ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাটে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু, দাম যাচাই বাছাই করছে ক্রেতারা

মুসলমানদের ত্যাগের উৎসব ঈদুল আজহা। তাই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কুরবানি করা হয়। এ উপলক্ষে প্রতিবছর বিশেষভাবে গুরু-ছাগলের বিশাল হাট বসে। এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুমিল্লার পশুরহাটগুলোতে পর্যাপ্ত পশু তুলেছেন কৃষক ও খামারীরা।

কুমিল্লার কয়েকটি খামার ও হাট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে খামারি ও ব্যবসায়ীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ বছর বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরু পালনে বেশি মনযোগী খামারিরা।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কুমিল্লায় পশু পালন করছেন ৩৩ হাজার ৯৩৭ জন খামারী। এ বছর জেলার ছয় উপজেলায় কোরবানির পশুর ঘাটতি কথা জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। তবে কুমিল্লার ভৌগলিক গুরুত্ব আর বড় জেলা হিসাবে কোরবানির সাড়ে ৮ হাজার পশু অতিরিক্ত থাকবে বলছেন কর্মকর্তারা।

কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, ১৭ উপজেলায় চাহিদা দুই লক্ষ ২০ হাজার ৪৯২ টি পশু। জেলায় মোট পশু রয়েছে দুই লক্ষ ২৯ হাজার ০৯৮টি। পুরো জেলায় আট হাজার ৬০৬টি পশু উদ্বৃত্ত আছে।

তবে উপজেলার হিসাবে চৌদ্দগ্রামে ২৭৩, নাঙ্গলকোটে ৬০৮, চান্দিনা ৪২৬, দেবিদ্বার ৪৩৩৫, হোমনা ৩৯৫ ও সদর দক্ষিণে ১০৩৯টি পশু ঘাটতি রয়েছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত জরিপে আরো দেখা যায়, পশু লালনপালনে শীর্ষে রয়েছে লাকসাম উপজেলা। এ উপজেলার দুই হাজার ৫৯২জন খামারি ২১ হাজার কোরবানির পশু পালন করছেন। যা উপজেলার চাহিদা থেকে সাড়ে সাত হাজার বেশি। মেঘনা উপজেলার ১ হাজার ৬০৫ জন খামারি নয়হাজার ৮৩৯টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন। যা উপজেলার চাহিদা থেকে দু’হাজার চারশতটি বেশি রয়েছে।

কুমিল্লা প্রাণিসম্পদ ট্রেনিং অফিসার চন্দন কুমার পোদ্দার বলেন, কুমিল্লায় চাহিদা থেকেও আট হাজার পশু বেশি আছে। সেসব উপজেলায় পশু কম পাশের উপজেলা বা অন্য জেলা থেকেও পশু আসে। কুমিল্লা ভৌগলিক গুরুত্বের কারণে পাশের জেলাসহ সারাদেশে ট্রাকে করে গরু আনা নেওয়া করা হয়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম জানান, এবছর গরু আছে এক লক্ষ ৮৫ হাজার ৯৫৬, মহিষ আছে ১০৬, ছাগল ৪০ হাজার ৮৮৩ ও ভেড়া দু’হাজার ১৫৩টি। এসব কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা আছে। কুমিল্লায় পশু সংকটের সম্ভাবনা নেই। এদিকে ভালো পশু বাছাইয়ে হাটে আমরা মেডিকেল টিম বসাবো। এ বিষয়ে বাজার কমিটির সহযোগিতা লাগবে।

কুমিল্লার প্রবীণ বাসিন্দা নাসির মাহমুদ বলেন, ‘সারা বছর সংসার খরচের থেকে সঞ্চয় করে একটা ছোট গরু নিজেই কোরবানি দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রতি বছর ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে গরু কিনি।”এ বছর এই টাকায় কোরবানির পশু কিনতে পারবো কি না তা নিয়ে সংশয় আছে,’। বাজেটের মধ্যে পশু কিনতে না পারলে ভাগে কোরবানি দেওয়ার কথা ভাববো।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাটে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু, দাম যাচাই বাছাই করছে ক্রেতারা

আপডেট সময় ০১:০২:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩

মুসলমানদের ত্যাগের উৎসব ঈদুল আজহা। তাই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কুরবানি করা হয়। এ উপলক্ষে প্রতিবছর বিশেষভাবে গুরু-ছাগলের বিশাল হাট বসে। এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুমিল্লার পশুরহাটগুলোতে পর্যাপ্ত পশু তুলেছেন কৃষক ও খামারীরা।

কুমিল্লার কয়েকটি খামার ও হাট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে খামারি ও ব্যবসায়ীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ বছর বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরু পালনে বেশি মনযোগী খামারিরা।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কুমিল্লায় পশু পালন করছেন ৩৩ হাজার ৯৩৭ জন খামারী। এ বছর জেলার ছয় উপজেলায় কোরবানির পশুর ঘাটতি কথা জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। তবে কুমিল্লার ভৌগলিক গুরুত্ব আর বড় জেলা হিসাবে কোরবানির সাড়ে ৮ হাজার পশু অতিরিক্ত থাকবে বলছেন কর্মকর্তারা।

কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, ১৭ উপজেলায় চাহিদা দুই লক্ষ ২০ হাজার ৪৯২ টি পশু। জেলায় মোট পশু রয়েছে দুই লক্ষ ২৯ হাজার ০৯৮টি। পুরো জেলায় আট হাজার ৬০৬টি পশু উদ্বৃত্ত আছে।

তবে উপজেলার হিসাবে চৌদ্দগ্রামে ২৭৩, নাঙ্গলকোটে ৬০৮, চান্দিনা ৪২৬, দেবিদ্বার ৪৩৩৫, হোমনা ৩৯৫ ও সদর দক্ষিণে ১০৩৯টি পশু ঘাটতি রয়েছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত জরিপে আরো দেখা যায়, পশু লালনপালনে শীর্ষে রয়েছে লাকসাম উপজেলা। এ উপজেলার দুই হাজার ৫৯২জন খামারি ২১ হাজার কোরবানির পশু পালন করছেন। যা উপজেলার চাহিদা থেকে সাড়ে সাত হাজার বেশি। মেঘনা উপজেলার ১ হাজার ৬০৫ জন খামারি নয়হাজার ৮৩৯টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন। যা উপজেলার চাহিদা থেকে দু’হাজার চারশতটি বেশি রয়েছে।

কুমিল্লা প্রাণিসম্পদ ট্রেনিং অফিসার চন্দন কুমার পোদ্দার বলেন, কুমিল্লায় চাহিদা থেকেও আট হাজার পশু বেশি আছে। সেসব উপজেলায় পশু কম পাশের উপজেলা বা অন্য জেলা থেকেও পশু আসে। কুমিল্লা ভৌগলিক গুরুত্বের কারণে পাশের জেলাসহ সারাদেশে ট্রাকে করে গরু আনা নেওয়া করা হয়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম জানান, এবছর গরু আছে এক লক্ষ ৮৫ হাজার ৯৫৬, মহিষ আছে ১০৬, ছাগল ৪০ হাজার ৮৮৩ ও ভেড়া দু’হাজার ১৫৩টি। এসব কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা আছে। কুমিল্লায় পশু সংকটের সম্ভাবনা নেই। এদিকে ভালো পশু বাছাইয়ে হাটে আমরা মেডিকেল টিম বসাবো। এ বিষয়ে বাজার কমিটির সহযোগিতা লাগবে।

কুমিল্লার প্রবীণ বাসিন্দা নাসির মাহমুদ বলেন, ‘সারা বছর সংসার খরচের থেকে সঞ্চয় করে একটা ছোট গরু নিজেই কোরবানি দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রতি বছর ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে গরু কিনি।”এ বছর এই টাকায় কোরবানির পশু কিনতে পারবো কি না তা নিয়ে সংশয় আছে,’। বাজেটের মধ্যে পশু কিনতে না পারলে ভাগে কোরবানি দেওয়ার কথা ভাববো।’