ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদগঞ্জে রুপসা ইউনিয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন,

২৪ নভেম্বর বাদ জুমা নামাজের পর সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন,১৫ নং উত্তর রূপসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাউছারুল আলম কামরুল ও গ্রামবাসির উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন জমিদাতা পরিবারের পক্ষে সৈয়দ শাহ মোহাম্মদ আমিনুল আজিম বেলাল মিয়া।

অবহেলিত গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নিজের গ্রাম রেখে দূরের একটা প্রাইমারি স্কুলে যায়। সেই সকালে তিন চার কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে হেঁটে স্কুলে যায় আবার শেষ বিকেলে হাটু পযর্ন্ত ধুলাবালি লাগিয়ে অনেকটা ঝিমুতে ঝিমুতে বাড়ি ফেরে। সন্তানের কষ্ট বুঝতে পারেন না এমন বাবা-মা আছেন বললে বড্ড ভূল বলা হবে। কেননা সন্তানের কষ্ট আল্লাহর পরে বাবা মা বুঝতে পারেন। কিন্তু বুঝেও বা কি লাভ। সব সময় সব কিছু বুঝেও কাজে আসে না। বুঝেও অবুঝ সেজে বসে থাকতে হয় নিরবে নিবিঘ্নে। কাছাকাছি কোথাও প্রাইমারি স্কুল নাই। আর তাইতো দায়ে পড়ে সব কিছু বুঝেও ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দুরের স্কুলে পাঠাতে হতো বাবা মা’দের।এতে গ্রামের অনেক শিশুই ঝড়েপড়তো প্রাইমারি শিক্ষার গন্ডি থেকে।
১৫ নং উত্তর রূপসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিক্ষানুরাগী কাউছারুল আলম কামরুল তার তীক্ষ্ণ অন্তদৃষ্টি দিয়ে ছেলে মেয়েদের এমন কষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন। আর তাইতো নিজেকে থামিয়ে রাখতে না পেরে গ্রামের কিছু সচেতন ব্যক্তিদের ডেকে একটা আলোচনা করেন। গ্রামে একটা প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব রাখেন।চেয়ারম্যানের এমন মহানুভব উদ্যোগে সন্তুষ্টি জ্ঞাপন পূর্বক গ্রামের সকল সচেতন মানুষ একাগ্রতা ঘোষণা করেন। এগিয়ে আসেন আপনা আপনি, গ্রামের সকল মানুষ চেয়ারম্যানের প্রস্তাবে উৎফুল্ল হয়ে তার প্রশংসায় মত্ব হয়ে উঠেন। ব্যাপক সাড়া পড়ে চেয়ারম্যান এর উদ্যোগে।

আলোচনায় এটা নির্ধারণ হয়ে যে আসলেই গ্রামে একটা প্রাইমারি স্কুল থাকাটা খুব জরুরি। তখন প্রশ্ন এসে দাঁড়ায় স্কুল নির্মাণ করতে হবে ঠিক আছে কিন্তু স্কুল নির্মাণের জন্য কিছু জায়গা প্রয়োজন। সুহৃদয়বান, সচেতন, শিক্ষানুরাগী ও শিশু প্রেমী মানুষেরা যাদের মনে শুধু সমাজ নিয়ে ভাবনা। অদূর ভবিষ্যাতে সমাজের কি হবে সেটা নিয়ে মাথা ঘামান, একটা শিক্ষিত সমাজের স্বপ্ন দেখেন। প্রকৃত অর্থে সমাজের মহানুভব ব্যক্তিরা কখনও তাদের ব্যক্তিস্বার্থকে বড় করে দেখেন না বা দেখতে পারেন না। তারই এক বাস্তব প্রমাণ সৈয়দ আনোয়ারুল আজিমের স্ত্রী সান্তানেরা।
স্কুল নির্মাণের জায়গার জন্য বৈঠকে মানুষ যখন হন্ন হয়ে মাথা খাটাচ্ছিলেন তখন কিছু না ভেবেই সহৃদয়বান ব্যক্তি সৈয়দ আনোয়ারুল আজিমের পরিবার নিজেদের জায়গা দিয়ে দেন। শিক্ষার জন্য, সমাজের কল্যাণের জন্য বিশেষ করে যারা শিশুদের ভালোবাসেন, শিশুদের নিয়ে ভাবেন, শিশুদের পথচলাকে সহজ করতে কাজ করে যান। তাদের হৃদয়ের কোমলমতী মমতা, হৃদয়ের প্রশস্ততা মনে শান্তি বয়ে আনে।

অবশেষে ১৫ নং উত্তর রূপসা ২নং ওয়ার্ডের সর্দারপাড়া গ্রাম প্রস্তাবিত গ্রামের নতুন নাম(মুজিবনগর) সৈয়দ আনোয়ারুল আজিমের পরিবারের দেওয়া জায়গার উপর তৈরি হয় স্কুল তৈরির আনুষ্ঠানিকতা,এবং তা এই ভিত্তি প্রস্তরের উদ্ভোদনের মাধ্যমে পূর্নাঙ্গরূপে এগিয়ে যায়,

এসময় ১৫নং উত্ইতর রূপসা উনিয়ন এর চেয়ারম্যান কাউছারুল আলম কামরুল,মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের দরবারে এই মহত কাজটি সঠিক ভাবে সময়ের মধ্যে সুসম্পন্ন করার তৌফিক দান করে সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।

এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রুপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জনাব, ২নং ওয়ার্ড হাছান আলী ৩নং ওয়ার্ড মোঃ শফিকুর রহমান ৪নং ওয়ার্ড মোঃ আনোয়ার হোসেন ৫নং ওয়ার্ড মোঃ আনোয়ার হোসেন রতন, ৭নং ওয়ার্ড মোঃ ইব্রাহিম মৃধা ৯নং ওয়ার্ড মোঃইউনুছ পাটোয়ারী।
তাছাড়া রুপসা বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ আজিম হোসেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল রানা সহঃ সভাপতি ফারুক খান, মাহাবুব পাটোয়ারী। সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ মুন্সি, সদস্য মোঃ শরিফুল আলম। আমন্ত্রিত মেহমান সমাজ সেবক মোঃ আমির হোসেন মুন্সি, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ দেলোয়ার হোসেন এবং ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম ফরহাদ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে রুপসা ইউনিয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন,

আপডেট সময় ০৯:৪১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

২৪ নভেম্বর বাদ জুমা নামাজের পর সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন,১৫ নং উত্তর রূপসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাউছারুল আলম কামরুল ও গ্রামবাসির উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন জমিদাতা পরিবারের পক্ষে সৈয়দ শাহ মোহাম্মদ আমিনুল আজিম বেলাল মিয়া।

অবহেলিত গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নিজের গ্রাম রেখে দূরের একটা প্রাইমারি স্কুলে যায়। সেই সকালে তিন চার কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে হেঁটে স্কুলে যায় আবার শেষ বিকেলে হাটু পযর্ন্ত ধুলাবালি লাগিয়ে অনেকটা ঝিমুতে ঝিমুতে বাড়ি ফেরে। সন্তানের কষ্ট বুঝতে পারেন না এমন বাবা-মা আছেন বললে বড্ড ভূল বলা হবে। কেননা সন্তানের কষ্ট আল্লাহর পরে বাবা মা বুঝতে পারেন। কিন্তু বুঝেও বা কি লাভ। সব সময় সব কিছু বুঝেও কাজে আসে না। বুঝেও অবুঝ সেজে বসে থাকতে হয় নিরবে নিবিঘ্নে। কাছাকাছি কোথাও প্রাইমারি স্কুল নাই। আর তাইতো দায়ে পড়ে সব কিছু বুঝেও ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দুরের স্কুলে পাঠাতে হতো বাবা মা’দের।এতে গ্রামের অনেক শিশুই ঝড়েপড়তো প্রাইমারি শিক্ষার গন্ডি থেকে।
১৫ নং উত্তর রূপসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিক্ষানুরাগী কাউছারুল আলম কামরুল তার তীক্ষ্ণ অন্তদৃষ্টি দিয়ে ছেলে মেয়েদের এমন কষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন। আর তাইতো নিজেকে থামিয়ে রাখতে না পেরে গ্রামের কিছু সচেতন ব্যক্তিদের ডেকে একটা আলোচনা করেন। গ্রামে একটা প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব রাখেন।চেয়ারম্যানের এমন মহানুভব উদ্যোগে সন্তুষ্টি জ্ঞাপন পূর্বক গ্রামের সকল সচেতন মানুষ একাগ্রতা ঘোষণা করেন। এগিয়ে আসেন আপনা আপনি, গ্রামের সকল মানুষ চেয়ারম্যানের প্রস্তাবে উৎফুল্ল হয়ে তার প্রশংসায় মত্ব হয়ে উঠেন। ব্যাপক সাড়া পড়ে চেয়ারম্যান এর উদ্যোগে।

আলোচনায় এটা নির্ধারণ হয়ে যে আসলেই গ্রামে একটা প্রাইমারি স্কুল থাকাটা খুব জরুরি। তখন প্রশ্ন এসে দাঁড়ায় স্কুল নির্মাণ করতে হবে ঠিক আছে কিন্তু স্কুল নির্মাণের জন্য কিছু জায়গা প্রয়োজন। সুহৃদয়বান, সচেতন, শিক্ষানুরাগী ও শিশু প্রেমী মানুষেরা যাদের মনে শুধু সমাজ নিয়ে ভাবনা। অদূর ভবিষ্যাতে সমাজের কি হবে সেটা নিয়ে মাথা ঘামান, একটা শিক্ষিত সমাজের স্বপ্ন দেখেন। প্রকৃত অর্থে সমাজের মহানুভব ব্যক্তিরা কখনও তাদের ব্যক্তিস্বার্থকে বড় করে দেখেন না বা দেখতে পারেন না। তারই এক বাস্তব প্রমাণ সৈয়দ আনোয়ারুল আজিমের স্ত্রী সান্তানেরা।
স্কুল নির্মাণের জায়গার জন্য বৈঠকে মানুষ যখন হন্ন হয়ে মাথা খাটাচ্ছিলেন তখন কিছু না ভেবেই সহৃদয়বান ব্যক্তি সৈয়দ আনোয়ারুল আজিমের পরিবার নিজেদের জায়গা দিয়ে দেন। শিক্ষার জন্য, সমাজের কল্যাণের জন্য বিশেষ করে যারা শিশুদের ভালোবাসেন, শিশুদের নিয়ে ভাবেন, শিশুদের পথচলাকে সহজ করতে কাজ করে যান। তাদের হৃদয়ের কোমলমতী মমতা, হৃদয়ের প্রশস্ততা মনে শান্তি বয়ে আনে।

অবশেষে ১৫ নং উত্তর রূপসা ২নং ওয়ার্ডের সর্দারপাড়া গ্রাম প্রস্তাবিত গ্রামের নতুন নাম(মুজিবনগর) সৈয়দ আনোয়ারুল আজিমের পরিবারের দেওয়া জায়গার উপর তৈরি হয় স্কুল তৈরির আনুষ্ঠানিকতা,এবং তা এই ভিত্তি প্রস্তরের উদ্ভোদনের মাধ্যমে পূর্নাঙ্গরূপে এগিয়ে যায়,

এসময় ১৫নং উত্ইতর রূপসা উনিয়ন এর চেয়ারম্যান কাউছারুল আলম কামরুল,মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের দরবারে এই মহত কাজটি সঠিক ভাবে সময়ের মধ্যে সুসম্পন্ন করার তৌফিক দান করে সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।

এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রুপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জনাব, ২নং ওয়ার্ড হাছান আলী ৩নং ওয়ার্ড মোঃ শফিকুর রহমান ৪নং ওয়ার্ড মোঃ আনোয়ার হোসেন ৫নং ওয়ার্ড মোঃ আনোয়ার হোসেন রতন, ৭নং ওয়ার্ড মোঃ ইব্রাহিম মৃধা ৯নং ওয়ার্ড মোঃইউনুছ পাটোয়ারী।
তাছাড়া রুপসা বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ আজিম হোসেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল রানা সহঃ সভাপতি ফারুক খান, মাহাবুব পাটোয়ারী। সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ মুন্সি, সদস্য মোঃ শরিফুল আলম। আমন্ত্রিত মেহমান সমাজ সেবক মোঃ আমির হোসেন মুন্সি, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ দেলোয়ার হোসেন এবং ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম ফরহাদ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন।