ঢাকা ০১:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রাম -৪ আসনে জাপা’র মনোনয়ন চান আলহাজ্ব মোঃ জায়দুল ইসলাম জাহিদ

হাজি জাহিদ রৌমারী উপজেলায় সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি উচ্চ শিক্ষিত ও দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
কুড়িগ্রাম -৪ (রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলা) আসনে আসন্ন নির্বাচনে জনপ্রিয় মুখ জাতীয় পার্টি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি হাজী মোঃ জায়দুল ইসলাম জাহিদ।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী। হাজী মোঃ জাহিদ বিগত দীর্ঘ বছর যাবত নিরলসভাবে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। এলাকার প্রতিটি দুর্যোগ-দুর্দিন-দুঃসময়ে মানুষের পাশে থেকে তাদের আপনজন হিসাবে কাজ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে তার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছে।
একান্ত সাক্ষৎকারে হাজী মোঃ জাহিদ বলেন, রৌমারী, রাজিবপুর এবং চিলমারী উপজেলার উন্নয়নের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে প্রয়াত সাবেক রাস্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে অনুস্মরণ করে কাজ করছি। প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপ্রধান থাকাকালে সর্বক্ষেত্রে তাঁর নেয়া পদক্ষেপ ও সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ড ইতিহাস হয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনঃর্গঠনে পল্লীবন্ধু এরশাদের অবদান কেউই অস্বীকার করতে পারবে না। জনগণের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নামে বিরোধীরা নানা ধরণের প্রোপাগান্ডা ছড়ালেও তিনিই প্রথম সরকারি সেবা জনগণের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে রাষ্ট্রকাঠামো বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নেন। তিনি দেশের ৪২টি মহুকুমাকে ৬৪টি জেলায় পরিণত করেন। এরশাদ ১৯৮২ সালের ৭ নভেম্বর থেকে ১৯৮৩ সালের ৭ নভেম্বরের মধ্যে সারাদেশে ৪৬০ উপজেলা পরিষদ সৃষ্টি করেন। যার সুফল ভোগ করছেন দেশের সকল জনগণ।
পাশাপাশি এরশাদ ছিলেন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের বাংলাদেশে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করেন তিনি। তাঁর ক্ষমতা গ্রহণের আগে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেরও রোববার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। তিনি গরিবের হজ্ব ‘জুমার নামাজ’ কে প্রাধান্য দিয়ে শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ঘোষণা করেন।
রৌমারী, রাজিবপুর এবং চিলমারী উপজেলায় জাতীয় পার্টির সরকারের সময়কালের বড় কিছু উন্নয়নের তথ্য উল্লেখ করে হাজি জাহিদ বলেন, কুড়িগ্রাম -৪ আসনে যতগুলো বড় উন্নয়ন হয়েছে তার অধিকাংশই করেছে জাতীয় পার্টি। অসংখ্য স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা-মসজিদ, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মিত হয়েছে এরশাদ সরকারের আমলেই। সেক্ষেত্রে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে রৌমারী,রাজিবপুর এবং চিলমারী উপজেলার উন্নয়নে জাতীয় পার্টির সেই স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ।সারাদেশের মধ্যে রৌমারী, রাজিবপুর এবং চিলমারী উপজেলা হবে একটি আধুনিক, উন্নত ও স্মার্ট উপজেলা। এটি অর্জনে সকলের পরামর্শে সঠিক পদক্ষেপ নিতে চাই।
জাতীয় পার্টির এই নেতা আরও বলেন, আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে মানুষের সেবা করতে হবে। তাই আমি জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। জিএম কাদের আমাদের প্রান প্রিয় নেতা। তাহার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকবো।

রৌমারী, রাজিবপুর এবং চিলমারী উপজেলার প্রতিটি মানুষের সেবা করার পবিত্র দায়িত্ব নিতে চাই। আমি সম্মান রেখে বলতে চাই, যারা অতীতে দায়িত্বশীল পদে ছিলেন এবং আছেন, সবাই তাদের মতো করে কাজ করার চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, এখানে অনেক কাজ হয়েছে, তবে এখনো বহু কাজ বাকি। আমি অসম্পন্ন কাজ শেষ করতে চাই। আমি সবাইকে সাথে নিয়ে যে উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। দল-মত নির্বিশেষে, স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি আধুনিক, উন্নত, ডিজিটাল ও স্মার্ট রৌমারী, রাজিবপুর এবং চিলমারী উপজেলা রূপান্তরের লক্ষ্যে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। শুধু কথায় না – সঠিক পরিকল্পনা এবং কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাই – আমরাও পারবো, ইনশাআল্লাহ।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুড়িগ্রাম -৪ আসনে জাপা’র মনোনয়ন চান আলহাজ্ব মোঃ জায়দুল ইসলাম জাহিদ

আপডেট সময় ০২:০৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩
হাজি জাহিদ রৌমারী উপজেলায় সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি উচ্চ শিক্ষিত ও দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
কুড়িগ্রাম -৪ (রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলা) আসনে আসন্ন নির্বাচনে জনপ্রিয় মুখ জাতীয় পার্টি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি হাজী মোঃ জায়দুল ইসলাম জাহিদ।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী। হাজী মোঃ জাহিদ বিগত দীর্ঘ বছর যাবত নিরলসভাবে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। এলাকার প্রতিটি দুর্যোগ-দুর্দিন-দুঃসময়ে মানুষের পাশে থেকে তাদের আপনজন হিসাবে কাজ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে তার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছে।
একান্ত সাক্ষৎকারে হাজী মোঃ জাহিদ বলেন, রৌমারী, রাজিবপুর এবং চিলমারী উপজেলার উন্নয়নের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে প্রয়াত সাবেক রাস্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে অনুস্মরণ করে কাজ করছি। প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপ্রধান থাকাকালে সর্বক্ষেত্রে তাঁর নেয়া পদক্ষেপ ও সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ড ইতিহাস হয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনঃর্গঠনে পল্লীবন্ধু এরশাদের অবদান কেউই অস্বীকার করতে পারবে না। জনগণের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নামে বিরোধীরা নানা ধরণের প্রোপাগান্ডা ছড়ালেও তিনিই প্রথম সরকারি সেবা জনগণের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে রাষ্ট্রকাঠামো বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নেন। তিনি দেশের ৪২টি মহুকুমাকে ৬৪টি জেলায় পরিণত করেন। এরশাদ ১৯৮২ সালের ৭ নভেম্বর থেকে ১৯৮৩ সালের ৭ নভেম্বরের মধ্যে সারাদেশে ৪৬০ উপজেলা পরিষদ সৃষ্টি করেন। যার সুফল ভোগ করছেন দেশের সকল জনগণ।
পাশাপাশি এরশাদ ছিলেন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের বাংলাদেশে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করেন তিনি। তাঁর ক্ষমতা গ্রহণের আগে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেরও রোববার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। তিনি গরিবের হজ্ব ‘জুমার নামাজ’ কে প্রাধান্য দিয়ে শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ঘোষণা করেন।
রৌমারী, রাজিবপুর এবং চিলমারী উপজেলায় জাতীয় পার্টির সরকারের সময়কালের বড় কিছু উন্নয়নের তথ্য উল্লেখ করে হাজি জাহিদ বলেন, কুড়িগ্রাম -৪ আসনে যতগুলো বড় উন্নয়ন হয়েছে তার অধিকাংশই করেছে জাতীয় পার্টি। অসংখ্য স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা-মসজিদ, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মিত হয়েছে এরশাদ সরকারের আমলেই। সেক্ষেত্রে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে রৌমারী,রাজিবপুর এবং চিলমারী উপজেলার উন্নয়নে জাতীয় পার্টির সেই স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ।সারাদেশের মধ্যে রৌমারী, রাজিবপুর এবং চিলমারী উপজেলা হবে একটি আধুনিক, উন্নত ও স্মার্ট উপজেলা। এটি অর্জনে সকলের পরামর্শে সঠিক পদক্ষেপ নিতে চাই।
জাতীয় পার্টির এই নেতা আরও বলেন, আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে মানুষের সেবা করতে হবে। তাই আমি জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। জিএম কাদের আমাদের প্রান প্রিয় নেতা। তাহার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকবো।

রৌমারী, রাজিবপুর এবং চিলমারী উপজেলার প্রতিটি মানুষের সেবা করার পবিত্র দায়িত্ব নিতে চাই। আমি সম্মান রেখে বলতে চাই, যারা অতীতে দায়িত্বশীল পদে ছিলেন এবং আছেন, সবাই তাদের মতো করে কাজ করার চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, এখানে অনেক কাজ হয়েছে, তবে এখনো বহু কাজ বাকি। আমি অসম্পন্ন কাজ শেষ করতে চাই। আমি সবাইকে সাথে নিয়ে যে উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। দল-মত নির্বিশেষে, স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি আধুনিক, উন্নত, ডিজিটাল ও স্মার্ট রৌমারী, রাজিবপুর এবং চিলমারী উপজেলা রূপান্তরের লক্ষ্যে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। শুধু কথায় না – সঠিক পরিকল্পনা এবং কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাই – আমরাও পারবো, ইনশাআল্লাহ।