সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে আওয়ামী লীগের একাংশের উদ্যোগে সারাদেশে বিএনপি জামাতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে উন্নয়ন শোভাযাত্রা ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে,শোভাযাত্রাটি মধ্যনগর বাজার পাবলিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে বাজারের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এসে সমবেত হয়। শান্তি সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন নুরী তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাবেক উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (সদ্য অনুপ্রবেশকারী আওয়ামীলীগার) বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাসেল আহম্মেদ। এতে করেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয় আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মধ্যে। উপস্থাপনায় নানান অসংগতি ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে অসম্মান করে পরিচালনা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে। এছাড়াও নব্য আওয়ামী লীগ অনুপ্রবেশকারী রাসেল আহমেদ এর বিরুদ্ধে অসংগতির অভিযোগ তুলে, বিষয়টি সোসাল মিডিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে অনেক আইডি থেকে।
এবিষয়ে আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও মধ্যনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার দেবল বলেন,গত কালকের শান্তি সমাবেশের পরে অনেকেই আমাকে কল করে রাসেল আহম্মেদ এর আওয়ামী লীগের যোগদানের বিষয়টি জানতে চেয়েছে। এ ব্যাপারে আমি সহ অনেক সহসভাপতিই অবগত নই।হঠাৎ করে তাকে দিয়ে অনুষ্ঠান পরিচালনা করানোও কোন ষড়যন্ত্র কি না এ ব্যাপারে আমি অত্যন্ত শংখিত।আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মধ্যনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সঞ্জিব রঞ্জন তালুকদার বলেন,গতকালের শান্তি সমাবেশে যা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। সমাবেশে থাকা অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ থাকার পরেও একজন সদ্য অনুপ্রবেশকারীকে দিয়ে অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দদেরকে যথাযথ সম্মান না দেওয়া মোঠেও কাম্য নয়।দলের মধ্যে কুন্দল সৃষ্টি করার জন্যেই এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সজল কান্তি সরকার বলেন,রাসেল আহম্মেদের আওয়ামী লীগে যোগদানের বিষয়টি আমি লোক মুখে শুনেছি। কোন দাপ্তরিক চিঠি অথবা আমাদের দলীয় মিটিংয়ে তাকে আওয়ামী লীগের সদস্য পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় নি।যদি সে আওয়ামী লীগের সদস্য হয়েও থাকে অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ রেখে তাকে উপস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া কোন দূরবিসন্ধি কি না ভাবনার বিষয়।