ঢাকা ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোরহানউদ্দিনে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ৩ নং ওয়ার্ডে রাতের আধারে তালাবদ্ধ ঘরে তালা ভেঙে ঘর দখলের অভিযোগ উঠে একই ওয়ার্ডের নূরউদ্দিন (৩৪) পিতা- মানিক ফরাজী, জামাল (৩৫) পিতা – অজ্ঞাত, নুরেআলম (৬০) পিতা-মৃত আজিজ, মানিক ফরাজী(৫৫) পিতা- মৃত হাশেম,আবুল কাশেম(৪৫) পিতা- মৃত হাশেম এদের বিরুদ্ধে।

আজ ২৭/০৬/২০২৩ তারিখ আনুমানিক ভোর ৫ টার দিকে মোঃ খোরশেদ আলম গংদের টিন সেট ঘরের তালাবদ্ধ, তালাবদ্ধ ঘরের তালা ভেঙে নূরউদ্দিন গংরা ঘরে প্রবেশ করার অভিযোগ উঠে।

মো. খোরশেদ আলম জানান- ১৯-০৬-২০২৩ ইং তারিখে নূরউদ্দিন, মানিক ফরাজী, নুরেআলম, জামাল, মোতাহার,আবুল কাশেম সহ ১০/১২ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে উদয়পুর মৌজা এসএ খতিয়ান নং- ১৩ দাগ ৭১৩,এর ৩০ শতাংশ জমির রেকরডিও একক মালিক আমার বাবা শামছল হক ফরাজী ও আমার চাচা আনামিয়া। ওই জমিতে দু’টি টিন সেট ঘরের একটি, আমরা না থাকায় সুযোগ নিয়ে রাতের আধারে একটি ঘর নিয়ে যায়।

উক্ত ৩০ শতাংশ জমির মধ্যে ৯ শতাংশ জমির মালিক আমার চাচা আনামিয়ার ওয়ারিশগণ এবং ২১ শতাংশ জমির মালিক আমার বাবা শামছল হক ওয়ারিশ হিসেবে আমরা।

সেইখানে আমাদের দুইটি দোতালা টিনের ঘর রয়েছে। ঘর দুটিতে মাছের খাবার, রড সিমেন্ট সহ আরও আসবাবপত্র ছিলো, সব কিছু নূরউদ্দিন গংরা নিয়ে যায়। আনামিয়ার ওয়ারিশ গং উক্ত জমিতে দালান ঘর নির্মাণ করে।

নূরউদ্দিন গংরা উক্ত খতিয়ানের একক রেকর্ডীয় দাগ ৭১৩ এর ৩০ শতাংশ জমির মধ্যে হতে বিএস জরিপে প্রতারণা আশ্রয় নিয়ে ১২ শতাংশ জমি বিএস রেকর্ড করেন এবং পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি জানতে পেরে রেকর্ড সংশোধনের জন্য মোকাম বোরহানউদ্দিন সহকারী জজ আদালত, ভোলা বরাবরে দেওয়ানী মামল নং- ০৩/২২ দায়ের করেন।মামলাটি বাদীপক্ষ আমার অনুকূলে এবং বিবাদীদের প্রতিকূলে ডিগ্রি হল মর্মে রায় প্রদান করেন।পরবর্তীতে নূরউদ্দিন গংরা উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল(ছানি)মামলা নং-০৯/২৩ দায়ের করেন,যা বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে চলমান রয়েছে।এর পরবর্তীতে আমাদের উক্ত জমিতে বিবাদীরা গত ১৯-০৬-২০২৩ তারিখ আমি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট,ভোলা বরাবর নূরউদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে ফৌঃকাঃবিঃ ১৪৪/১৪৫ ধারায় প্রতিকার চেয়ে এমপি মামলা নং- ৪১৯/২০২৩ (বোরঃ) দায়ের করি।

বিজ্ঞ আদালত সহকারী কমিশনার(ভুমি),বোরহান উদ্দিনকে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক সুস্পষ্ট মতামত সহ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন এবং অফিসার ইনচার্জ বোরহানউদ্দিন উক্ত স্হানের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রধান করেন।নুরুদ্দিন গংরা আদেশ অমান্য করিয়া রাতের অন্ধকারে আমাদের না থাকার সুযোগে উক্ত জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করে এবং অদ্য ২৭-০৬-২০২৩ তারিখ আনুমান ভোর ০৫:০০ ঘটিকার সময় তালাবদ্ধ ঘরটির তালা ভাঙ্গিয়া উক্ত ঘরে উঠে।

বিষয়টি আমি জানতে পেরে উক্ত তালাবদ্ধ ঘরটির রক্ষিত চাবি স্হানীয় গন্যামান্য ব্যাক্তি মোঃনুরে আলম সহ অন্যান্য সাক্ষীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নূরউদ্দিন গংদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি সহ হুমকি প্রধান করে।বিষয়টি নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আমি সহ আমার লোকজন নিরাপদে ঘটনাস্থল হতে চলিয়া আসি।নুরুদ্দিন গংরা বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে ঘরের দখল নেওয়ার বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য বোরহানউদ্দিন থানায় এসে সাধারণ ডায়েরি ভূক্ত করি।

তিনি আরও বলেন- বোরহানউদ্দিন উপজেলার যুবলীগ ও সাবেক কমিশনারদের সাথে নূরউদ্দিন গংরা ১৫০,০০০/ হাজার টাকা দেনদরবার করে আমাদের একটি টিন সেট ঘর রাতের আধারে ট্র্যারাক দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাজারের ফাহারাদার দেখতে পায়,আরেকটি ঘরে তালা ভেঙে দখল করেন। যার একটি ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।

এছাড়াও নূরউদ্দিন গংরা আমরা বাড়াবাড়ি করলে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার হুমকি দেয়। ৯৯৯ কল দিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাইনি কোন প্রতিকার।

বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেনের কাছে উল্লেখিত বিষয় জানতে চাইলে তিনি আদালতের দোহাই দিয়ে এরিয়ে যান।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৭:০৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ৩ নং ওয়ার্ডে রাতের আধারে তালাবদ্ধ ঘরে তালা ভেঙে ঘর দখলের অভিযোগ উঠে একই ওয়ার্ডের নূরউদ্দিন (৩৪) পিতা- মানিক ফরাজী, জামাল (৩৫) পিতা – অজ্ঞাত, নুরেআলম (৬০) পিতা-মৃত আজিজ, মানিক ফরাজী(৫৫) পিতা- মৃত হাশেম,আবুল কাশেম(৪৫) পিতা- মৃত হাশেম এদের বিরুদ্ধে।

আজ ২৭/০৬/২০২৩ তারিখ আনুমানিক ভোর ৫ টার দিকে মোঃ খোরশেদ আলম গংদের টিন সেট ঘরের তালাবদ্ধ, তালাবদ্ধ ঘরের তালা ভেঙে নূরউদ্দিন গংরা ঘরে প্রবেশ করার অভিযোগ উঠে।

মো. খোরশেদ আলম জানান- ১৯-০৬-২০২৩ ইং তারিখে নূরউদ্দিন, মানিক ফরাজী, নুরেআলম, জামাল, মোতাহার,আবুল কাশেম সহ ১০/১২ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে উদয়পুর মৌজা এসএ খতিয়ান নং- ১৩ দাগ ৭১৩,এর ৩০ শতাংশ জমির রেকরডিও একক মালিক আমার বাবা শামছল হক ফরাজী ও আমার চাচা আনামিয়া। ওই জমিতে দু’টি টিন সেট ঘরের একটি, আমরা না থাকায় সুযোগ নিয়ে রাতের আধারে একটি ঘর নিয়ে যায়।

উক্ত ৩০ শতাংশ জমির মধ্যে ৯ শতাংশ জমির মালিক আমার চাচা আনামিয়ার ওয়ারিশগণ এবং ২১ শতাংশ জমির মালিক আমার বাবা শামছল হক ওয়ারিশ হিসেবে আমরা।

সেইখানে আমাদের দুইটি দোতালা টিনের ঘর রয়েছে। ঘর দুটিতে মাছের খাবার, রড সিমেন্ট সহ আরও আসবাবপত্র ছিলো, সব কিছু নূরউদ্দিন গংরা নিয়ে যায়। আনামিয়ার ওয়ারিশ গং উক্ত জমিতে দালান ঘর নির্মাণ করে।

নূরউদ্দিন গংরা উক্ত খতিয়ানের একক রেকর্ডীয় দাগ ৭১৩ এর ৩০ শতাংশ জমির মধ্যে হতে বিএস জরিপে প্রতারণা আশ্রয় নিয়ে ১২ শতাংশ জমি বিএস রেকর্ড করেন এবং পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি জানতে পেরে রেকর্ড সংশোধনের জন্য মোকাম বোরহানউদ্দিন সহকারী জজ আদালত, ভোলা বরাবরে দেওয়ানী মামল নং- ০৩/২২ দায়ের করেন।মামলাটি বাদীপক্ষ আমার অনুকূলে এবং বিবাদীদের প্রতিকূলে ডিগ্রি হল মর্মে রায় প্রদান করেন।পরবর্তীতে নূরউদ্দিন গংরা উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল(ছানি)মামলা নং-০৯/২৩ দায়ের করেন,যা বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে চলমান রয়েছে।এর পরবর্তীতে আমাদের উক্ত জমিতে বিবাদীরা গত ১৯-০৬-২০২৩ তারিখ আমি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট,ভোলা বরাবর নূরউদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে ফৌঃকাঃবিঃ ১৪৪/১৪৫ ধারায় প্রতিকার চেয়ে এমপি মামলা নং- ৪১৯/২০২৩ (বোরঃ) দায়ের করি।

বিজ্ঞ আদালত সহকারী কমিশনার(ভুমি),বোরহান উদ্দিনকে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক সুস্পষ্ট মতামত সহ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন এবং অফিসার ইনচার্জ বোরহানউদ্দিন উক্ত স্হানের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রধান করেন।নুরুদ্দিন গংরা আদেশ অমান্য করিয়া রাতের অন্ধকারে আমাদের না থাকার সুযোগে উক্ত জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করে এবং অদ্য ২৭-০৬-২০২৩ তারিখ আনুমান ভোর ০৫:০০ ঘটিকার সময় তালাবদ্ধ ঘরটির তালা ভাঙ্গিয়া উক্ত ঘরে উঠে।

বিষয়টি আমি জানতে পেরে উক্ত তালাবদ্ধ ঘরটির রক্ষিত চাবি স্হানীয় গন্যামান্য ব্যাক্তি মোঃনুরে আলম সহ অন্যান্য সাক্ষীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নূরউদ্দিন গংদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি সহ হুমকি প্রধান করে।বিষয়টি নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আমি সহ আমার লোকজন নিরাপদে ঘটনাস্থল হতে চলিয়া আসি।নুরুদ্দিন গংরা বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে ঘরের দখল নেওয়ার বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য বোরহানউদ্দিন থানায় এসে সাধারণ ডায়েরি ভূক্ত করি।

তিনি আরও বলেন- বোরহানউদ্দিন উপজেলার যুবলীগ ও সাবেক কমিশনারদের সাথে নূরউদ্দিন গংরা ১৫০,০০০/ হাজার টাকা দেনদরবার করে আমাদের একটি টিন সেট ঘর রাতের আধারে ট্র্যারাক দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাজারের ফাহারাদার দেখতে পায়,আরেকটি ঘরে তালা ভেঙে দখল করেন। যার একটি ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।

এছাড়াও নূরউদ্দিন গংরা আমরা বাড়াবাড়ি করলে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার হুমকি দেয়। ৯৯৯ কল দিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাইনি কোন প্রতিকার।

বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেনের কাছে উল্লেখিত বিষয় জানতে চাইলে তিনি আদালতের দোহাই দিয়ে এরিয়ে যান।