসঙ্গে তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম শাহাবুদ্দিনকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি তার স্ত্রীকে দিয়ে কল রিসিভ করান।
‘সয়েল টেষ্ট প্রতিষ্ঠানটির মালিক অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে তলের বিড়াল, জানাগেছে পটুয়াখালী এলজিইডির র্নিবাহী প্রকৌশলী দপ্তরের ল্যাব সহকারী আমিনুল ইসলামের স্ত্রী মোসাঃ জোহরা বেগম। এসব বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করলে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানটির সাইনর্বোড অপসারন করে আমিনুল ইসলাম দাবি করেন-জাহানারা প্রতিষ্ঠানটি বরিশালের জনৈক সিদ্দিকুর রহমানের, তিনি শুধু মধ্যস্বত্বভোগী। বরিশাল জনৈক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন-“আমি সয়েল টেষ্টের কাজ করি। কিন্তু যে প্রসঙ্গে কল দিয়েছেন,তাতে ভেজাল আছে। বিস্তারতি জানতে চাইলে তিনি বলতে অনিহা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে দেখা গেছে-“জাহানারা সয়েল টেষ্ট এন্ড ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং” এলজিইডির ল্যাব সহকারী আমিনুল ইসলামের মায়ের নামকৃত প্রতিষ্ঠানটির মালিক তার স্ত্রী মোসাঃ জোহরা বেগম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেডলাইসেন্সে পাওয়া গেছে আমিনুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার। এ ঘটনায় মৌখিকভাবে এলজিইডির কাছে তথ্য চাওয়া হলে সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মীর আলী শাকির কোন তথ্য দেননি।

সুত্রমতে আমীনুল ইসলামের মুল কর্মস্থল জেলার দশমিনা উপজেলার এলজিইডি কার্যালয়ের কার্যসহকারী পদে হলেও র্দীঘদিন পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে ল্যাব সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে ঠিকাদারী পেশায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে এবং তার বোনর জামাতা আবুল হোসেনের নামে র্দীঘদিন ঠিকাদারী কাজ করছেন। নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ লতিফ হোসেন বলেন-যেহেতু বিষয়টি আমার দায়িত্বের পূর্বের ঘটনায়, তাই এ সর্ম্পকে আমি অবগত নই,তবে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মহির উদ্দিন সেখ বলেন-বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশল দপ্তরের, তাদের সঙ্গে কথা বললে তারাই ভালো বলতে পারবেন বলে জানান।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালী এলজিইডি‘র ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ লুট।

আপডেট সময় ১০:৪৭:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

ভুয়া প্রকল্পে অর্থ,লুট সংশ্লিষ্ট নথি গায়েব, প্রতিবেদককে মনগড়া বক্তব্য প্রদানের অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালী এলজিইডির কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে।

অভিযুক্তরা একটি সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের সয়েল টেষ্ট দেখিয়ে ১১ লাখ,৯৮ হাজার ৯শ টাকা লুট করে এদিকে অ্যাপ্রোচ সড়কের ঠিকাদার গিয়াস উদ্দিনের দাবি-ওই প্রকল্পে কোন সয়েল টেষ্ট হয়নি। জানাগেছে,-একই কার্যালয়ের ল্যাব সহকারী আমিনুল ইসলামের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান “জাহানারা সয়েল টেষ্ট এন্ড ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং” এর নামে বিল প্রদান করে এলজিইডি।

অভিযোগ অনুসন্ধানে- পৃথক দুটি দরপত্রে বিবিএম ও ইফতি এফটিসিএল এন্টার প্রাইজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কলাপাড়া উপজেলার রামনাবাদ নদীতে নির্মিত “সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর” অ্যাপ্রোচ সড়কটি ২২ কোটি,৯৫ লাখ, উনষাঠ হাজার,৮২০ টাকা ব্যায়ে প্রকল্পটি ২০২১ সালের ৩০ মার্চ শেষ করে পটুয়াখালী এলজিইডি। এবং গত জুনের মাঝদিকে চুড়ান্ত অর্থ পরিশোধ করা হয়। ওই বছরের ১৪ জুন অ্যাপ্রোচ সড়কে সয়েল টেষ্টের নামে পৃথক তিনটি কোটেশন করে “জাহানারা সয়েল টেষ্ট এন্ড ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং” এর নামে ১১ লাখ, ৯৮ হাজার ৯’শ টাকার বিল প্রস্তুত করা হয় এলজিইডি থেকে। ওই বিলের অনুমোদন করেন তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম শাহাবুদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টরা।পরবর্তীতে এসব অভিযোগ লোপাটে উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট নথি গায়েব করা হয়। তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়া হলেও এলজিইডি‘র সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মির আলী শাকির (অভিযুক্ত) তথ্য গোপন করে প্রতিবেদককে মনগড়া তথ্য দেন। এসব প্রসঙ্গে তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম শাহাবুদ্দিনকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি তার স্ত্রীকে দিয়ে কল রিসিভ করান।
‘সয়েল টেষ্ট প্রতিষ্ঠানটির মালিক অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে তলের বিড়াল, জানাগেছে পটুয়াখালী এলজিইডির র্নিবাহী প্রকৌশলী দপ্তরের ল্যাব সহকারী আমিনুল ইসলামের স্ত্রী মোসাঃ জোহরা বেগম। এসব বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করলে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানটির সাইনর্বোড অপসারন করে আমিনুল ইসলাম দাবি করেন-জাহানারা প্রতিষ্ঠানটি বরিশালের জনৈক সিদ্দিকুর রহমানের, তিনি শুধু মধ্যস্বত্বভোগী। বরিশাল জনৈক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন-“আমি সয়েল টেষ্টের কাজ করি। কিন্তু যে প্রসঙ্গে কল দিয়েছেন,তাতে ভেজাল আছে। বিস্তারতি জানতে চাইলে তিনি বলতে অনিহা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে দেখা গেছে-“জাহানারা সয়েল টেষ্ট এন্ড ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং” এলজিইডির ল্যাব সহকারী আমিনুল ইসলামের মায়ের নামকৃত প্রতিষ্ঠানটির মালিক তার স্ত্রী মোসাঃ জোহরা বেগম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেডলাইসেন্সে পাওয়া গেছে আমিনুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার। এ ঘটনায় মৌখিকভাবে এলজিইডির কাছে তথ্য চাওয়া হলে সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মীর আলী শাকির কোন তথ্য দেননি।

সুত্রমতে আমীনুল ইসলামের মুল কর্মস্থল জেলার দশমিনা উপজেলার এলজিইডি কার্যালয়ের কার্যসহকারী পদে হলেও র্দীঘদিন পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে ল্যাব সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে ঠিকাদারী পেশায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে এবং তার বোনর জামাতা আবুল হোসেনের নামে র্দীঘদিন ঠিকাদারী কাজ করছেন। নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ লতিফ হোসেন বলেন-যেহেতু বিষয়টি আমার দায়িত্বের পূর্বের ঘটনায়, তাই এ সর্ম্পকে আমি অবগত নই,তবে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মহির উদ্দিন সেখ বলেন-বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশল দপ্তরের, তাদের সঙ্গে কথা বললে তারাই ভালো বলতে পারবেন বলে জানান।