ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকুন্দিয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ”দুই শতাধিক আহত

 

 

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও সকল অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, ভোলায় পুলিশের গুলিতে নূরে-আলম ও আব্দুর রহিম-কে হত্যার প্রতিবাদে পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে।

শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে পৌর সদরের সৈয়দগঁও চৌরাস্তা এলাকা থেকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট জালাল উদ্দীনের নেতৃত্ব একটি মিছিল পাকুন্দিয়া বাজারের পাট মহলের দিকে রওনা দিলে হাঁপানিয়ার ব্রাক অফিসের সামনে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশ কে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা, পরে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তারপর বিএনপি সংঘটিত হয়ে আবারও পুলিশকে ধাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করলে পাকুন্দিয়া বাজারের অন্য যায়গা থেকে পুলিশ গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান মাসুদের নেতৃত্বে চরফরাদী রোড থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল পাকুন্দিয়া বাজারের ঈসাখাঁ রোড দিয়ে পাট মহলের দিকে প্রবেশ করতে চাইলে পাকুন্দিয়া বাজারের চরফরাদী রোডের মোড়ে আওয়ামী লীগের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি।

পরে উপজেলা বিএনপির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও চরফরাদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন ও তার অনুসারীরা এসে যুক্ত হয় মাসুদের সাথে। তারপর সংঘর্ষ তীব্র হয়। এ সংঘর্ষ চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। অন্যদিকে সৈয়দ গাঁও চৌরাস্তা থেকে আদু পাগলা মাজার পর্যন্ত এ রিপোর্ট ( বিকাল ৩ টা পর্যন্ত) থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।

ঘটনাস্থল থেকে কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.আল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি ছিল না। তারা মিছিল নিয়ে পৌর বাজারের দিকে আসলে এ ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের বেশ কয়েক সদস্য আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।

পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট জালাল উদ্দীন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় দলের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিশ জনের বেশি আটক হয়েছে। এখনও সংঘর্ষ ও গ্রেপ্তার চলছে। পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে, আওয়ামী লীগের অবস্থানের কারণে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা, এসময় আমাদের বেশ কয়েক জন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকুন্দিয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ”দুই শতাধিক আহত

আপডেট সময় ১২:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

 

 

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও সকল অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, ভোলায় পুলিশের গুলিতে নূরে-আলম ও আব্দুর রহিম-কে হত্যার প্রতিবাদে পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে।

শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে পৌর সদরের সৈয়দগঁও চৌরাস্তা এলাকা থেকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট জালাল উদ্দীনের নেতৃত্ব একটি মিছিল পাকুন্দিয়া বাজারের পাট মহলের দিকে রওনা দিলে হাঁপানিয়ার ব্রাক অফিসের সামনে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশ কে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা, পরে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তারপর বিএনপি সংঘটিত হয়ে আবারও পুলিশকে ধাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করলে পাকুন্দিয়া বাজারের অন্য যায়গা থেকে পুলিশ গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান মাসুদের নেতৃত্বে চরফরাদী রোড থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল পাকুন্দিয়া বাজারের ঈসাখাঁ রোড দিয়ে পাট মহলের দিকে প্রবেশ করতে চাইলে পাকুন্দিয়া বাজারের চরফরাদী রোডের মোড়ে আওয়ামী লীগের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি।

পরে উপজেলা বিএনপির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও চরফরাদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন ও তার অনুসারীরা এসে যুক্ত হয় মাসুদের সাথে। তারপর সংঘর্ষ তীব্র হয়। এ সংঘর্ষ চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। অন্যদিকে সৈয়দ গাঁও চৌরাস্তা থেকে আদু পাগলা মাজার পর্যন্ত এ রিপোর্ট ( বিকাল ৩ টা পর্যন্ত) থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।

ঘটনাস্থল থেকে কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.আল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি ছিল না। তারা মিছিল নিয়ে পৌর বাজারের দিকে আসলে এ ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের বেশ কয়েক সদস্য আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।

পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট জালাল উদ্দীন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় দলের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিশ জনের বেশি আটক হয়েছে। এখনও সংঘর্ষ ও গ্রেপ্তার চলছে। পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে, আওয়ামী লীগের অবস্থানের কারণে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা, এসময় আমাদের বেশ কয়েক জন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী আহত হয়েছে।