ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়ার দইসহ চারটি পণ্য ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে

গত ২৬ জুন শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। জিআই স্বীকৃতি পাওয়া অন্য পণ্যগুলো হচ্ছে শেরপুরের তুলসীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া এবং আশ্বিনা আম। এ নিয়ে দেশের ১৫টি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেল।

ডিপিডিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার জিল্লুর রহমান বলেন, আবেদনের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই শেষে ২৬ জুন বগুড়ার দই ছাড়াও তিনটি পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েকটি পণ্য প্রক্রিয়াধীন। শিগগির সেগুলোরও স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর ডিপিডিটিতে বগুড়ার দইকে জিআই পণ্য করার জন্য আবেদন করে জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। আবেদনের প্রায় সাড়ে চার বছর পর স্বীকৃতি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী আলাল। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ বগুড়ার দইয়ের স্বাদ নিয়েছেন। কিন্তু এগুলো ব্যক্তিগত উদ্যোগে। এখন জিআই পণ্যের মর্যাদা পাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হলো। আশা করছি, ট্যারিফ লাইনেও বগুড়ার দইয়ের নাম শিগগির যুক্ত হবে।

জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার আবেদনে বগুড়া রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি উল্লেখ করেছিল, প্রায় দেড়শ বছর আগে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা সদরের প্রয়াত নীলকণ্ঠ ঘোষ প্রথম দই তৈরি করেন। এরপর ধীরে ধীরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাঁড়ে করে বাড়ি বাড়ি দই বিক্রি শুরু হয়। বগুড়ার দইয়ের স্বাদ নিয়ে প্রশংসা করেছিলেন মহারানি ভিক্টোরিয়া ও রানি এলিজাবেথ। বগুড়ার দইয়ের সুনাম দেশজুড়ে। বিদেশেও ব্যক্তিগতভাবে অনেকে নিয়ে যান। এ দইয়ের স্বাদ নিতে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন বগুড়ায় আসেন এবং দেশের প্রায় সব জেলাতেই পণ্যটি বাজারজাত হয়ে আসছে। বগুড়ার দই এ স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য বলে আমরা আশাবাদী এবং এটি আমাদের অধিকার।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়ার দইসহ চারটি পণ্য ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে

আপডেট সময় ১০:৩৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

গত ২৬ জুন শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। জিআই স্বীকৃতি পাওয়া অন্য পণ্যগুলো হচ্ছে শেরপুরের তুলসীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া এবং আশ্বিনা আম। এ নিয়ে দেশের ১৫টি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেল।

ডিপিডিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার জিল্লুর রহমান বলেন, আবেদনের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই শেষে ২৬ জুন বগুড়ার দই ছাড়াও তিনটি পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েকটি পণ্য প্রক্রিয়াধীন। শিগগির সেগুলোরও স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর ডিপিডিটিতে বগুড়ার দইকে জিআই পণ্য করার জন্য আবেদন করে জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। আবেদনের প্রায় সাড়ে চার বছর পর স্বীকৃতি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী আলাল। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ বগুড়ার দইয়ের স্বাদ নিয়েছেন। কিন্তু এগুলো ব্যক্তিগত উদ্যোগে। এখন জিআই পণ্যের মর্যাদা পাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হলো। আশা করছি, ট্যারিফ লাইনেও বগুড়ার দইয়ের নাম শিগগির যুক্ত হবে।

জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার আবেদনে বগুড়া রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি উল্লেখ করেছিল, প্রায় দেড়শ বছর আগে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা সদরের প্রয়াত নীলকণ্ঠ ঘোষ প্রথম দই তৈরি করেন। এরপর ধীরে ধীরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাঁড়ে করে বাড়ি বাড়ি দই বিক্রি শুরু হয়। বগুড়ার দইয়ের স্বাদ নিয়ে প্রশংসা করেছিলেন মহারানি ভিক্টোরিয়া ও রানি এলিজাবেথ। বগুড়ার দইয়ের সুনাম দেশজুড়ে। বিদেশেও ব্যক্তিগতভাবে অনেকে নিয়ে যান। এ দইয়ের স্বাদ নিতে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন বগুড়ায় আসেন এবং দেশের প্রায় সব জেলাতেই পণ্যটি বাজারজাত হয়ে আসছে। বগুড়ার দই এ স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য বলে আমরা আশাবাদী এবং এটি আমাদের অধিকার।