ঢাকা ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নবীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য বন্দরে মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লাঙ্গলবন্দে তীর্থযাত্রীদের স্নানোৎসব পরিদর্শন করেন রংপুর শঠিবাড়ী স্ট্যান্ডে সেনাবাহিনীর অভিযানে আটক ২ চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিএনপির উদ্যোগে নির্বাচন ও সংস্কারের রোড ম্যাপের দাবিতে সমাবেশ জয়পুরহাটে নৈশপ্রহরীকে বেঁধে দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি বগুড়া শহরে কৈগাড়ী আগুনে বাড়ি পুড়ে নিঃস্ব ৩ পরিবার কমলনগর ফাউন্ডেশনের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জের সখিপুরে সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা মামলা’র প্রতিবাদে মানববন্ধন চাঁদপুর মেঘনা নদীর পাড়ে মহা অষ্টম স্নান অনুষ্ঠিত বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ বছর পূর্তি ও নবীন প্রবীনদের মিলনমেলা

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজের পরিকল্পনা জানালেন নিজামীপুত্র ব্যারিস্টার নাজিব

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন আবারও ফিরেছেন আইন পেশায়।

নাজিব মোমেন লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি নিয়ে ২০১০ সালে বাংলাদেশে খ্যাতনামা প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের জুনিয়র হিসেবে আইনপেশা শুরু করেন। ওই বছর তিনি জজ কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০১৩ সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ওই সময় থেকে ট্রাইব্যুনালে ও উচ্চ আদালতে জামায়াতের আইনজীবী টিমের সদস্য হিসেবে কাজ করেন।

২০১৬ সালের ১০ মে মধ্যরাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তার বাবা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এ সময় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো শুরু করে শেখ হাসিনার সরকার। এ সময় দলীয় সিদ্ধান্তে ইংল্যান্ডে চলে যান নাজিব মোমেন। তখন থেকে ইংল্যান্ডের আদালতে আইন প্র্যাকটিস শুরু করেন এবং একইসঙ্গে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনমত তৈরিতে ভূমিকা পালন করেন। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সম্প্রতি দেশে ফিরে এসেছেন ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। উচ্চ আদালতে শুরু করেছেন আইনপেশা। এ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

জানা যায়, চার ভাই দুই বোনের মধ্যে নাজিব মোমেন দ্বিতীয়। বড় ভাই ড. নাকিবুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের একটি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। দ্বিতীয় জমজ ভাই ডা. নাঈম খালেদ যুক্তরাজ্যে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। ছোট ভাই নাদিম তালহা তুরস্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বড় বোন ড. মহসিনা ফাতেমা মালেয়েশিয়া ও ছোটবোন খাদিজা তাহেরা যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। এছাড়া তার মা শামসুন্নাহার নিজামী বর্তমানে জামায়াতের ইসলামীর মহিলার বিভাগের নেতৃত্বে রয়েছেন।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন বলেন, বৈরী পরিবেশের কারণে ২০১৬ সালে চলে যেতে হয়েছিল। এ কারণে তখন আর প্র্যাকটিস করা হয়নি। দীর্ঘদিন ইংল্যান্ডের হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করেছি। ওখানকার কোর্টগুলোতে রেগুলার আমি শুনানি করতাম। দীর্ঘ ৮ বছর পর দেশে এসেছি। এখন থেকে দেশে থাকব। দেশের আদালতেই প্র্যাকটিস করব। এখানে নতুন নতুন লাগছে। অনেক কিছু শিখছি।

রাজনীতি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতি তো আলাদা। আমরা ইসলামী আন্দোলন করি। গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে কিছু করার ইচ্ছে আছে ইনশাআল্লাহ। ইসলামের খেদমতের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন বলেন, আমরা যেহেতু আদর্শিক দল করি। এই দলে নিজেকে নিজের প্রার্থী ঘোষণা করার সুযোগ নেই। সংগঠন থেকে যদি মনোনয়ন দেয় তাহলে অবশ্যই নির্বাচন করব।

তিনি বলেন, আমাদের যে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মটা আছে। সেটা ইসলামী আন্দোলন। মুসলমান হিসেবে অবশ্যই ইসলামী আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। সে হিসেবে ইসলামী আন্দোলনের জন্য কাজ করে যাব। মানুষের জন্য কাজ করে যাব।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নবীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজের পরিকল্পনা জানালেন নিজামীপুত্র ব্যারিস্টার নাজিব

আপডেট সময় ১২:৩৮:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন আবারও ফিরেছেন আইন পেশায়।

নাজিব মোমেন লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি নিয়ে ২০১০ সালে বাংলাদেশে খ্যাতনামা প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের জুনিয়র হিসেবে আইনপেশা শুরু করেন। ওই বছর তিনি জজ কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০১৩ সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ওই সময় থেকে ট্রাইব্যুনালে ও উচ্চ আদালতে জামায়াতের আইনজীবী টিমের সদস্য হিসেবে কাজ করেন।

২০১৬ সালের ১০ মে মধ্যরাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তার বাবা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এ সময় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো শুরু করে শেখ হাসিনার সরকার। এ সময় দলীয় সিদ্ধান্তে ইংল্যান্ডে চলে যান নাজিব মোমেন। তখন থেকে ইংল্যান্ডের আদালতে আইন প্র্যাকটিস শুরু করেন এবং একইসঙ্গে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনমত তৈরিতে ভূমিকা পালন করেন। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সম্প্রতি দেশে ফিরে এসেছেন ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। উচ্চ আদালতে শুরু করেছেন আইনপেশা। এ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

জানা যায়, চার ভাই দুই বোনের মধ্যে নাজিব মোমেন দ্বিতীয়। বড় ভাই ড. নাকিবুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের একটি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। দ্বিতীয় জমজ ভাই ডা. নাঈম খালেদ যুক্তরাজ্যে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। ছোট ভাই নাদিম তালহা তুরস্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বড় বোন ড. মহসিনা ফাতেমা মালেয়েশিয়া ও ছোটবোন খাদিজা তাহেরা যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। এছাড়া তার মা শামসুন্নাহার নিজামী বর্তমানে জামায়াতের ইসলামীর মহিলার বিভাগের নেতৃত্বে রয়েছেন।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন বলেন, বৈরী পরিবেশের কারণে ২০১৬ সালে চলে যেতে হয়েছিল। এ কারণে তখন আর প্র্যাকটিস করা হয়নি। দীর্ঘদিন ইংল্যান্ডের হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করেছি। ওখানকার কোর্টগুলোতে রেগুলার আমি শুনানি করতাম। দীর্ঘ ৮ বছর পর দেশে এসেছি। এখন থেকে দেশে থাকব। দেশের আদালতেই প্র্যাকটিস করব। এখানে নতুন নতুন লাগছে। অনেক কিছু শিখছি।

রাজনীতি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতি তো আলাদা। আমরা ইসলামী আন্দোলন করি। গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে কিছু করার ইচ্ছে আছে ইনশাআল্লাহ। ইসলামের খেদমতের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন বলেন, আমরা যেহেতু আদর্শিক দল করি। এই দলে নিজেকে নিজের প্রার্থী ঘোষণা করার সুযোগ নেই। সংগঠন থেকে যদি মনোনয়ন দেয় তাহলে অবশ্যই নির্বাচন করব।

তিনি বলেন, আমাদের যে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মটা আছে। সেটা ইসলামী আন্দোলন। মুসলমান হিসেবে অবশ্যই ইসলামী আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। সে হিসেবে ইসলামী আন্দোলনের জন্য কাজ করে যাব। মানুষের জন্য কাজ করে যাব।