ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিবচরে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশীয় ফলের চারা বিতরণ

দেশীয় ফুল ও ফল উৎপাদনের পরিধি বাড়াতে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় অভয়ারণ্য নেচার কনর্জাভেশন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নবপ্রভা, বরহামগঞ্জ ইউনাইটেড ক্লাব, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দেশ ও আনন্দ গণগ্রন্থাগারের সহযোগিতায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে ৩০০টি দেশীয় ফলজ বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে বরহামগঞ্জ ইউনাইটেড ক্লাব (হাতির বাগান) মাঠে শিক্ষার্থীর মাঝে চারা বিতরণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে পরিচর্যার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ব খাদ্য সংস্থার পল জেস্কিয়ারনাক, বরহামগঞ্জ ইউনাইটেড ক্লাবের সভাপতি শাহরিয়ার হাসান খান রানা, শিবচর নন্দকুমার ইন্সটিটিউশনের সহকারী প্রধান শিক্ষক ইমাম হোসেন হাওলাদার, নবগ্রভার সম্পাদক লিটন সেন এবং কার্যকরী সদস্য মাহবুবা রহমান তিষা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দেশ এর সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান, আনন্দপঠ গণগ্রন্থাগারের সভাপতি সুমন হাওলাদার, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দেশ’র সাধারণ সম্পাদক সানাউল্লাহ, অভয়ারণ্য’র সভাপতি শ্যামল কান্তি সরকার এব সাধারণ সম্পাদক সহদেব চন্দ্র মজুমদার,  সাংবাদিক এস.এম. দেলোয়ার হোসাইনসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
বিতরণকৃত চারা গাছের মধ্যে রয়েছে- সোনালু, হিজল, আমচন্ডুল, নিম, গোলাপ জাম, কালো জাম, আমড়া, লটকন, জলপাই, বেল, চালতা, তেঁতুল, বাতাবিলেবু, বিলাতি গাব, দেশি গাব, কাঁঠাল, আমলকি, পেয়ারা, আম, আনাড়, ডেউয়া, চাপালিশ, নিম, কাঞ্চন এবং দেশি খেজুরের গাছ।
বরহামগঞ্জ ইউনাইটেড ক্লাবের সভাপতি শাহরিয়ার হাসান খান রানা বলেন, আমাদের গ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন রকম দেশি ফল গাছের সমাহার ছিল। দিনদিন সেগুলোর এখন প্রায় বিলুপ্তর পথে। বিলুপ্ত প্রায় এসব ফলের গাছ সম্প্রসারণ করাই মূল উদ্দেশ্য। তাছাড়া একটি গাছ একটি পরিবারের সম্পদ। একটি ফলের গাছ থেকে একটি পরিবারের যেমন পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে তেমনি অতিরিক্ত ফল বিক্রি করে পারিবারিকভাবে লাভবান হবে। এসব কার্যক্রম সারাদেশে সম্প্রসারিত হলে পুষ্টিচাহিদার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থার পল জেস্কিয়ারনাক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করে বাসযোগ্য দেশ গড়তে সকলকে দেশীয় প্রজাতির ফলের চারা রোপন করতে হবে। ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই উপকারী। প্রতিটি মানুষের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যেকোন ধরণের একটি ফল অবশ্যই থাকা উচিৎ নিজের সুস্বাস্থ্যের জন্যেই। ফল সম্পুর্ণই একটি প্রাকৃতিক উপাদান, তাই ফল খাওয়ার ফলে আপনি অনেক বেশী এনার্জি পাবেন এবং সুস্থ অনুভব করবেন। তাই সকলে নিজ নিজ স্থান থেকে ফলের চারা রোপন করা উচিৎ।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিবচরে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশীয় ফলের চারা বিতরণ

আপডেট সময় ০১:১১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩
দেশীয় ফুল ও ফল উৎপাদনের পরিধি বাড়াতে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় অভয়ারণ্য নেচার কনর্জাভেশন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নবপ্রভা, বরহামগঞ্জ ইউনাইটেড ক্লাব, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দেশ ও আনন্দ গণগ্রন্থাগারের সহযোগিতায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে ৩০০টি দেশীয় ফলজ বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে বরহামগঞ্জ ইউনাইটেড ক্লাব (হাতির বাগান) মাঠে শিক্ষার্থীর মাঝে চারা বিতরণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে পরিচর্যার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ব খাদ্য সংস্থার পল জেস্কিয়ারনাক, বরহামগঞ্জ ইউনাইটেড ক্লাবের সভাপতি শাহরিয়ার হাসান খান রানা, শিবচর নন্দকুমার ইন্সটিটিউশনের সহকারী প্রধান শিক্ষক ইমাম হোসেন হাওলাদার, নবগ্রভার সম্পাদক লিটন সেন এবং কার্যকরী সদস্য মাহবুবা রহমান তিষা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দেশ এর সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান, আনন্দপঠ গণগ্রন্থাগারের সভাপতি সুমন হাওলাদার, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দেশ’র সাধারণ সম্পাদক সানাউল্লাহ, অভয়ারণ্য’র সভাপতি শ্যামল কান্তি সরকার এব সাধারণ সম্পাদক সহদেব চন্দ্র মজুমদার,  সাংবাদিক এস.এম. দেলোয়ার হোসাইনসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
বিতরণকৃত চারা গাছের মধ্যে রয়েছে- সোনালু, হিজল, আমচন্ডুল, নিম, গোলাপ জাম, কালো জাম, আমড়া, লটকন, জলপাই, বেল, চালতা, তেঁতুল, বাতাবিলেবু, বিলাতি গাব, দেশি গাব, কাঁঠাল, আমলকি, পেয়ারা, আম, আনাড়, ডেউয়া, চাপালিশ, নিম, কাঞ্চন এবং দেশি খেজুরের গাছ।
বরহামগঞ্জ ইউনাইটেড ক্লাবের সভাপতি শাহরিয়ার হাসান খান রানা বলেন, আমাদের গ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন রকম দেশি ফল গাছের সমাহার ছিল। দিনদিন সেগুলোর এখন প্রায় বিলুপ্তর পথে। বিলুপ্ত প্রায় এসব ফলের গাছ সম্প্রসারণ করাই মূল উদ্দেশ্য। তাছাড়া একটি গাছ একটি পরিবারের সম্পদ। একটি ফলের গাছ থেকে একটি পরিবারের যেমন পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে তেমনি অতিরিক্ত ফল বিক্রি করে পারিবারিকভাবে লাভবান হবে। এসব কার্যক্রম সারাদেশে সম্প্রসারিত হলে পুষ্টিচাহিদার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থার পল জেস্কিয়ারনাক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করে বাসযোগ্য দেশ গড়তে সকলকে দেশীয় প্রজাতির ফলের চারা রোপন করতে হবে। ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই উপকারী। প্রতিটি মানুষের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যেকোন ধরণের একটি ফল অবশ্যই থাকা উচিৎ নিজের সুস্বাস্থ্যের জন্যেই। ফল সম্পুর্ণই একটি প্রাকৃতিক উপাদান, তাই ফল খাওয়ার ফলে আপনি অনেক বেশী এনার্জি পাবেন এবং সুস্থ অনুভব করবেন। তাই সকলে নিজ নিজ স্থান থেকে ফলের চারা রোপন করা উচিৎ।