জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার ৬৯তম জন্মদিন আজ বুধবার। ১৯৫৫ সালের এ দিনে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে দুই কন্যা ছাড়া বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারকে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য নির্মমভাবে হত্যা করে। সেসময় শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কর্মস্থল জার্মানির কার্লসরুইয়ে বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকায় বেঁচে যান তিনি। পরে দুই বোন ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। শেখ রেহানা পরে ভারত থেকে লন্ডনে চলে যান, সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
শেখ রেহানা ১৯৭৯ সালে তার ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য প্রথম বিশ্বব্যাপী আহ্বান জানানোর কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭৯ সালে সুইডেনের স্টকহোমে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু এবং ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিরাপত্তা হেফাজতে নিহত জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে প্রথম বিচারের আন্তর্জাতিক আহ্বান উত্থাপন করেন।
দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও কখনো রাজনীতিতে সক্রিয় হননি শেখ রেহানা। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে বড় বোন শেখ হাসিনাকে অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা করে চলেছেন। জনকল্যাণমূলক কাজে সব সময়ই ভূমিকা রেখেছেন শেখ রেহানা। ধানমন্ডিতে তাঁর নামে বরাদ্দ বাড়িটিও ছেড়ে দিয়েছেন দেশের কাজে।
১৯৭৭ সালের জুলাই মাসে লন্ডনের কিলবার্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ও ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিকের সঙ্গে শেখ রেহানার বিয়ে হয়। এই দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির এমপি।
একমাত্র ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত এবং আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি। আর সবার ছোট মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী লন্ডনে ‘কন্ট্রোল রিস্কস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের গ্লোবাল রিস্ক অ্যানালাইসিস এডিটর।