ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমতলীতে ইউনিয়ন পরিষদের জমি দখল করে বিজিবি সদস্যের ইমারত নির্মাণ

আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের জমি দখল করে শাকুর মিয়া নামের এক বিজিবি সদস্য ইমারত নির্মাণ
করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমারত নির্মাণে নিষেধ করা সত্যেও প্রভাবশালী
বিজিবি সদস্য তা মানছেন না। দ্রুত এর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন ইউপি সদস্য ফারুক সরদার।

জানাগেছে, স্বাধীনতার পূর্বে তৎকালীন চেয়ারম্যান কামাল আহম্মেদ সেলিম তালুকদার ৯৪ শতাংশ জমি আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদে দান করেন। দীর্ঘ ৬০ বছর ওই জমিতে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ করে জনগনকে সেবা দিয়ে আসছে।
পুরাতন ভবন জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ২০০০ সালে দ্বিতল নতুন পরিষদ ভবন নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ওই ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশে গত রবিবার আজিমপুর গ্রামের শাকুর নামের এক বিজিবি সদস্য জোরপূর্বক জমি দখল করে পাকা ইমারত নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ ইমারত নির্মাণে ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম তালুকদার ও ইউপি সদস্যরা নিষেধ করেন। কিন্তু বিজিবি সদস্য তাদের নিষেধ উপেক্ষা করে পাকা ইমারত নির্মাণ করছেন। এতে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ
বিরাজ করছে। দ্রুত এ বিজিবি
সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে জমি উদ্ধারের দাবী জানিয়েছেন ইউপি সদস্য ও স্থানীয় লোকজন।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, বিজিবি সদস্য ইউনিয়ন পরিষদের জমি দখল করে পাকা ইমারত নির্মাণ করছে। ইতিমধ্যে তিনি তিন পাশে বাউন্ডারির কাজ শেষ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন, বিজিবি সদস্য শাকুর মিয়া জোরপূর্বক ইউনিয়ন পরিষদের জমি দখল করে ইমারত নির্মাণ করছেন। তারা আরো বলেন, চেয়ারম্যান নিষেধ করা সত্যেও তিনি তা মানছেন না।
স্থানীয় মনিরুল ইসলাম বলেন,
শাকুর ইউনিয়ন পরিষদের জমির মধ্যে ইমারত নির্মাণ করছেন। চেয়ারম্যান নিষেধ করেছিল কিন্তু তিনি তা মানছেন না। ইউপি সদস্য ফারুক সরদার বলেন, বিজিবি সদস্য শাকুর জোরপূর্বক পরিষদের জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন। অনেক নিষেধ করা সত্যেও তিনি শুনছেন না।

বিজিবি সদস্য শাকুর মিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জমিতে ইমারত নির্মাণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমার চাচা। তার নির্দেশনা মত কাজ করবো।

চুনাখালী ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আবু জাফর বলেন, ওই জমিতে ইমারত নির্মাণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম তালুকদার বলেন, সরকারি জমি সরকার
দেকভাল করবেন। এখানে আমার কিছু করার নেই।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আশরাফুল আলম বলেন, বিষয়টি জেনেছি
তবে দ্রুত এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমতলীতে ইউনিয়ন পরিষদের জমি দখল করে বিজিবি সদস্যের ইমারত নির্মাণ

আপডেট সময় ১০:২০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের জমি দখল করে শাকুর মিয়া নামের এক বিজিবি সদস্য ইমারত নির্মাণ
করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমারত নির্মাণে নিষেধ করা সত্যেও প্রভাবশালী
বিজিবি সদস্য তা মানছেন না। দ্রুত এর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন ইউপি সদস্য ফারুক সরদার।

জানাগেছে, স্বাধীনতার পূর্বে তৎকালীন চেয়ারম্যান কামাল আহম্মেদ সেলিম তালুকদার ৯৪ শতাংশ জমি আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদে দান করেন। দীর্ঘ ৬০ বছর ওই জমিতে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ করে জনগনকে সেবা দিয়ে আসছে।
পুরাতন ভবন জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ২০০০ সালে দ্বিতল নতুন পরিষদ ভবন নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ওই ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশে গত রবিবার আজিমপুর গ্রামের শাকুর নামের এক বিজিবি সদস্য জোরপূর্বক জমি দখল করে পাকা ইমারত নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ ইমারত নির্মাণে ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম তালুকদার ও ইউপি সদস্যরা নিষেধ করেন। কিন্তু বিজিবি সদস্য তাদের নিষেধ উপেক্ষা করে পাকা ইমারত নির্মাণ করছেন। এতে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ
বিরাজ করছে। দ্রুত এ বিজিবি
সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে জমি উদ্ধারের দাবী জানিয়েছেন ইউপি সদস্য ও স্থানীয় লোকজন।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, বিজিবি সদস্য ইউনিয়ন পরিষদের জমি দখল করে পাকা ইমারত নির্মাণ করছে। ইতিমধ্যে তিনি তিন পাশে বাউন্ডারির কাজ শেষ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন, বিজিবি সদস্য শাকুর মিয়া জোরপূর্বক ইউনিয়ন পরিষদের জমি দখল করে ইমারত নির্মাণ করছেন। তারা আরো বলেন, চেয়ারম্যান নিষেধ করা সত্যেও তিনি তা মানছেন না।
স্থানীয় মনিরুল ইসলাম বলেন,
শাকুর ইউনিয়ন পরিষদের জমির মধ্যে ইমারত নির্মাণ করছেন। চেয়ারম্যান নিষেধ করেছিল কিন্তু তিনি তা মানছেন না। ইউপি সদস্য ফারুক সরদার বলেন, বিজিবি সদস্য শাকুর জোরপূর্বক পরিষদের জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন। অনেক নিষেধ করা সত্যেও তিনি শুনছেন না।

বিজিবি সদস্য শাকুর মিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জমিতে ইমারত নির্মাণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমার চাচা। তার নির্দেশনা মত কাজ করবো।

চুনাখালী ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আবু জাফর বলেন, ওই জমিতে ইমারত নির্মাণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম তালুকদার বলেন, সরকারি জমি সরকার
দেকভাল করবেন। এখানে আমার কিছু করার নেই।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আশরাফুল আলম বলেন, বিষয়টি জেনেছি
তবে দ্রুত এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।