বরিশাল: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে দ্বিতীয় দফায় সাগর নন্দিনী-২ নামের তেলবাহী ট্যাংকার বিস্ফোরণের পর লাগা আগুন নিভে গেছে। এটি এখন বিস্ফোরণের ঝুঁকিমুক্ত বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সাগর নন্দিনী-২ নামের জাহাজটিতে প্রথম গত ১ জুলাই বেলা ২টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ঘটে। তখন আমাদের বেশ কয়েকটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর সেই ভ্যাসেলটি থেকে চারলাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল অপসারণের লক্ষে সাগর নন্দিনী-৪ নামক অপর একটি ট্যাংকার সেখানে আসে। বিআইডব্লিউটিএ থেকে আমরা জানতে পেরেছি ২৫ হাজার লিটার জ্বালানি তেল অপসারণ করার পর আবারও বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে সাগর নন্দিনী-২ নামের জাহাজটিতে।
তিনি বলেন, এ জায়গাটা এখন নিরাপদ। আগুন নেভাতে আমরা যে পরিমাণ ফোম মিশ্রিত পানি ওখানে ব্যবহার করেছি, তাতে পর্যাপ্ত ফোম রয়েছে ভ্যাসেলটিতে। জাহাজের ভেতরে তেল সংরক্ষণের বিভিন্ন কমপার্টমেন্ট থাকে, ওখানে গ্যাস সৃষ্টি হয় বা বায়ু শূন্য হয়ে আবারও বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে আমরা মনে করছি, পর্যাপ্ত ফোমের কারণে জায়গাটি বিস্ফোরণের আওতামুক্ত।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ আমাদের ১২টি ইউনিট ছিল। আমাদের সিস্টেম অনেক ছিল, তবুও আমরা পানি দিয়ে আগুন নির্বাপণ করতে পারছিলাম না। সবসময় ফোম দিয়ে আগুন নির্বাপণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি।
উল্লেখ্য। গত ১ জুলাই দুপুর দুইটার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সাগর নন্দিনী-২ নামের তেলের ট্যাংকারে বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যে ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং পাঁচজন গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার (০৩ জুলাই) উদ্ধার অভিযান শেষ করার এক ঘণ্টার মাথায় সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে একই জাহাজে ফের বিস্ফোরণ হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ধারণা করা হচ্ছে, এক জাহাজ থেকে অন্য জাহাজে তেল অপসারণ সময় ইলেকট্রিক স্ফুলিঙ্গ থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে কেউ কেউ বলছেন, একনাগারে তেল উত্তোলন করায় এ কাজে ব্যবহৃত পাম্পটি অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ায় এ বিপত্তি ঘটতে পারে।