ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুঠিয়ায় পুকুর খননের নামে মূল্যবান সীমানা পিলার চুরির অভিযোগ।

রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও অবৈধ ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমরা ডাঙ্গাপাড়া, মোহাম্মদপুর, ও পার্শবর্তী এলাকাবাসী এসব অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাগুরার বিলে প্রায় ৭০-৮০ বিঘা জমির উপর রাতের আধারে পুকুর খনন কাজ চলছে। ওই পুকুর খনন করলে গোটিয়ার বিল মিলে প্রায় ৫০-১৫০ বিঘা জমি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে অনাবাদী হয়ে যাবে। পুকুরটি পুঠিয়া থানার ডাঙ্গাপাড়া মৌজার ১৭৫ দাগসহ মোহাম্মাদপুর ও বিয়াড় মৌজার জমি নিয়ে চলছে খনন কাজ। ডাঙ্গাপাড়ার পাকা রাস্তাটি মাটিকাটা ভেকু ও মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চলাচলের কারনে ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। ডাঙ্গাপাড়া, মোহাম্মদপুর ও বিয়াড় তিন সীমানায় বাংলাদেশ সরকারের রেভিনিউ সার্ভে অনুযায়ী একটি অতি মূল্যবান সীমানা পিলার রয়েছে যাহা রাষ্ট্রীয় সম্পদ নামে বিবেচিত। এটি চুরির আশু সম্ভাবনা রয়েছে। অতি দ্রুততম সময়ে ফসলে জমি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার্থে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বলেন, স্কেভেটর শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যাবার পর দেখি তারা রাস্তা নষ্ট করে আরো এসকেভেটর নিয়ে যাচ্ছে পরে এসে আমরা গ্রামবাসী নিষেধ করলে উল্টো তারা আমাদের হুমকি দিচ্ছে। এই পুকুর খনন করা হলে বহু আবাদি জমি নষ্ট হয়ে যাবে আমরা এর প্রতিকার চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন ডাঙ্গাপাড়ার বিলে পুকুর খনন করা হলে বাদবাকি অন্য ফসলি জমিগুলো সব পতিত আর অনাবাদি হয়ে পড়বে। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধ হয়ে পড়বে। পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থাও নাই। প্রভাবশালীরা অবৈধ পুকুর খনন কারীদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করছেন না।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুঠিয়া-দূর্গাপুর সার্কেল) রাজিবুল ইসলাম বলেন, বানেশ্বর বাজারে মোবাইলের দোকান চুরিসহ ভ্যান চালক হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে খুব ব্যস্ত আছি। এছাড়াও উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও নেতা-নেত্রীরা পুলিশকে পুকুরে যেতে নিষেধ করছেন, কি করব বুঝতে পারছি না। ডাঙ্গাপাড়া ওই পুকুর থেকে ইস্কেভেটর (ভেকুর) থেকে ইতোমধ্যে ব্যাটারি খুলে নিয়ে এসেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ পিএএ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়টি নিয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইমতিয়াজ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলাপ করে অবৈধ পুকুর খননকারিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুঠিয়ায় পুকুর খননের নামে মূল্যবান সীমানা পিলার চুরির অভিযোগ।

আপডেট সময় ০১:৪০:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩

রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও অবৈধ ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমরা ডাঙ্গাপাড়া, মোহাম্মদপুর, ও পার্শবর্তী এলাকাবাসী এসব অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাগুরার বিলে প্রায় ৭০-৮০ বিঘা জমির উপর রাতের আধারে পুকুর খনন কাজ চলছে। ওই পুকুর খনন করলে গোটিয়ার বিল মিলে প্রায় ৫০-১৫০ বিঘা জমি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে অনাবাদী হয়ে যাবে। পুকুরটি পুঠিয়া থানার ডাঙ্গাপাড়া মৌজার ১৭৫ দাগসহ মোহাম্মাদপুর ও বিয়াড় মৌজার জমি নিয়ে চলছে খনন কাজ। ডাঙ্গাপাড়ার পাকা রাস্তাটি মাটিকাটা ভেকু ও মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চলাচলের কারনে ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। ডাঙ্গাপাড়া, মোহাম্মদপুর ও বিয়াড় তিন সীমানায় বাংলাদেশ সরকারের রেভিনিউ সার্ভে অনুযায়ী একটি অতি মূল্যবান সীমানা পিলার রয়েছে যাহা রাষ্ট্রীয় সম্পদ নামে বিবেচিত। এটি চুরির আশু সম্ভাবনা রয়েছে। অতি দ্রুততম সময়ে ফসলে জমি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার্থে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বলেন, স্কেভেটর শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যাবার পর দেখি তারা রাস্তা নষ্ট করে আরো এসকেভেটর নিয়ে যাচ্ছে পরে এসে আমরা গ্রামবাসী নিষেধ করলে উল্টো তারা আমাদের হুমকি দিচ্ছে। এই পুকুর খনন করা হলে বহু আবাদি জমি নষ্ট হয়ে যাবে আমরা এর প্রতিকার চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন ডাঙ্গাপাড়ার বিলে পুকুর খনন করা হলে বাদবাকি অন্য ফসলি জমিগুলো সব পতিত আর অনাবাদি হয়ে পড়বে। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধ হয়ে পড়বে। পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থাও নাই। প্রভাবশালীরা অবৈধ পুকুর খনন কারীদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করছেন না।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুঠিয়া-দূর্গাপুর সার্কেল) রাজিবুল ইসলাম বলেন, বানেশ্বর বাজারে মোবাইলের দোকান চুরিসহ ভ্যান চালক হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে খুব ব্যস্ত আছি। এছাড়াও উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও নেতা-নেত্রীরা পুলিশকে পুকুরে যেতে নিষেধ করছেন, কি করব বুঝতে পারছি না। ডাঙ্গাপাড়া ওই পুকুর থেকে ইস্কেভেটর (ভেকুর) থেকে ইতোমধ্যে ব্যাটারি খুলে নিয়ে এসেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ পিএএ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়টি নিয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইমতিয়াজ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলাপ করে অবৈধ পুকুর খননকারিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।