পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজে পড়ুয়া দশম শ্রেণির ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে বখাটেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ছোট হারজি গ্রামের হাজরা বাড়ির সামনের সড়কে।
অভিযুক্তরা হলেন ছোট হারজি গ্রামের বাসিন্দা মৃত ফজলু জমাদ্দারের ছেলে ইব্রাহিম জমাদ্দার (৩৫), ছগির হাজরার ছেলে মারুফ হাজরা (২১), কালাম হাজরার ছেলে জাহিদ হাজরা (১৯), শাহানুর জমাদ্দারের ছেলে রফিকুল জমাদ্দার (১৫)। দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী ছোট হারজি গ্রামের বাসিন্দা মোস্তফা হাওলাদারের মেয়ে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হারজি গ্রামের বাসিন্দা মোস্তফা হাওলাদার স্ত্রী ও ছয় মেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। এদিকে বড় মেয়ে নাসিমা বেগমকে একই এলাকার বাসিন্দা মৃত ফজলু জমাদ্দারের ছেলে ইব্রাহিমের সাথে দীর্ঘ ১২ বছর আগে বিবাহ হয় এবং তাদের সংসারে সাত বছরের তামিম ও তিন বছরের ফারহান নামের দুইটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
এদিকে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে সম্প্রতি ইব্রাহিম জমাদ্দার স্ত্রী নাসিমা বেগমকে একতরফা তালাক প্রদান করেন। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী নাসিমা বেগম মঠবাড়িয়া আদালতে ইব্রাহিম জমাদ্দারকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলা হওয়ার পর থেকে বখাটে ইব্রাহিম জমাদ্দার বিভিন্ন সময়ে হুমকি দামকি দিয়ে হামলা চালিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ওই স্কুল ছাত্রী ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে বখাদের বাড়ির সামনে পথ আটকিয়ে বেদরক মারধর করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্যে ভর্তি করান। বর্তমানে ওই স্কুল ছাত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এদিকে ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ঘটনার দিনে বখাটে ইব্রাহিম ও তার তিন সহযোগী মারুফ, জাহিদ ও রফিকুলকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি লিখিত মামলা দায়ের করেন। মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ১ অক্টোবর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে বখাটে ইব্রাহিম ও মারুফকে আটক করেন। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। তারা বাংলাদেশ সরকার সহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সঠিক বিচার দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি সম্পর্কে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রাজিব জানান, এঘটনায় ইব্রাহিম ও মারুফকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।