লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় নির্দিষ্ট লক্ষ্যে স্থল অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে কয়েক ঘণ্টা আগে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান শুরু করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযানগুলো সীমিত পরিসরে এবং হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট নিশানায় পরিচালিত হচ্ছে।
এর আগে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলা ইতিমধ্যেই লেবাননজুড়ে প্রায় এক মিলিয়ন মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে। এটি এ যাবৎকালে সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতির ঘটনা।
উল্লেখ্য, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানপন্থি সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। গত শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহ সংগঠনটির মহান ও অমর শহীদ কমরেডদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন; যাদের তিনি ৩০ বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এর আগে, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার দাবি করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৫৭ মিনিটে সামাজিকমাধ্যম এক্সে হিজবুল্লাহ প্রধানকে হত্যার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় তারা। তারা জানায়, বৈরুতে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন হাসান নাসরুল্লাহ।
হাসান নাসরুল্লাহ ৩২ বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়ে হিজবুল্লাহকে আজকের সুসংহত অবস্থানে এনেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রভাব ব্যাপক। ফিলিস্তিন ভূখণ্ড গ্রাস করার ইসরায়েলের খায়েশ পূরণে অন্যতম বাধা হাসান নাসরুল্লাহ ও তার বাহিনী।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মাথাব্যথার অন্যতম কারণ ছিলেন হাসান নাসরুল্লাহ। ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার নিহত হওয়া এ যাবৎকালে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বিজয়। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ প্রধানের মৃত্যু মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম বড় শক্তি ইরানের জন্য বিরাট আঘাত। কারণ, এ অঞ্চলে ইরানের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু ছিলেন নাসরুল্লাহ।