ঢাকা ০২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিংড়ায় এক গৃহবধূকে হত্যার মামলায় তিনজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড

নাটোরের সিংড়ায় এক গৃহবধূকে হত্যার মামলায় স্বামী, শাশুড়িসহ তিনজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. আব্দুর রহিম এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, স্বামী সানিউল ইসলাম, শাশুড়ি সাবিনা ইয়াসমীন ও ননদ রিভু খাতুন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির বারান্দায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান স্বামীসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পেরে নিহতের বাবাসহ আত্মীয়-স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতার মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় ওই দিনই গৃহবূধর বাবা বাদী হয়ে নিহতের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ নিহত খাদিজা কবরীর স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর মামলার সাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক আজ এই রায় প্রদান করেন। মামলায় জরিমানার অর্থ নিহতের পরিবারের সদস্যরা পাবেন উল্লেখ করা হয়। মামলার রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সিংড়ায় এক গৃহবধূকে হত্যার মামলায় তিনজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৩:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

নাটোরের সিংড়ায় এক গৃহবধূকে হত্যার মামলায় স্বামী, শাশুড়িসহ তিনজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. আব্দুর রহিম এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, স্বামী সানিউল ইসলাম, শাশুড়ি সাবিনা ইয়াসমীন ও ননদ রিভু খাতুন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির বারান্দায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান স্বামীসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পেরে নিহতের বাবাসহ আত্মীয়-স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতার মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় ওই দিনই গৃহবূধর বাবা বাদী হয়ে নিহতের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ নিহত খাদিজা কবরীর স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর মামলার সাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক আজ এই রায় প্রদান করেন। মামলায় জরিমানার অর্থ নিহতের পরিবারের সদস্যরা পাবেন উল্লেখ করা হয়। মামলার রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।