ঢাকা ০৫:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাহুবলে সেতু নির্মান নিয়ে এমপি-উপজেলা চেয়ারম্যান টানাটানি।

হবিগঞ্জ বাহুবল থেকে:- হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলে ২টি সেতু নির্মাণ নিয়ে এমপি-উপজেলা চেয়ারম্যানের টানাটানিতে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। গত ক’দিন ধরে বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান প্রচার করছেন যে, “জেলা সমন্বয় সভায় ডিসি (জেলা প্রশাসক) এবং এক্সএন (নির্বাহী প্রকৌশলী) মহোদয়ের নিকট যা চাই তাই তারা আমাকে মায়া করে দিয়েদেন। করাঙ্গী নদীতে দু’টি সেতু চেয়ে ছিলাম উনারা তা দিয়েছেন। ভেড়াখাল ও বাহুবল বাজারে এ সেতু দু’টির কাজ চলমান আছে।” তিনি তার মেয়াদের গত ৪ বছরে অসংখ্য রাস্তা-ঘাট মসজিদ-মন্দিরসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছেন বলেও দাবি করে আসছেন।

এদিকে, গত শনিবার হবিগঞ্জ-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ মিলাদ ভেড়াকাল নামক স্থানে করাঙ্গী নদীর উপর নির্মাণাধিন সেতুর কাজের অগ্রগতি দেখতে যান। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান সেখানে উপস্থিত হয়ে তার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ করেন। এ সময় তিনি জানান, ‘তার আবেদনে সেতুগুলো মঞ্জুর হয়েছে। এ জন্য অবশ্য এমপি সাহেব ডিও লেটারও দিছেন।’

এ ব্যাপারে আজ রোববার দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান তার কার্যালয়ে এ প্রতিবেদককে এ ব্যাপারে একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার দেন। তাতে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সেতু ২ টি নিয়ে প্রতিনিয়তই জেলা সমন্বয় মিটিংয়ে কথা বলেছি, এর ধারাবাহিকতায় ডিসি মহোদয় ও এক্সএন মহোদয় সেতু দুটি দিয়েছেন। এমপি সাহেব ডিও দিয়েছেন এটাও সত্য।’

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজীর সাথে মেবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, “আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বাহুবলে করাঙ্গী নদীর উপর ২টি ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে এ দু’টিসহ মোট ৩ টি ব্রীজের কাজ হচ্ছে। অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ করেছি।” করাঙ্গী নদীর সেতুগুলো বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর নিকট থেকে জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা প্রকৌশলী মো: রাকিব হাসান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বড় বড় প্রকল্পগুলো এমপি মহোদয়দের মাধ্যমে হয়ে থাকে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়,পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় হয়ে এ কাজগুলো মঞ্জুর হয়। এটা কি এমপি মহোদয় ছাড়া সম্ভব?”
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাহুবলে সেতু নির্মান নিয়ে এমপি-উপজেলা চেয়ারম্যান টানাটানি।

আপডেট সময় ০৭:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩

হবিগঞ্জ বাহুবল থেকে:- হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলে ২টি সেতু নির্মাণ নিয়ে এমপি-উপজেলা চেয়ারম্যানের টানাটানিতে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। গত ক’দিন ধরে বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান প্রচার করছেন যে, “জেলা সমন্বয় সভায় ডিসি (জেলা প্রশাসক) এবং এক্সএন (নির্বাহী প্রকৌশলী) মহোদয়ের নিকট যা চাই তাই তারা আমাকে মায়া করে দিয়েদেন। করাঙ্গী নদীতে দু’টি সেতু চেয়ে ছিলাম উনারা তা দিয়েছেন। ভেড়াখাল ও বাহুবল বাজারে এ সেতু দু’টির কাজ চলমান আছে।” তিনি তার মেয়াদের গত ৪ বছরে অসংখ্য রাস্তা-ঘাট মসজিদ-মন্দিরসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছেন বলেও দাবি করে আসছেন।

এদিকে, গত শনিবার হবিগঞ্জ-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ মিলাদ ভেড়াকাল নামক স্থানে করাঙ্গী নদীর উপর নির্মাণাধিন সেতুর কাজের অগ্রগতি দেখতে যান। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান সেখানে উপস্থিত হয়ে তার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ করেন। এ সময় তিনি জানান, ‘তার আবেদনে সেতুগুলো মঞ্জুর হয়েছে। এ জন্য অবশ্য এমপি সাহেব ডিও লেটারও দিছেন।’

এ ব্যাপারে আজ রোববার দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান তার কার্যালয়ে এ প্রতিবেদককে এ ব্যাপারে একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার দেন। তাতে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সেতু ২ টি নিয়ে প্রতিনিয়তই জেলা সমন্বয় মিটিংয়ে কথা বলেছি, এর ধারাবাহিকতায় ডিসি মহোদয় ও এক্সএন মহোদয় সেতু দুটি দিয়েছেন। এমপি সাহেব ডিও দিয়েছেন এটাও সত্য।’

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজীর সাথে মেবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, “আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বাহুবলে করাঙ্গী নদীর উপর ২টি ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে এ দু’টিসহ মোট ৩ টি ব্রীজের কাজ হচ্ছে। অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ করেছি।” করাঙ্গী নদীর সেতুগুলো বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর নিকট থেকে জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা প্রকৌশলী মো: রাকিব হাসান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বড় বড় প্রকল্পগুলো এমপি মহোদয়দের মাধ্যমে হয়ে থাকে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়,পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় হয়ে এ কাজগুলো মঞ্জুর হয়। এটা কি এমপি মহোদয় ছাড়া সম্ভব?”