ঢাকা ১১:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তামাবিল বিজিবি ক্যাম্পের আশপাশ দিয়ে চোরাচালান ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে তামাবিল স্থলবন্দর ও সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় নিষিদ্ধ পণ্য নিরাপদে বাংলাদেশে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে মাদক দ্রব্য মদ, ইয়াবা, ফেন্সিডিল। এছাড়া চিনি, চা পাতা, কসমেটিক্স, শাড়ি, থ্রি পিস, লেহেঙ্গাসহ বিভিন্ন সামগ্রী তালতলা পোট সংলগ্ন এলাকা দিয়ে আসছে। এসবের নেতৃত্বে রয়েছেন নাজমুল হক, জাহাঙ্গীর আলমসহ আরো অনেকে। অন্যদিকে তামাবিল ক্যাম্প সংরক্ষণ এলাকায় ভাবির হোটেলের ভাবি ও তার স্বামী বাবুল হোটেলের আড়ালে রমরমা মদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। দোকানের পাশে রয়েছে পাথরের ডাম্পিং, এলসি‌ পাথরের নিচে ও জঙ্গলের মধ্যে মদ এর কাটুন লুকিয়ে রাখা হয়। পরে ঝোপ বুঝে বিক্রি হয় এসব মাদক দ্রব্য। আর এমন কর্মকাণ্ড চলেছে প্রশাসনে নজর ফাঁকি দিয়ে।

এই চক্রের একজন হলেন নাজমুল জাহাঙ্গীর। তার রয়েছে তিন থেকে চারজন লাইন ম্যান। সবসময় লালটু মার্কেট ক্যাম্প সংরক্ষণ ও তামাবিল স্থলবন্দর পয়েন্ট কাস্টম পয়েন্টে অবস্থান করে তারা। তাদের কাজ অপরিচিত কোনো সন্দেহজনক লোক দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে নাজমুলকে মেসেজ করে জানিয়ে দেয়া। আর তাদের মেজেজে তাৎক্ষনাত নাজমুল ও জাহাঙ্গীর সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। তামাবিল পোর্টের পূর্ব উত্তর কর্নারে‌ নাজমুলের ঘর ও আস্তানা আছে, ওই ঘরে মাদক দ্রব্য এনে স্টক করে রাখা হয়। আর সুযোগ বুঝে এসব মাদক দ্রব্য ও অন্যান্য পন্য বিক্রি ও ডেলিভারি দেয়া হয়। তালতলা দিয়ে এসব পন্য আনতে নিরাপদ স্থান পোর্টের জন্য কিছু দেখা যায় না । চিনি চা পাতা কসমেটিক্স সহ ইত্যাদিপূর্ণ সামগ্রী অটো রিক্সা দিয়ে বামন হাওর দিয়ে নৌকা যুগে নৌপথে প্রচার করেন।

অনুসন্ধাণী এই রিপোর্ট করতে গিয়ে জানা যায়,  জাফলং বাজার হয়ে শৈলাখাল গ্রামে দুই একটি করে চোরাচালানেকৃত পন্য রেখে ওখান থেকে নৌপথে পাচার করেন জাফলং নদী দিয়ে।

চোরাচালানের ঘটনায় গত কিছুদিন পূর্বে নাজমুল গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের হাতে আটক হন । এর কয়েক মাস পর সিলেট র‍্যাব-৯ এর হাতে ৯২ বোতল মদ সহ আটক হন আবারো। চার মাস কারাজাপন শেষে হাইকোর্টে থেকে জামিন নিয়ে এসে আবারো শুরু করেন রমরমা মদের ব্যবসা।

নাজমুলের বাড়ির পাশেই চেকপোস্ট ও তামাবিল ক্যাম্প এবং লালটু মার্কেট এর কাছে বাড়ির পুলিশ এর ক্যাম্প। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এতো শক্ত অবস্থান করার পরও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে নাজমুল জাহাঙ্গীর মাদকসহ সূরা কারবার দাপটের সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন, থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাহিরে।

এবিষয় জানতে নাজমুল হক ও জাহাঙ্গীর আলম এর মোঠুফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তামাবিল বিজিবি ক্যাম্পের আশপাশ দিয়ে চোরাচালান ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৪:০৭:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে তামাবিল স্থলবন্দর ও সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় নিষিদ্ধ পণ্য নিরাপদে বাংলাদেশে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে মাদক দ্রব্য মদ, ইয়াবা, ফেন্সিডিল। এছাড়া চিনি, চা পাতা, কসমেটিক্স, শাড়ি, থ্রি পিস, লেহেঙ্গাসহ বিভিন্ন সামগ্রী তালতলা পোট সংলগ্ন এলাকা দিয়ে আসছে। এসবের নেতৃত্বে রয়েছেন নাজমুল হক, জাহাঙ্গীর আলমসহ আরো অনেকে। অন্যদিকে তামাবিল ক্যাম্প সংরক্ষণ এলাকায় ভাবির হোটেলের ভাবি ও তার স্বামী বাবুল হোটেলের আড়ালে রমরমা মদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। দোকানের পাশে রয়েছে পাথরের ডাম্পিং, এলসি‌ পাথরের নিচে ও জঙ্গলের মধ্যে মদ এর কাটুন লুকিয়ে রাখা হয়। পরে ঝোপ বুঝে বিক্রি হয় এসব মাদক দ্রব্য। আর এমন কর্মকাণ্ড চলেছে প্রশাসনে নজর ফাঁকি দিয়ে।

এই চক্রের একজন হলেন নাজমুল জাহাঙ্গীর। তার রয়েছে তিন থেকে চারজন লাইন ম্যান। সবসময় লালটু মার্কেট ক্যাম্প সংরক্ষণ ও তামাবিল স্থলবন্দর পয়েন্ট কাস্টম পয়েন্টে অবস্থান করে তারা। তাদের কাজ অপরিচিত কোনো সন্দেহজনক লোক দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে নাজমুলকে মেসেজ করে জানিয়ে দেয়া। আর তাদের মেজেজে তাৎক্ষনাত নাজমুল ও জাহাঙ্গীর সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। তামাবিল পোর্টের পূর্ব উত্তর কর্নারে‌ নাজমুলের ঘর ও আস্তানা আছে, ওই ঘরে মাদক দ্রব্য এনে স্টক করে রাখা হয়। আর সুযোগ বুঝে এসব মাদক দ্রব্য ও অন্যান্য পন্য বিক্রি ও ডেলিভারি দেয়া হয়। তালতলা দিয়ে এসব পন্য আনতে নিরাপদ স্থান পোর্টের জন্য কিছু দেখা যায় না । চিনি চা পাতা কসমেটিক্স সহ ইত্যাদিপূর্ণ সামগ্রী অটো রিক্সা দিয়ে বামন হাওর দিয়ে নৌকা যুগে নৌপথে প্রচার করেন।

অনুসন্ধাণী এই রিপোর্ট করতে গিয়ে জানা যায়,  জাফলং বাজার হয়ে শৈলাখাল গ্রামে দুই একটি করে চোরাচালানেকৃত পন্য রেখে ওখান থেকে নৌপথে পাচার করেন জাফলং নদী দিয়ে।

চোরাচালানের ঘটনায় গত কিছুদিন পূর্বে নাজমুল গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের হাতে আটক হন । এর কয়েক মাস পর সিলেট র‍্যাব-৯ এর হাতে ৯২ বোতল মদ সহ আটক হন আবারো। চার মাস কারাজাপন শেষে হাইকোর্টে থেকে জামিন নিয়ে এসে আবারো শুরু করেন রমরমা মদের ব্যবসা।

নাজমুলের বাড়ির পাশেই চেকপোস্ট ও তামাবিল ক্যাম্প এবং লালটু মার্কেট এর কাছে বাড়ির পুলিশ এর ক্যাম্প। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এতো শক্ত অবস্থান করার পরও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে নাজমুল জাহাঙ্গীর মাদকসহ সূরা কারবার দাপটের সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন, থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাহিরে।

এবিষয় জানতে নাজমুল হক ও জাহাঙ্গীর আলম এর মোঠুফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।