ঢাকা ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় সাইলেন্সারের শব্দকে কেন্দ্র করে গাড়ি-বাড়ি ভাংচুর, আহত ৮

পটুয়াখালীর গলাচিপায় কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কলাগাছিয়া বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হামলায় ৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পাঁচজন গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েণ।

এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের এসএম জিয়া চৌধুরীর ছেলে রিভান চৌধুরী তার নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে কলাগাছিয়া বাজারে গেলে গাড়ির সাইলেন্সারের শব্দকে কেন্দ্র করে একই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে সোহান সিকদারের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। পরে দুই পক্ষ সন্ধ্যার পর বাজারে অবস্থান নিলে উত্তেজনা দেখা দেয়।

এসময় জিয়া চৌধুরী তার লোকজন নিয়ে বাড়ি চলে যায়। এর কিছু পরেই চেয়ারম্যানের ছেলে সোহান সিকদারের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি গ্রুপ জিয়া চৌধুরীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে দরজা, জানালার গ্লাস ও একটি প্রাইভেট কার ভাংচুর করে। এ বিষয়ে এসএম জিয়া চৌধুরী বলেন, চেয়ারম্যানের ছেলে সোহানের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী আমার বাড়ি হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় আমার ঘরের দরজা, জানালা ও প্রাইভেট কার ভাংচুর করে। এ ঘটনায় এখন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আহতরা হলেন, খোকন, মোশারেফ, জাকির, রিভান চৌধুরী, সুমন রাজা ও তাহের চৌধুরী এবং নিজাম হাওলাদার, সমির ঠাকুর। এরা সকলেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মাইনুল সিকদার বলেন, জিয়া চৌধুরীর ছেলে রিভান চৌধুরী শুক্রবার বিকেলে একটি মোটর সাইকেল নিয়ে পাশে দাড়িয়ে অকারণে শব্দ করতে থাকে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় জিয়া চৌধুরী লোকজন নিয়ে আমার ছেলের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। পরে এলাকাবাসীর প্রতিরোধে সে চলে যায়। এরপর কী হয়েছে আমি জানি না। এ ঘটনা সম্পর্কে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েণ বলেন, ঘটনা শোনার পর পুলিশ ওই এলাকা পরিদর্শন করেছে। পরিবেশ শান্ত আছে। তবে কোন পক্ষই থানায় কোন অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় সাইলেন্সারের শব্দকে কেন্দ্র করে গাড়ি-বাড়ি ভাংচুর, আহত ৮

আপডেট সময় ১০:৩০:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩

পটুয়াখালীর গলাচিপায় কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কলাগাছিয়া বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হামলায় ৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পাঁচজন গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েণ।

এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের এসএম জিয়া চৌধুরীর ছেলে রিভান চৌধুরী তার নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে কলাগাছিয়া বাজারে গেলে গাড়ির সাইলেন্সারের শব্দকে কেন্দ্র করে একই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে সোহান সিকদারের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। পরে দুই পক্ষ সন্ধ্যার পর বাজারে অবস্থান নিলে উত্তেজনা দেখা দেয়।

এসময় জিয়া চৌধুরী তার লোকজন নিয়ে বাড়ি চলে যায়। এর কিছু পরেই চেয়ারম্যানের ছেলে সোহান সিকদারের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি গ্রুপ জিয়া চৌধুরীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে দরজা, জানালার গ্লাস ও একটি প্রাইভেট কার ভাংচুর করে। এ বিষয়ে এসএম জিয়া চৌধুরী বলেন, চেয়ারম্যানের ছেলে সোহানের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী আমার বাড়ি হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় আমার ঘরের দরজা, জানালা ও প্রাইভেট কার ভাংচুর করে। এ ঘটনায় এখন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আহতরা হলেন, খোকন, মোশারেফ, জাকির, রিভান চৌধুরী, সুমন রাজা ও তাহের চৌধুরী এবং নিজাম হাওলাদার, সমির ঠাকুর। এরা সকলেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মাইনুল সিকদার বলেন, জিয়া চৌধুরীর ছেলে রিভান চৌধুরী শুক্রবার বিকেলে একটি মোটর সাইকেল নিয়ে পাশে দাড়িয়ে অকারণে শব্দ করতে থাকে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় জিয়া চৌধুরী লোকজন নিয়ে আমার ছেলের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। পরে এলাকাবাসীর প্রতিরোধে সে চলে যায়। এরপর কী হয়েছে আমি জানি না। এ ঘটনা সম্পর্কে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েণ বলেন, ঘটনা শোনার পর পুলিশ ওই এলাকা পরিদর্শন করেছে। পরিবেশ শান্ত আছে। তবে কোন পক্ষই থানায় কোন অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি।