ঢাকা ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্সে আগুন, নিহত ৮

ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের  ভাঙ্গা উপজেলার চা মালিগ্রাম ফ্লাইওভারে ওঠার সময়  রেলিংয়ে  এ ধাক্কা লেগে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরে যায়। এ সময় আম্বুলেন্সের চালক মৃদুল মালো (৪২) অ্যাম্বুলেন্স থেকে বের হতে পারলেও অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ৭ জনের সকলেই ঘটনাস্থলেই  পুড়ে মারা যায়। অ্যাম্বুলেন্স চালককে  আশঙ্কাজনক অবস্থায়  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শনিবার বিকাল  তিনি মারা যায়।অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা থেকে ফরিদপুর বোয়ালমারীর দিকে আসছিল।  ঘটনাটি ঘটেছে  শনিবার (২৪ জুন) বেলা ১১ টার দিকে। ঘটনার পরে ভাঙ্গা দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় ওই সড়কে দুই ঘন্টার অধিক সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে। নিহতদের লাশ ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। নিহত চালক মৃদুল মালো ফরিদপুর শহরের গুহ লক্ষ্মীপুর মহল্লার  সুভাষ মালোর ছেলে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুণবহা ইউনিয়নের ফেলানগর গ্রামের  আজিজার রহমানের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৫০), আজিজার রহমানের  মেয়ে বোয়ামারীর শেখর ইউনিয়নের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী  কমলা বেগম (২৯), কমলা বেগমের তিন ছেলে আরিফ (১২), মেহেদী (১০), আফসা (০১)। আজিজার রহমানের আরেক মেয়ে ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কুচিয়াগ্রামের বাসিন্দা সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মাহমুদুল হাসানের স্ত্রী  বিউটি পারভীন (৩১) ও বিউটি পারভীনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত(১১)।

ভাঙ্গা দমকল বাহিনীর স্টেশন কর্মকর্তা আবু জাফর বলেন, খবর পেয়েই দ্রুততম সময়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। আগুন নিয়ন্ত্রণ করি।চালককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারলেও বাকী ৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

হাইওয়ে পুলিশের মাদারীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটি ফ্লাইওভারের উপরে ওঠার সময় ফ্লাইওভার এর ঢালে এসে ডান পাশের রেলিংয়ে ধাক্কা খায়। এ সময় সামনের অংশে ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। এ সময় চালক বের হতে পারলেও ভিতরে থাকা সাত জনের কেউই বের হতে পারেনি। সকলেই পুড়ে যায়। লাশ বিভৎস হয়ে যায়। সবচেয়ে করুণ হচ্ছে মায়ের কোলে সন্তান পুড়ে গিয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন নারী,দুই জন শিশু ও দুই জন পুরুষ রয়েছেন।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারন অনুসন্ধানে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহত প্রত্যেকের লাশ বহন ও দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে শনিবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে আসেন ফরিদপুর -৪ আসনের এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্সে আগুন, নিহত ৮

আপডেট সময় ১০:৩৯:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩

ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের  ভাঙ্গা উপজেলার চা মালিগ্রাম ফ্লাইওভারে ওঠার সময়  রেলিংয়ে  এ ধাক্কা লেগে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরে যায়। এ সময় আম্বুলেন্সের চালক মৃদুল মালো (৪২) অ্যাম্বুলেন্স থেকে বের হতে পারলেও অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ৭ জনের সকলেই ঘটনাস্থলেই  পুড়ে মারা যায়। অ্যাম্বুলেন্স চালককে  আশঙ্কাজনক অবস্থায়  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শনিবার বিকাল  তিনি মারা যায়।অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা থেকে ফরিদপুর বোয়ালমারীর দিকে আসছিল।  ঘটনাটি ঘটেছে  শনিবার (২৪ জুন) বেলা ১১ টার দিকে। ঘটনার পরে ভাঙ্গা দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় ওই সড়কে দুই ঘন্টার অধিক সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে। নিহতদের লাশ ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। নিহত চালক মৃদুল মালো ফরিদপুর শহরের গুহ লক্ষ্মীপুর মহল্লার  সুভাষ মালোর ছেলে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুণবহা ইউনিয়নের ফেলানগর গ্রামের  আজিজার রহমানের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৫০), আজিজার রহমানের  মেয়ে বোয়ামারীর শেখর ইউনিয়নের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী  কমলা বেগম (২৯), কমলা বেগমের তিন ছেলে আরিফ (১২), মেহেদী (১০), আফসা (০১)। আজিজার রহমানের আরেক মেয়ে ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কুচিয়াগ্রামের বাসিন্দা সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মাহমুদুল হাসানের স্ত্রী  বিউটি পারভীন (৩১) ও বিউটি পারভীনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত(১১)।

ভাঙ্গা দমকল বাহিনীর স্টেশন কর্মকর্তা আবু জাফর বলেন, খবর পেয়েই দ্রুততম সময়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। আগুন নিয়ন্ত্রণ করি।চালককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারলেও বাকী ৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

হাইওয়ে পুলিশের মাদারীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটি ফ্লাইওভারের উপরে ওঠার সময় ফ্লাইওভার এর ঢালে এসে ডান পাশের রেলিংয়ে ধাক্কা খায়। এ সময় সামনের অংশে ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। এ সময় চালক বের হতে পারলেও ভিতরে থাকা সাত জনের কেউই বের হতে পারেনি। সকলেই পুড়ে যায়। লাশ বিভৎস হয়ে যায়। সবচেয়ে করুণ হচ্ছে মায়ের কোলে সন্তান পুড়ে গিয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন নারী,দুই জন শিশু ও দুই জন পুরুষ রয়েছেন।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারন অনুসন্ধানে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহত প্রত্যেকের লাশ বহন ও দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে শনিবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে আসেন ফরিদপুর -৪ আসনের এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।