ঢাকা ১২:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে পটুয়াখালীতে ১৭৬টি মন্ডপে দুর্গাপূজা শুরু; নিরাপত্তায় আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী পটুয়াখালীতে ৮২ হাজার কিশোরী পাবে এইচপিভি টিকা চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডক্টর সিরিয়াল ডট কম অ্যাপের উদ্বোধন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্নে পূজা পালন করবে: হাফিজ ইব্রাহিম ভোলায় সাড়ে তিন কোটি টাকার নিষিদ্ধজালসহ আটক-২ একজন মানবিক পুলিশের গল্প। রাষ্ট্র সংস্কারে যে ১০ প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত আনোয়ারা থানা এলাকায় পাওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় সনাক্ত করলো পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা। সাতকানিয়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা মতলব দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা ও বিকাশ এজেন্টের মালিক আজাদের বিরুদ্ধে জোর করে জমির দলিল নিয়ে সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ ।

চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৬ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর আগে গত এপ্রিল মাসে ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির যে আভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংক বলছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক বাণিজ্যের চাপ, আর্থিক খাতের ঝুঁকি আর অনিশ্চয়তা জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীতে আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির ঢাকা অফিসে প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটে এমন তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ নাজমুস সাকিব খান।

সংস্থাটি বলছে আগামী অর্থবছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি আবার বাড়তে শুরু করবে। সে জন্য আর্থিক খাতে নীতি সংস্কারের তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি। সুদ ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারকে প্রকৃত অর্থে বাজারনির্ভর করার পরামর্শও আসে বিশ্বব্যাংক।

বর্তমানে নিত্যপণ্যের চড়া দামে দিশেহারা ক্রেতারা। দেশে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য চারটি বিষয়কে দায়ী করেছে বিশ্বব্যাংক। কারণগুলো হলো, অভ্যন্তরীণ জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়া, দুর্বল মুদ্রানীতি, টাকার অবমূল্যায়ন ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা। এ সব কারণে এপ্রিল মাসে ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির যে আভাস দিয়েছিল তার থেকে কিছুটা কমবে।

প্রতিবেদনে উঠে আসে, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হবে।

চলতি অর্থবছরে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতে সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্ভাবাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া মালদ্বীপে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে শ্রীলঙ্কায় প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশটি ঘুরে দাঁড়াবে, প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে পটুয়াখালীতে ১৭৬টি মন্ডপে দুর্গাপূজা শুরু; নিরাপত্তায় আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী

চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৬ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক

আপডেট সময় ০৪:২৫:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর আগে গত এপ্রিল মাসে ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির যে আভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংক বলছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক বাণিজ্যের চাপ, আর্থিক খাতের ঝুঁকি আর অনিশ্চয়তা জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীতে আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির ঢাকা অফিসে প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটে এমন তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ নাজমুস সাকিব খান।

সংস্থাটি বলছে আগামী অর্থবছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি আবার বাড়তে শুরু করবে। সে জন্য আর্থিক খাতে নীতি সংস্কারের তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি। সুদ ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারকে প্রকৃত অর্থে বাজারনির্ভর করার পরামর্শও আসে বিশ্বব্যাংক।

বর্তমানে নিত্যপণ্যের চড়া দামে দিশেহারা ক্রেতারা। দেশে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য চারটি বিষয়কে দায়ী করেছে বিশ্বব্যাংক। কারণগুলো হলো, অভ্যন্তরীণ জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়া, দুর্বল মুদ্রানীতি, টাকার অবমূল্যায়ন ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা। এ সব কারণে এপ্রিল মাসে ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির যে আভাস দিয়েছিল তার থেকে কিছুটা কমবে।

প্রতিবেদনে উঠে আসে, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হবে।

চলতি অর্থবছরে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতে সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্ভাবাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া মালদ্বীপে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে শ্রীলঙ্কায় প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশটি ঘুরে দাঁড়াবে, প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।