নাটোরের গুরুদাসপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার দুইজন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫ সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা। ০২ অক্টোবর সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ০২.৩০ মিনিটে র্যাব-৫ সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পরিচালক সঞ্জয় কুমার সরকার ও কোম্পানী উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ নুরুল হুদা দ্বয়ের নেতৃত্বে গোয়েন্দা তথ্য ও বিশেষ প্রযুক্তির তথ্য ভিক্তিতে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর সীমান্তবর্তী এলাকা হতে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার মামলা নং ৩৭/২৬৩,তারিখ ২৯.০৯.২৩ খ্রিস্টাব্দ,ধারা ৩০২/ ২০১/৩৪ পেনাল কোড এর পলাতক আসামীদের আটক করেছে র্যাব।
আটককৃত আসামিরা হলেন,
১। মোঃ ইউসুফ প্রাঃ(৬০) ,পিতা মৃত শওকত
২।মোঃ শিপন প্রাঃ (২০) পিতা মোঃ ইউসুফ প্রাঃ ,উভয় সাং মাশিন্দা বাহাদুর পাড়া,থানা গুরুদাসপুর, জেলা নাটোর।
উল্লেখ্য যে অত্র মামলার বাদী মোঃ রুবেল আহমেদ (২৯)এর বোন মৃতা সীমা খাতুন (২৮)এর ১২ বছর পূর্বে ধৃত আসামীদ্বয় সহ
অনন্য আসামীগণ সীমা খাতুন কে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করত। উক্ত বিষয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর ২৩ ইং তারিখে দুপুরে এজহারনামীয় আসামীগন পরস্পর যোগসাজশে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাদির বোন সীমা খাতুন কে গালাগালি করতে থাকে, সীমা খাতুন আসামীদের গালাগালিজ করতে নিশেধ করলে আসামীগণ সীমা খাতুন কে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে গুরুতর জখম করে।আসামীদের মারপিটে ঘটনায় সীমা খাতুন গুরুতর আহত হলে আসামীরা দ্রুত সীমা খাতুন কে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসে সীমা খাতুন কে। বাড়িতে নিয়ে আসার কিছু সময় পরে সীমা খাতুন বমি করতে থাকে, সীমা খাতুন কীটনাশক জাতীয় গ্যাসট্যবলেট খেয়েছে মর্মে আসামীগণ পুনরায় সীমা খাতুন কে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়, সীমা খাতুনের অবস্থা আশংকাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে,আসামীগণ বাদীর বোন সীমা খাতুন কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ২৮ সেপ্টেম্বর ২৩ ইং তারিখ রাত ৭.৩০ মিনিটে সীমা খাতুনের মৃত্যু হয়।
পরে মৃতা সীমা খাতুনের ভাই বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত হত্যার ঘটনার বিষয়টি এলাকার লোকজনের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে র্যাব-৫সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পে ছায়াতদন্ত শুরু করে । পরে নাটোর ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল এজহারনামীয় ২নং আসামী ইউসুফ প্রাং দ্বয়ের অবস্থান পাবনা জেলার চাটমোহর থানার ছাইখোলা মিলনচর জানতে পেরে উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব-৫-সিপিসি-২ কে তথ্য দিন – মাদক , অস্ত্রধারী ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।