ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একজন মানবিক পুলিশের গল্প।

সেই ব্রিটিশ আমল থেকে পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে যে ধারণা বাসা বেঁধেছিল, তা খুব সুখকর নয়। প্রথাগত পুলিশিং নিয়ে জনমানসে মোটা দাগে যে ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে সাধারণ মানুষের কাতার থেকে পুলিশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।

কিন্তু এর মাঝেও কিছু পুলিশ অফিসার মানুষের হৃদয়ে স্হান করে নিতে সক্ষম হয়।যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা কর্মকর্তা( DIO- 1) জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ।

২০২২ সালে নোয়াখালী জেলায় যোগদান করার পর থেকেই জেলার মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। প্রতিনিয়ত মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন বীর চট্টলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ।তার পিতা মরহুম আব্দুল মোমেন ভুঁইয়া পুলিশের একজন চৌকস অফিসার হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন এবং তিনি সিনিয়র এডিশনাল এসপি হিসেবে তার কর্মজীবন শেষ করেন।তার দুই ভাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।

মানবিক কাজে মানবতার মূলধনে প্রতিনিয়ত অর্জন করে যাচ্ছেন ভালোবাসার অমূল্য মুনাফা, প্রতিদিনই কোনো না কোনো মানবিক কাজ করেই যাচ্ছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। তার মন-মগজ, চিন্তা চেতনা সম্ভবত মানুষ আর মানবতা নিয়েই, তিনি মূলত সমাজে ছিন্নমূল, হতদরিদ্র, শারীরিক প্রতিবন্ধী, অসহায় মানুষ খুঁজে খুঁজে কাউকে হুইল চেয়ার, কাউকে নগদ অর্থ, শীতবস্ত্র, ত্রাণ সামগ্রীসহ বিভিন্নভাবে সমাজের অস্বচ্ছল অসহায় মানুষদের সহযোগীতা করেন। মানবিক কাজের জন্য ইতিমধ্যেই নোয়াখালীবাসীর সবচেয়ে কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন।

সর্বশেষ নোয়াখালী যখন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত,,তখনও নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে নিজ অর্থায়নে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন নোয়াখালীর আনাচে-কানাচে বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে।কিন্তু তারপরও নিজেকে রেখেছেন প্রচারণা থেকে অনেক দুরে।

মানবিক পুলিশ অফিসার হিসেবে নোয়াখালীতে তিনি স্হাপন করেছেন এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার কার্যালয়ের দরজা কখনো বন্ধ থাকেনা।গরীব অসহায় মানুষগুলো যাতে সেবা পায় তাই সর্বক্ষণ অফিসের দরজা খুলেই দাপ্তরিক কাজ করেন তিনি।এছাড়া সরাসরি না গিয়ে মুঠোফোনের মাধ্যমে সাহায্য চেয়েও কোন প্রকার হয়রানি ছাড়া উপকৃত হয়েছেন বলে জানান অনেকেই।এছাড়াও অফিসের নিচতলার একটি কক্ষে ইবাদতখানা তৈরি করে নিজে নামাজ পড়ার পাশাপাশি সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের নামাজ পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন বলে জানান তার সহকর্মীরা।

পুলিশ কর্মকর্তা জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজের সাথে কথা হলে তিনি জানান,
‘পুলিশ জনগণের বন্ধু, পুলিশ পরিচয়ের আগে আমি একজন মানুষ, মানুষ মানুষের জন্যই, প্রকৃত মানুষ কখনো অপর মানুষের দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে পারে না।মানবতা যেখানে গুমরে গুমরে কাঁদছে সেখান থেকে কেউ সরে দাড়াতে পারে না,নিজের মানবিকতা বোধ থেকেই কাজগুলো করি। মানুষের অতি আপনজন হওয়ার চেষ্টা করি। মানুষের সন্তুষ্টিতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। আমি বিশ্বাস করি আমার কাজের পুরষ্কার আমাকে স্বয়ং আল্লাহ দিবেন,আপনাদের কাছে দোয়া চাই,আল্লাহ যেন আমাকে মানুষের সেবা করার বেশী বেশী সুযোগ করে দেন”।

উল্লেখ্য, জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ একজন দেশপ্রেমিক পুলিশ অফিসারের সন্তান। পিতার দেশপ্রেমকে বুকে লালন করে এই মানবতার ফেরিওয়ালা সততা,দক্ষতা এবং নিষ্ঠার সাথে মানুষ ও মানবতার কাজে আরো অনেকদূর এগিয়ে যাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন স্থানীরা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

একজন মানবিক পুলিশের গল্প।

আপডেট সময় ০৬:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

সেই ব্রিটিশ আমল থেকে পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে যে ধারণা বাসা বেঁধেছিল, তা খুব সুখকর নয়। প্রথাগত পুলিশিং নিয়ে জনমানসে মোটা দাগে যে ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে সাধারণ মানুষের কাতার থেকে পুলিশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।

কিন্তু এর মাঝেও কিছু পুলিশ অফিসার মানুষের হৃদয়ে স্হান করে নিতে সক্ষম হয়।যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা কর্মকর্তা( DIO- 1) জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ।

২০২২ সালে নোয়াখালী জেলায় যোগদান করার পর থেকেই জেলার মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। প্রতিনিয়ত মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন বীর চট্টলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ।তার পিতা মরহুম আব্দুল মোমেন ভুঁইয়া পুলিশের একজন চৌকস অফিসার হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন এবং তিনি সিনিয়র এডিশনাল এসপি হিসেবে তার কর্মজীবন শেষ করেন।তার দুই ভাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।

মানবিক কাজে মানবতার মূলধনে প্রতিনিয়ত অর্জন করে যাচ্ছেন ভালোবাসার অমূল্য মুনাফা, প্রতিদিনই কোনো না কোনো মানবিক কাজ করেই যাচ্ছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। তার মন-মগজ, চিন্তা চেতনা সম্ভবত মানুষ আর মানবতা নিয়েই, তিনি মূলত সমাজে ছিন্নমূল, হতদরিদ্র, শারীরিক প্রতিবন্ধী, অসহায় মানুষ খুঁজে খুঁজে কাউকে হুইল চেয়ার, কাউকে নগদ অর্থ, শীতবস্ত্র, ত্রাণ সামগ্রীসহ বিভিন্নভাবে সমাজের অস্বচ্ছল অসহায় মানুষদের সহযোগীতা করেন। মানবিক কাজের জন্য ইতিমধ্যেই নোয়াখালীবাসীর সবচেয়ে কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন।

সর্বশেষ নোয়াখালী যখন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত,,তখনও নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে নিজ অর্থায়নে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন নোয়াখালীর আনাচে-কানাচে বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে।কিন্তু তারপরও নিজেকে রেখেছেন প্রচারণা থেকে অনেক দুরে।

মানবিক পুলিশ অফিসার হিসেবে নোয়াখালীতে তিনি স্হাপন করেছেন এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার কার্যালয়ের দরজা কখনো বন্ধ থাকেনা।গরীব অসহায় মানুষগুলো যাতে সেবা পায় তাই সর্বক্ষণ অফিসের দরজা খুলেই দাপ্তরিক কাজ করেন তিনি।এছাড়া সরাসরি না গিয়ে মুঠোফোনের মাধ্যমে সাহায্য চেয়েও কোন প্রকার হয়রানি ছাড়া উপকৃত হয়েছেন বলে জানান অনেকেই।এছাড়াও অফিসের নিচতলার একটি কক্ষে ইবাদতখানা তৈরি করে নিজে নামাজ পড়ার পাশাপাশি সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের নামাজ পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন বলে জানান তার সহকর্মীরা।

পুলিশ কর্মকর্তা জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজের সাথে কথা হলে তিনি জানান,
‘পুলিশ জনগণের বন্ধু, পুলিশ পরিচয়ের আগে আমি একজন মানুষ, মানুষ মানুষের জন্যই, প্রকৃত মানুষ কখনো অপর মানুষের দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে পারে না।মানবতা যেখানে গুমরে গুমরে কাঁদছে সেখান থেকে কেউ সরে দাড়াতে পারে না,নিজের মানবিকতা বোধ থেকেই কাজগুলো করি। মানুষের অতি আপনজন হওয়ার চেষ্টা করি। মানুষের সন্তুষ্টিতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। আমি বিশ্বাস করি আমার কাজের পুরষ্কার আমাকে স্বয়ং আল্লাহ দিবেন,আপনাদের কাছে দোয়া চাই,আল্লাহ যেন আমাকে মানুষের সেবা করার বেশী বেশী সুযোগ করে দেন”।

উল্লেখ্য, জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ একজন দেশপ্রেমিক পুলিশ অফিসারের সন্তান। পিতার দেশপ্রেমকে বুকে লালন করে এই মানবতার ফেরিওয়ালা সততা,দক্ষতা এবং নিষ্ঠার সাথে মানুষ ও মানবতার কাজে আরো অনেকদূর এগিয়ে যাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন স্থানীরা।