মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা যাওয়ার পর তাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ‘ধন্যবাদ জানিয়ে’ ফেসবুকে আরেকটি পোস্ট করেছেন অব্যাহতি পাওয়া এক ছাত্রলীগ নেতা।
উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ফিরোজ খান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির মল্লিক সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনজনের অব্যাহতির বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, লতাচাপলী ইউনিয়ন শাখার এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের নীতি, আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকায় সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ মুসুল্লী, এম আর মিজান আল আব্দুল্লাহ ও মো. সানাউল্লাহকে লতাচাপলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কেন চূড়ান্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার কারণ জানাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে অব্যাহতি পাওয়া ছাত্রলীগ নেতা এম আর মিজান আল আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমি মনে করি সাঈদী একজন ইসলামিক স্কলার এবং কুরআনের মুফাসসির। তাই ধর্মীয় দিক থেকে আমি তাকে নিয়ে পোস্ট করেছি। এতে আমাকে বহিষ্কার করলে তা দুঃখজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (ছাত্রলীগ) যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তের ওপরে আমি তাদের ধন্যবাদ দিয়ে ফেসবুকে আবার পোস্ট দিয়েছি।’
অব্যাহতি পাওয়া আরেক ছাত্রলীগ নেতা মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমি মুসলমানের সন্তান হিসেবে একজন মুসলমান মারা গেলে তাতে ইন্না লিল্লাহ বলায় কোনো দোষ দেখছি না। আমি কোনো ভুল করিনি। আমার সবার আগে ইসলাম তারপরে দল।’
এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ফিরোজ খান বলেন, ‘সাঈদী একজন রাজাকার। আর আমরা একটি দলের ব্যানারে রয়েছি। তাই তাকে নিয়ে পোস্ট দেওয়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এবং জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
মহিপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শোয়াইব খান বলেন, ‘সাঈদী একজন যুদ্ধাপরাধী। তারে নিয়ে পোস্ট দেওয়া ঠিক না, এটাই অপরাধ। এ নিয়ে পোস্ট দেওয়াটা জাতি মানতে পারবে না।’